নিজস্ব প্রতিবেদক :
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ২০১৭ উপলক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি এ্যাড.জহির উদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এম আলাউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীনা রহমান,পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা, জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউছুপ পাটোয়ারী, সদর থানা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন বিনু, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন ক্বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর আল ফারুক মানিক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাহজাহান কামাল, চন্দ্রগঞ্জ থানা ১৪ দলীয় জোটের নেতা মোশাররফ হোসেন পাটওয়ারী, সদর থানা আওয়ামীলীগ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন মিজান পাটোয়ারী,লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, জেলা ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ, সদর থানা ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক করিমুল হক কনক ক্বারীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় ও কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধূর একটি দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে এই দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের।