লক্ষ্মীপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলনে আলোচনার শীর্ষে সফিকুল ইসলাম

image_pdfimage_print
আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আসন্ন আগামী ২১ নভেম্বরলক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। গত ২০১৫ইং সালের মার্চে সম্মেলন শেষে গোলাম ফারুক পিংকু সভাপতি ও এ্যাড.নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারন সম্পাদক করে একটি দ্বি-বার্ষিক কমিটি হলেও অদ্যবদি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২১নভেম্বর সকালে সম্মেলন উদ্বাধন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এই সম্মেলনকে ঘিরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন প্রবীন রাজনীতিবিদ তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন সফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির বর্তমানসহ একটানা ৩বারের ১ম সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বেশ কয়েক মাস থেকে নেতৃাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে সফিকুল ইসলামকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে শতশত নেতাকর্মী স্টাটার্স দিতে দেখা গেছে। সফিকুল ইসলাম ১৯৭৩-১৯৭৪ইং সালে চট্ট্রগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৮৬ থেকে ১৯৯০ইং পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় উনার সততা ও নীতিনৈতিকতা জনসেবার কর্মকান্ড গুলো অজও ইতিহাস হয়ে রয়েছেন। একসময় এই নন্দিত রাজনীতিবিদ ১৯৯৬ইং সাল থেকে ২০০৩ইং সাল পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সভাপতি হওয়ার পর তিনি একসময় রামগঞ্জে আওয়ামীলগের জামানত হারানোর এই আসনে ১৪/১৫ হাজার মানুষকে আওয়ামীলীগে যোগদান করিয়ে দলের সার্বিক কার্যক্রমকে চাঙ্গা করে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রামগঞ্জসহ, লক্ষ্মীপুর,রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর সহ জেলা আওয়ারমীলীগের তৃনমূলের কর্মীদের সাথে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজেকে সমসময় সম্পৃক্ত রেখেছেন। তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে পুরো জেলা আওয়ামীলীগ এখন সূসংগঠিত। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ইং সালে (লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ) আসন থেকে নৌকার কান্ডারী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০২সালে জামায়াত বিএনপির ৪দলীয় জোট সরকার ক্ষমতাকালীন সময় সফিকুল ইসলামের উপর দপায় দপায় হামলা চালিয়ে তার ৩টি গাড়ি ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেয় এবং ২০০৪ইং সালে তাকে অপহরন করে লাকসাম রেলষ্টেশানে নিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে তার সাথে থাকা প্রিমিও গাড়ীটি নিয়ে যায়। পরে ওখানকার নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করার ৫দিন পর জ্ঞান ফিরে আসে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বর্তমান সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার সার্বিক খোজখবর নেন।একই বছর ২০০৪ইং সালে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সফিকুল ইসলাম সভাপতি প্রার্থী হন। সেদিন ৯০ভাগ নেতাকর্মীরা তার পক্ষে অবস্থান নিলেও অজ্ঞাত কারনে উনাকে সভাপতি করা হয়নি। ওইদিন তাকে সভাপতি না করায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ক্ষোভে লক্ষীপুর সার্কিট হাউজে ভাংচুর চালায়। এছাড়াও সফিকুল ইসলাম ২১আগষ্টা গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। ২০০৬ইং সালের ডিসেম্বরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মরহুম হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে পল্টনের ১৪দলের মহাজোটের মহাসমাবেশে নেত্রীর এপিএস আলাউদ্দিন নাছিম সহ নেত্রীর নির্দেশে জীবনের ঝুকি নিয়ে এরশাদকে সমাবেশস্থলে পৌছানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ মানেই সফিকুল ইসলাম। তার হাত ধরেই হাজার হাজার কর্মীর সৃষ্টি হয়েছে। প্রানের সংগঠন আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৫বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে অনেক নেতা কর্মী বহু গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে অনেক সুযোগ সুবিদা নিয়েছেন। কিন্তু প্রবীন এই আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইমলাম দলের দুঃসময়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এজন্য সকল কিছু বিবেচানায় রেখে সম্মেলনে সফিকুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এছাড়া গত ২০১৮ইং সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ড.আনোয়ার হোসেন খান বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার পেছনে সফিকুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী সফিকুল ইসলাম জানান, একাধারে ৩বার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। দল যদি আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয় আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো লক্ষ্মীপুর জেলার সবগুলো উপজেলাতে আওয়ামীলীগকে উজ্জবিত করে দলের দুর্ঘ গড়ে তুলবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা