‘প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ’ শীর্ষক সমকালে ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত ড. আতিউর রহমানের নিবন্ধটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর সরকারের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। এটি নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত।
স্মার্ট সরকার ব্যবস্থায় সরকারের সব সেবা স্মার্ট পদ্ধতিতে হতে হবে, যেখানে কোনো ভোগান্তি ও হয়রানি থাকবে না। কিন্তু ডিজিটাল হওয়ার পরও আমরা কতটা সুষ্ঠুভাবে সেবা পাচ্ছি? শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে। দেশে মেধার চর্চা নেই বললেই চলে, রয়েছে শুধু নম্বর চর্চা।
এ ছাড়া যে বিষয়ে পড়াশোনা, সে বিষয় সংক্রান্ত চাকরির সুযোগ হাতেগোনা কয়েক জায়গায়। এই যে এক বিষয়ে পড়াশোনা করে অন্য বিষয়ে চাকরি করছি, এতে আমার অর্জিত বিশেষায়িত জ্ঞানের কোনো মূল্যায়ন হবে না। অসুস্থতায় যেন ঘরে বসেই অফলাইন ক্লাসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সাইবার নিরাপত্তার জায়গা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত হয়েছে। আমাদের বাধ্যতামূলক আইসিটি শিক্ষার প্রচলন করতে হবে। কেননা, জাতি প্রযুক্তিতে দক্ষ না হলে কোনো কিছুতেই দক্ষ হবে না। স্কুল পর্যায়ে সরকার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে দিলেও বিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষক সেখানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কোর্স করিয়ে থাকেন! এ ক্ষেত্রে আইটি কোর্স হওয়া উচিত বিনামূল্যে। সরকারি প্রকল্প ও নিয়োগের কথাও আলোচনায় আসতে পারে। বেশিরভাগ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে। যার অর্থ একদিকে কাজে গাফিলতি, অন্যদিকে টাকা আত্মসাৎ। এ ছাড়া চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া হতে হবে অল্প সময়ে; কোনো ভোগান্তি ছাড়াই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেমন স্মার্ট কর্মকর্তা খোঁজা হয়, সরকারি নিয়োগেও চাই মেধার সঙ্গে স্মার্টনেসের সমন্বয়।
জাজিরা, শরীয়তপুর
বাধা যখন দুর্নীতি
