ফ্রান্সে স্কুলে ঢুকতে পারল না মুসলিম শিক্ষার্থীরা

image_pdfimage_print

ফরাসি স্কুলগুলোতে বছরের প্রথম দিনে আবায়া পরায় বহু শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফ্রান্স সরকার গত মাসে স্কুলে আবায়া পরে আসা নিষিদ্ধ করেছে। তাদের দাবি, এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার নিয়ম ভঙ্গ করছে। ধর্মীয় পরিচিতি প্রদর্শন বন্ধ করতে ফ্রান্সে ইতোমধ্যেই হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর এএফপির

শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, ইসলামী পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আবায়া পরে স্কুল এসেছিল। তাদের আবায়া খুলে ফেলতে বললে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পোশাক পরিবর্তন করতে রাজি হয়, কিন্তু ৬৭ জন পোশাক পরিবর্তন করতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ ডানপন্থিদের আনন্দিত করলেও কট্টর বামেরা বলছে, এটি নাগরিক স্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ।

সমালোচনার মুখে মন্ত্রী দাবি করে বসেন, আবায়া একটি রাজনৈতিক প্রতীক। তিনি জানিয়েছেন, যে মেয়েরা আবায়া পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেছিল, তাদের পরিবারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে লেখা আছে, ধর্মনিরপেক্ষতা কোনো বাধা নয়, এটি একটি স্বাধীনতা।

এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বিতর্কিত পদক্ষেপটিকে সমর্থন করে বলেছেন, ফ্রান্সে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ছিল, যারা একটি ধর্মকে হাইজ্যাক করে রাষ্ট্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।

ফ্রান্সে ২০০৪ সালে আইনের মাধ্যমে স্কুলে ধর্মীয় অনুষঙ্গ প্রদর্শন করে এমন চিহ্ন বা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এই নিষেজ্ঞার মধ্যে রয়েছে– বড় খ্রিষ্টান ক্রস, ইহুদি কিপ্পা এবং ইসলামিক হিজাব।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা