ঢাকা:
আগুনে ঝলসে দেয়া ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহার রাফির ময়না তদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস এ কথা জানান।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই নুসরাতের ময়নাতদন্ত শুরু হবে।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ইন্দনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ঝলসে পাঁচদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন তিনি।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
ওই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোরও ব্যভস্থা করেন তিনি।
কিন্তু প্লেন ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে সেখানে নেয়া হয়নি। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে চলেই গেলো ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।