দৃঢ় সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করবে পদ্মাসেতু

image_pdfimage_print

পৃথিবীর ইতিহাসে সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছে নদী কেন্দ্রিক। নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ নগরী। প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে মানুষ নদীর উপরই সেতু তৈরি করছে। এই সেতু নদীর সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এভাবে দু’পারের মানুষের মধ্যে আত্মীকরণের ফলে দৃঢ় সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করবে পদ্মাসেতু।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘পূর্বাপরে পদ্মা সেতু: সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিত’ সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বিপ্লব হবে। সবার মধ্যে যখন ভাবের আদানপ্রদান ঘটবে তখন মনোজগতেও এর পরিবর্তন আসবে। পদ্মাসেতুর ফলে দুই পাড়ের মানুষদের মধ্যে একটি বৈপ্লবিক দেওয়া-নেওয়া ঘটবে। সহজ যোগাযোগের কারণে উভয় প্রান্তে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে আচার আচরণ, রীতিনীতি আদান প্রদান হবে।  

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ঐতিহাসিক সংস্কৃতির ভাণ্ডার বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলো। লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির অজস্র উপকরণ, আঙ্গিক এবং লোকপ্রিয় ধারা-উপধারা রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবনে। পদ্মা সেতুর সফল উন্মোচনের পর এখন দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের, পশ্চিমের সঙ্গে পূর্বের সংস্কৃতি চর্চার আদানপ্রদান হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পদ্মাসেতু সামগ্রিকভাবে দেশের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। এর ফলে দুই পাড়ের মধ্যে যে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এই সেতু উন্নতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক খান মাহবুব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা