হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব–উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বিগত কয়েক দিন ধরে সকাল সকাল ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দিন ও রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্যের সৃষ্টি হচ্ছে।
এর আগে বিগত ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ আবারও ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে কয়েক দিন ধরে সকাল সকাল দেখা মিলছে সূর্যের। তবে রাতভর উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছে এই জনপদের মানুষ।
যদিও ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। নভেম্বর শেষ হয়ে এলেও দু’রকম আবহাওয়া অনুভব করছেন স্থানীয়রা। সকালে কুয়াশা থাকার কথা থাকলেও ঝকঝকে রোদের সকাল। সকাল ৯টার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। এ জেলায় দিনে-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্করা।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন,তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। যা সামনের দিকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।