ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসটি দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোন কাজকর্ম। বছরের পর বছর এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে গ্রাহকরা তেমন কোন সেবা পাচ্ছেন না।
জনসাধারণের মাঝে মোবাইল ফোন আসার পূর্বে একসময় এ উপজেলাবাসীর একমাত্র ভরসা ছিল এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসটি। দেশ কিংবা বাংলাদেশের বাহিরে যারা অবস্থান করতেন তাদের পরিবারের লোকজন রাত কিংবা দিনে এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কাজকর্ম। বর্তমান সময়ে সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকার কারণে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে মানুষের নেই কোন কোলোহল।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যলয়টির সামনে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
চারটি পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও সক্রিয় আছে একজন। বার্তা বাহক মোহাম্মদ হালিম সেও আছে ডেপুটেশনে লালমোহন।চারপাশে ঝোপঝাড়ের কারণে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও দরজা-জানালার অধিকাংশই ভাঙা।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান, জনবল সংকটের কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের সেবার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে নতুন করে কাউকে টেলিফোন সংযোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। বরং অনেক টেলিফোন গ্রাহক তার টেলিফোন সংযোগ বিটিসিএলের কাছে হস্তান্তর করছেন।
উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা (টিও) মোঃ শফিক জানান, বর্তমানে সরকারি অফিস, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কোনো গ্রাহক নেই। জনবল সঙ্কটের কারণে আমাদের সকল লাইন বিকল রয়েছে। এখন আমি একা এই অফিসের সকল কিছু দেখা শুনা করছি।