বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দুপুরের মধ্যে দেশের ১০টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেশে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের আলোচনা। তারা আসলে জানতে চাচ্ছে কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ হলো আর এই নামের অর্থই বা কী।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ৩৯ মাইলের বেশি হলেই সেই ঝড়টি একটি নাম পায়। অন্যদিকে কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মেইল ছাড়িয়ে গেলে তাকে হারিকেন, সাইক্লোন, বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হয়।
জানা যায়, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নাম করণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে ১৩টি দেশ (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন)।
এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড় নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’। এ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। এস্কেপের তালিকা অনুযায়ী ‘সিত্রাং’ এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মন্দোস’। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। মন্দোস এর পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
আরও জানা যায়, ‘সিত্রাং’ শব্দের ভিয়েতনামি অর্থ পাতা। আবার সিত্রাং থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবিও।