কোহলি তাঁর স্ট্রাইক রেটের সমালোচকদের একহাত নিলেন

image_pdfimage_print

১০ ইনিংসের ৩টিতে ছিলেন অপরাজিত। ১টি সেঞ্চুরি, ৪টি ফিফটিসহ মোট রান ৫০০। এই রান নিয়ে এবারের আইপিএলে বিরাট কোহলিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক। ৯ ইনিংস খেলে ৪৪৭ রান নিয়ে তাঁর পরেই আছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কোহলি কার চেয়ে কত রানে এগিয়ে আছেন, এটা নিয়ে খুব একটা কথা হচ্ছে না। এবারের আইপিএলের প্রায় শুরু থেকেই আলোচনায় কোহলির স্ট্রাইক রেট।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যান ৫০০ রান করেছেন ৭১.৪২ গড়ে। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির চেয়ে বেশি গড় একমাত্র সঞ্জু স্যামসনের। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক স্যামসন ৯ ইনিংসে ৩৮৫ রান করেছেন ৭৭ গড়ে। কোহলির এই গড়ের বিষয়টিতেও কেউ নজর দিচ্ছেন না। এ কারণেই হয়তো কাল ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করে দলকে জিতিয়ে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন কোহলি।

কোহলি ব্যাট হাতে ছন্দেই আছেন। কিন্তু ছন্দে থাকলেও তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন যেন কারও পছন্দ হচ্ছে না। ৫০০ রান যে তিনি করেছেন ১৪৭.৪৯ স্ট্রাইক রেটে। এবারের আইপিএলে কমপক্ষে ৩০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির চেয়ে স্ট্রাইক রেট কম শুধু তিনজনের। গুজরাট টাইটানসের সাই সুদর্শন ১০ ইনিংসে ৪১৮ রান করেছেন ১৩৫.৭১ স্ট্রাইক রেটে। তাঁরই সতীর্থ শুবমান গিল ১৪০.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১০ ইনিংসে করেছেন ৩২০ রান। আর লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের লোকেশ রাহুল ৯ ইনিংসে ৩৭৮ রান করেছেন ১৪৪.২৭ গড়ে।

গতকাল গুজরাটের ২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোহলির দল ম্যাচ জিতেছে ২৪ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে। বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাটিং করেছেন তিনজন—কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি ও উইল জ্যাকস। ডু প্লেসি আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২ বলে ২৪ রান, যার মানে রান তুলেছেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। আর ১০০ রানে অপরাজিত থাকা জ্যাকসের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪৩। ৪১ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৫টি চার, ১০টি ছয়। আর কোহলি ৭৭ রান তুলেছেন ১৫৯.০৯ স্ট্রাইক রেটে।

এই ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের উদ্দেশ করে কোহলি বলেছেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন। আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’

যারা বলছে, কোহলি ধীরগতির ব্যাটিং করছেন এবং এটা নবধারার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না, তাদের উদ্দেশে ভারতীয় ব্যাটসম্যান এর আগে বলেছিলেন, ‘মানুষ দিনের পর দিন অনুমানের ওপর কথা বলতে পারে, কিন্তু যারা দিনের পর দিন কাজটা করে, তারা জানে আসলে কী ঘটছে। আমি অতি আক্রমণাত্মক হতে চাই না, বোলারকে ভাবনায় ফেলতে চাই। তারা চাইবে, আমি যেন আক্রমণাত্মক হই এবং আউট হই।’

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা