কেউ কেউ দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ দেশের মধ্যে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। অতীতের মতো প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নেমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন মঙ্গলবার নগর ভবনের নীচতলায় এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে অযোগ্যদের চেয়ারে বসানো হয়। দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই সংগ্রামের পর কাঙ্ক্ষিত সফলতা এসেছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগ মিথ্যা ইতিহাস রচনা করতে চাইলেও তা সফল হয়নি।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ২০২০ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আত্মীয় তাপস তার গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফলাফল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা শহরকে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে এই তাপস। আগামী দিনে বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের সূর্য সন্তানেরা। সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর গুম, খুন, নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী মত দমন করে সেই পতিত আওয়ামী লীগ।
ইশরাক হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থকরা এবার স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। আগামী দিনেও এই তরুণ প্রজন্ম যে কোন ফ্যাসিবাদকে রুখে দেবে।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।