কমলনগরে মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধে চতুর্থবার ধস !

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে আবারও ধস দেখাদিয়েছে । এ নিয়ে গত তিন মাসে নির্মাণাধিন বাঁধে চার বার ধসনামে । অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বার-বার বাঁধে ধস নামছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে কমলনগরের মাতাব্বরনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাধে গিয়ে দেখা যায়। বাধের দক্ষিণে অংশ ধসে গেছে । এতে ওই বাধের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিক ধস ঠেকাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালু ভর্তি কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এর আগে দুপুরে তীর রক্ষা বাধে ধস নামে। একই ভাবে কয়েক দিন পর-পর নদীর তীর রক্ষা বাধে ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তীর রক্ষা বাঁধে নদীর ভিতরে ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ও ব্লক যাথযথভাবে ডাম্পিং না করে বাঁধ নির্মাণ করে। এছাড়াও নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বাঁধে প্রথমবার ধস নামে। এরপর ২৬ জুলাই ফের ধস নামে। পরবর্তীতে আগস্টে মাসেও আবার ধসনামে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজ অনিয়মের মধ্যে হয়ে আসছে। যথাযথ বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহার না করে নিন্মমানের ব্যবহার করায় এনিয়ে চার বার তীর রক্ষা বাধে ধস নেমেছে। এছাড়াও অন্যত্র থেকে মা্টি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বার-বার বাধে ধস নামছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানাবলেন, নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তীব্র জোয়ারও আছে। ভাটার টানেবাধে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছি । আশা করছি বাধ এখন ঝুঁকি মুক্ত।
এ ব্যাপারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নিম্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এদিকে ওই বরাদ্দ থেকে ৪৮কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থবরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে।

কমলনগরে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস, নিম্মমানের কাজের অভিযোগ

কমলনগরকে রক্ষা করা যাবে তো!

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা