একনজরে স্বপ্নযাত্রায় মেসির যত রেকর্ড

image_pdfimage_print

অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। গোটা ফুটবল বিশ্বকে উল্লাসে মাতিয়ে চির অধরা সোনালি ট্রফিটা শেষ পর্যন্ত নিজেদের করে নিয়েছে আলবিসেলেস্তারা।

বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তবে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে সেই আশা ফিকে হতে শুরু করেছিল। তবে দারুণ প্রত্যাবর্তনে এক লিওনেল মেসির হাত ধরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফাইনালে উঠে আসে লাতিন আমেরিকার দলটি।

আর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববারের সেই ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখে গোটা ফুটবল বিশ্ব। যে লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ সমতার পর ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে আর্জেন্টিনা।

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জাদুকরী এক পারফরম্যান্সে এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দ্যুতি ছড়িয়েছেন মেসি। নিজেকে বসিয়েছেন রেকর্ডবুকেও। দেখে নেওয়া যাক, কাতার বিশ্বকাপে মেসির ঝুলিতে কি কি রেকর্ড ও অর্জন এসে ধরা দিল।

১. ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন মেসি।

২. বিশ্বকাপের মঞ্চে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়ে মেসি খেলেছেন রেকর্ড ১৯টি ম্যাচ। এই তালিকায় পরের দুইটি স্থানে আছেন মেক্সিকোর রাফা মার্কেস (১৭) ও আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা (১৬)।

৩. লুসাইলের ফাইনাল দিয়ে বিশ্বকাপে মোট ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। যার মধ্য দিয়ে ভেঙেছেন জার্মানির লুথার ম্যাথেউসের ২৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।

৪. এবারের বিশ্বকাপে ৭ গোল করে আকাশী-সাদা জার্সিতে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোল স্কোরার এখন মেসি। যে তালিকায় পরের অবস্থানে আছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০), ম্যারাডোনা (৮), গিয়ের্মো স্তাবিল (৮), মারিও কেম্পেস (৬) ও গনজালো হিগুয়েন (৫)।

৫. একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ভিন্ন পাঁচটি আসরে অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েছেন মেসি। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে, পোল্যান্ডের জেগোস লাতো, আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ও ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যামের অ্যাসিস্ট আছে মোটে তিনটি আসরে।

৬. বিশ্বকাপের মঞ্চে মেসির প্রথম ও সবশেষ গোলের মাঝে ব্যবধানটা ১৬ বছর ১৮৪ দিনের। যা ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। পরের অবস্থানে আছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যে সময়টা ১৬ বছর ১৬০ দিনের।

৭. বিশ্বকাপে ২ হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন ইতালির পাওলো মালদিনির আগের ২ হাজার ২১৭ মিনিট খেলার রেকর্ড।

৮. বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১১ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মেসি। কাতারে সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই পান এই স্বীকৃতি। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে এই পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে ফিফা।

৯. ১৯৬৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে নিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ভিন্ন তিনটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের ডাবল মেসির। প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভিন্ন চারটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের অনন্য অর্জনও লা পুলগা’র।

১০. বিশ্বকাপে মেসির জয় ১৬টি ম্যাচে। অবশ্য এলএমটেন এর চেয়ে বেশি জয় আছে কেবল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার। যার জয় ১৭টি ম্যাচে।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা