কক্সবাজারের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনে দুই কিশোরী ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এক ব্যক্তিকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশের অভিযান এখনও চলছে। জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। একজন আটক রয়েছে। তার নাম-ঠিকানা পরে জানানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় ‘রাজন কটেজ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে সোমবার রাতে ২ কিশোরী ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণের শিকার হন। কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে তাদের কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি একটি চক্রের হাতে তাদের তুলে দেন। পরে রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। সোমবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যান এক কিশোরী। অপরজন ঢাকায় চলে যান। রামুতে নেমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ওই কিশোরী। পরে ওই কিশোরীর চিকিৎসক ঘটনা শুনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর থেকে রাজন কটেজের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।