১০২টি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকতারুণ্যের চলচ্চিত্র উৎসব হবে

image_pdfimage_print

লক্ষ্মীপুর:

বিশ্বের ১০২টি দেশের প্রতিযোগিদের অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপীআন্তর্জাতিক তারুণ্যের চলচ্চিত্র উৎসব এবার লক্ষ্মীপুরে অনুষ্ঠিত হবে।‘লেটস্ সিনেমা’ স্লোগান কে সামনে রেখে চলচ্চিত্র সংসদ ‘সিনেমাবাংলাদেশ’ ও সামাজিক সংগঠন ‘শূন্য’র যৌথ আয়োজনে আগামীনতুন বছরে ১০ জানুয়ারী থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এইউৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজকদের পাঠানো একপ্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকরা জানান, তিনদিন ব্যাপী এ উৎসবে ৬ টিক্যাটাগরিতে বিশ্বের ১০২ টি দেশের প্রতিযোগিদের মোট ২০৪৭ টিচলচ্চিত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে বেস্ট অব দ্য ফেস্ট বিভাগে ৩৬৬ টি, শর্টফিল্ম বিভাগে ১১৩০ টি, ইন্টারন্যাশনাল শর্ট বিভাগে ৯৮৪টি ,ডকুমেন্টারি বিভাগে ২৭২টি, এ্যানিমেশন বিভাগে ৪০৩টি ও লোকালট্যালেন্ট বিভাগে ৬৯ টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। উৎসবে দেশ-বিদেশের প্রায়অর্ধশতাধিক তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যেবেশিরভাগ নির্মাতাই উক্ত উৎসবে অংশগ্রহন করবেন। এছাড়াও তিনদিনেরএ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নির্মাতাদের সাথে বাংলাদেশীতরুণ নির্মাতাদের ভাবনাচিন্তা-অভিজ্ঞতা সম্বনয় এবং একসাথেকর্মশালায় অংশ নেবে। এতে বিশ্ব চলচ্চিত্রের উপর দিক নির্দেশনামূলকআলোকপাত করা হবে।দেশসেরা চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে গঠিত একটি জুরিবোর্ডেরমাধ্যমে ছয় ক্যাটাগরিতে সেরা চলচ্চিত্রগুলো পুরস্কার পাবে। উৎসবেরসমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি হবে ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায়,লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের টাউন হল মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতাবিভাগে অংশ নেওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সেরা চলচ্চিত্রগুলোর নাম ঘোষণা ওপুরস্কার বিতরণ করা হবে। উৎসবের টেলিভিশন পার্টনার হিসেবে থাকছেনসময় টেলিভিশন, সংবাদপত্র পার্টনার কালের কণ্ঠ এবং অনলাইন পার্টনারবাংলা ট্রিবিউন।জানতে চাইলে তারুন্যের চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক জিসান মাহাদিজানান, “সব আয়োজন ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় অনেক প্রতিভাবাননির্মাতা বাঁধ পড়ে যায়। লক্ষ্মীপুরে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীরবাইরের তরুণদের উৎসাহিত করতে চাই। লক্ষ্মীপুরের মতো শহরেও যেআন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা সম্ভব, সেটাই আমরাপ্রমাণ করতে চাই।”
চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ইয়াসিন চৌধুরী তুষারজানান, “প্রতিযোগি কোন ছবির প্রতিই অবিচার হবার সুযোগ নেই।কারণ এ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিভি ও চলচ্চিত্র বিভাগেরপ্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শফিউল আলম ভূইয়া ও অমিতাভ রেজাসহখ্যাতিমান বিচারকরা সেরা ছবিগুলো নির্ধারণ করবেন।

Related Posts

en_USEnglish