আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। যা গত আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে সর্বোচ্চ। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি ২.৫ শতাংশ পয়েন্টের মতো বেড়ে ৯.৫ শতাংশে উঠেছিল। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯.১ শতাংশে নেমে এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতির এ তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর আর কখনও এ সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।
গত ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ানো হয়নি। তখন থেকেই আগস্টে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা করা হয়।