Bangladeshi injured in BSF firing on border

image_pdfimage_print

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি বুরুংগাছড়া গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন।

জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা হনুফা বেগম সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে যান। এ নিয়ে বড়ছড়া বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে হনুফা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে বিএসএফের টহলরত এক সদস্য এসে উপস্থিত হন এবং তিনি মহিলাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দারা বিএসএফ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। বিএসএফের সদস্যরাও বাংলাদেশি নাগরিকদের ধাওয়া করেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের ৫০ গজ ভেতরে এসে তিন রাউন্ড ছড়া গুলি ছোড়ে। এতে বুরুংগাছড়া গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেনের শরীরে গুলি লাগে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত হনুফা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান (পিবিজিএম) জানান, গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে তাৎক্ষণিক বড়ছড়া শুল্ক্ক স্টেশনের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন টেকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাফর আহমদ ও ভারতের বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলং ১৯৩ ব্যাটালিয়নের বড়ছড়া বিএসএফের বড়ছড়া কোম্পানি কমান্ডার দিলীপ সিং। দুই দেশের মধ্যে ১৫ মিনিটব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে ঘটনার বিষয়টি বিএসএফ প্রথমে অস্বীকার করে। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনা ও আহতদের ছবি দেখালে বিএসএফের পক্ষে থেকে বলা হয় ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে আগামীকাল (শনিবার) ঘটনাস্থল বিএসএফ পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

অপর দিকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. সাহিদুর রহমান, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।

Related Posts

en_USEnglish