শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি, রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল ইনস্টিটিউট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম ঘোষণা করেছে।
এ পুরস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা নিজ দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী। তারা বহু বছর ধরে ক্ষমতাশীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার অধিকারকে প্রচার করেছেন।
তারা যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের উস্যুগুলো নথিভুক্ত করার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। তারা একইসঙ্গে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজের গুরুত্বকে প্রকাশ করেছেন।’
এর আগে ফরাসি লেখক অ্যানি আর্নাক্সকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার সাহসী ও তীক্ষ্ণ লিখনী শক্তির কারণে। তিনি তার লেখার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছিন্নতা এবং সম্মিলিত সংযমের বিষয়টি উন্মোচন করেছেন।
এছাড়া ৫ অক্টোবর তারিখে ক্লিক কেমিস্ট্রি ও বায়োর্থোগোনাল কেমিস্ট্রির উন্নয়নের জন্য ক্যারোলিন আর. বার্টোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেসকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।’এর আগে ৪ অক্টোবর তারিখে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট (ফ্রান্স), জন এফ ক্লাউজার (যুক্তরাষ্ট্র) এবং অ্যান্টন জেইলিঙ্গার (অস্ট্রিয়া)। কোয়ান্টাম ইনফরমেশন নিয়ে গবেষণার জন্য তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১০ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের মোট ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।এবার নোবেল ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের বিজয়ীদের সঙ্গে ২০২০ ও ২০২১ সালের বিজয়ীদেরও আগামী ডিসেম্বরে সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।