বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদে থাকা নিজেদের সাতটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ছয়টিতে সরাসরি ভোট হবে এবং একটি আসন সংরক্ষিত। ইতোমধ্যে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার। এবার সেই আসনে উপনির্বাচনের তোড়জোর শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই এসব আসনে ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। সেখানে বিএনপির এমপিদের শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে। পরবর্তী প্রসিডিউর হচ্ছে আমরা সভায় বসবো। বৈঠকে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে, কবে নির্বাচন হবে, তার শিডিউল ঘোষণা করা হবে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেবো, ইনশাআল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার আজকে ঢাকার বাইরে আছেন। আগামীকাল থাকবেন। পরশু হয়তো আসবেন। এরপর বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে হয়তো আমরা বসবো। মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয়, সেটি দিয়ে আমরা হয়তো দিয়ে দেবো। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করবো না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসেবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেবো।’ চলতি সংসদে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে একজন সংরক্ষিত আসনের এবং ছয়জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন এমন গুঞ্জন আগেই ছিল। গত শনিবার দলটির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরদিন রোববার বিএনপির সংসদ সদস্যরা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে গিয়ে তাদের পদত্যাগপত্র দেন। পরে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, তাদের আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে কোনো চাপ অনুভব করছেন না জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা কোনো প্রেশার অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখবো, গ্যালারি প্রস্তুত রাখবো। সবকিছু প্রস্তুত রাখবো প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।’

আলমগীর বলেন, ‘মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করবো, গ্যালারি তৈরি করবো।’

Related Posts

en_USEnglish