প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)। মোবাইলে এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গণভবনে বেলা ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন দুই মন্ত্রী।
গণশিক্ষামন্ত্রী বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বেলা ২টায় হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল পাবে।
প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ির ফল www.dpe.gov.bd এবং http://dperesults.teletalk.com.bd থেকে পাওয়া যাবে।
এছাড়াও যেকোনো মোবাইল থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ফল পাওয়া যাবে। আর ইবতেদায়ির ফলাফলের জন্য EBT স্পেস শিক্ষার্থীর আইডি নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করলে ফল আসবে।
জেএসসি-জেডিসির ফলwww.educationboardresults.gov.bd ছাড়াও শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে মিলবে।
মোবাইলের মেসেজ অপশনে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ড লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে এসএমএস করলেও ফল পাওয়া যাবে।
গত ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে মোট ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন। ইবতেদায়িতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এ পরীক্ষা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনীর ফল দেওয়া হচ্ছে। আগে পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গত ০১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৮ নভেম্বর। এ বছর ২৮ হাজার ৬২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন।
জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং জেডিসিতে পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন। জেএসসিতে ছাত্রের সংখ্যা নয় লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ জন। জেডিসিতে ছাত্রের সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৪২ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৫ হাজার ১০১ জন।
এবার বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী।