পদ্মাপাড়ে বসে কালাই রুটি খেলেন ওবায়দুল কাদের

image_pdfimage_print

অনলাইন ডেস্ক : ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ছয়টা। রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর পদ্মার পাড়। শহররক্ষা বাঁধের উপর দোকান বিছিয়ে কেবলই কালাই রুটিতে তা দেওয়া শুরু করেছেন দোকানি। এ সময় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মাথার উপরে সামিয়ানা টাঙানো, নিচে প্লাস্টিকের চেয়ার। চেয়ারে বসলেন মন্ত্রী। গরম গরম কালাই রুটি খেলেন আর আদা চা পান করলেন। ঘটনাস্থলে বসে তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রাণখুলে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দুই দিনের রাজশাহী সফরের দ্বিতীয় দিনের সকালটা ছিল এমন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, আবার কখনও রাজশাহী এলে কালাই রুটি খাবেন। আট মাস পর পদ্মাপাড়ে গিয়ে মন্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ হলো!

বুধবার (০১ নভেম্বর) সকালে সেতুমন্ত্রী রাজশাহী সার্কিট হাউস থেকে হাঁটতে বের হন। হাঁটতে হাঁটতে তার চিরচেনা স্বভাবে ফিরে আসেন। মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কথা বলেন সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতিসহ নানান বিষয় নিয়ে। সকাল বেলায় তাকে কাছে পেয়ে তরুণরা মোবাইল ফোনে সেলফিও তোলেন মন্ত্রীর সঙ্গে।
পদ্মাপাড়ে কালাই রুটির দোকানে কর্মীরা সেলফি তুলছেন মন্ত্রীর সঙ্গেসকালের এই আড্ডায় মন দিয়ে শোনেন সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা। এ সময় পদ্মাপাড়ের স্থানীয় মানুষ তাকে কাছে পেয়ে বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। সব শোনার পর সাবাইকে স্ব স্ব ব্যাপারে আশ্বস্তও করেন সেতুমন্ত্রী।

সকাল বেলায় খোশ মেজাজে বাংলানিউজকে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি রাজশাহীর প্রেমে পড়ে গেছি, না এসে পারব না। আবারও আসবো। আর আবারও কালাই রুটি খাব।’

পরে তার কালাই রুটি খাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তরুণ কর্মীরা। একই সঙ্গে মন্ত্রীও তার কালাই রুটি দিয়ে নাশতার ছবি টুইট করেন। সরকারের প্রভাবশালী একজন নেতা ও মন্ত্রীর এমন আচরণে আবারও মুগ্ধ হন রাজশাহীবাসী। পরে বেলা ১১টায় সেতুমন্ত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে গিয়ে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

Related Posts

en_USEnglish