নোয়াখালীতে যানজট নিরসনে টিআই সিরাজ-উদ-দৌলার নির্ভীক ভূমিকা

মো. বদিউজ্জামান  ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর শহর মাইজদীতে একদিকে   যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অন্যদিকে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ফুটপাত দখল এবং ফোরলেন সড়ক নির্মানাধীন থাকার কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়াও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার   কারনে যানজট আরও তীব্র হয়ে উঠছে। এসময় নোয়াখালীর ট্র্রাফিক বিভাগের   ইন্সপেক্টর   হিসেবে যোগদান করেন  সিরাজ-উদ-দৌলা। নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় নোয়াখালীর   সড়ককে  যানজট মুক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন তাকে রাস্তা থেকে   যানজট নিরসনসহ ট্রাফিক বিভাগে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ও কনস্টেবলদের দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। এর আগে নোয়াখালীর ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত টিআইগণকে যানজট   নিরসনে এমন ভূমিকায় দেখা যায় নি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম পিপিএম  এর দিকনির্দেশনা টিআই সিরাজ-উদ-দৌলা যোগদানের পর থেকে নোয়াখালী শহরের যানজটের দৃশ্য বদলাতে শুরু করে। যানজটের বিষয়ে সিএনজি চালক আকবর বলেন এখন আগের মতো সড়কে যানজট হয়না, আমরাও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করিনা। বাসচালক বাবুল   বলেন,সোনাপুর থেকে ছেড়ে আসা বাস মাইজদী শহরে ঢুকলে যানজটের কারনে আমরা বের হতে পারতাম না। এখন ট্রাফিক পুলিশের কারনে বের হতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না।   এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(টিআই) সিরাজ-উদ-দৌলা বলেন, নোয়াখালী শহরে যানজট মুক্ত করতে প্রতিদিন হিমসিম খাচ্ছি। তারপরও আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি নোয়াখালী  শহরকে যানজট মুক্ত   করতে।
একাজে সবার সহযোগিতা পেলে শতভাগ যানজট মুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে পারব।বর্তমান ট্রাফিক পুলিশের   কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রশংসা   কুড়িয়েছে   নোয়াখালী সুধী মহলে। জেলা শহরের   পরিবেশবিদ্  প্রতিভ দাস বলেন,   টিআই   সিরাজ-উদ-দৌলার পরিচ্ছন্ন পুলিশিং কার্যক্রমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেছে। এক্ষেত্রে পুলিশের   পাশাপাশি পৌর মেয়র এবং রাজনীতিবিদদের   সমন্বিত সহযোগিতায় শতভাগ যানজটমুক্ত নোয়াখালী উপহার দেওয়া সম্ভব।

Related Posts

en_USEnglish