আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত বিএনপির কমিটির নেতৃবৃন্ধকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ ইউনুছ।
১লা নভেম্বর ৫নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নের ডাঃ জাহাঙ্গীরের বাড়ির উঠানে ২৯অক্টোরবর ঘোষিত উপজেলা বিএনপি নেতাদের এক পরিচিত সভায় ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু স্বাক্ষরিত রামগঞ্জ উপজেলার ৬১ ও পৌরসভার ৪৭সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। ওই কমিটি প্রকাশের পর থেকে স্থানীয় পুরাতন ত্যাগী নেতাদের নাম বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষনা করায় উপজেলাব্যাপী নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১লা নভেম্বর মঙ্গলবার দক্ষিন চন্ডিপুর ডাঃ জাহাঙ্গীরের বাড়ির উঠানে পরিচিতি সভা করতে গেলে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপি নব্য নেতাদের উপর হামলা করে। এসময় নেতারা দৌড়ে পালিয়ে গেলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পদ বঞ্চিত পৌরসভা বিএনপি সহ-সভাপতি প্রবীন নেতা মোঃ ইব্রাহীম মজুমদার বলেন, জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনীতি শুরু করি। এক সময় গ্রাম সরকারের দায়িত্বে ছিলাম।
এরপর লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। তখন লক্ষ্মীপুর যুবদলের সভাপতি ছিলেন সাহাব উদ্দিন সাবু। এত ত্যাগ স্বীকারের পরেও আমাকে কমিটি থেকে কার ষড়যন্ত্রে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা জানতে চাই। আমার মেয়ে বিউটি মজুমদার ছাত্রজীবন থেকে রামগঞ্জ সরকারী কলেজের মহিলা সম্পাদিকা থেকে শুুরু করে ৩বার বিএনপি থেকে উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেছেন। গত১৫ বছর থেকে উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রীর দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু তাকে সদস্য পর্যন্ত রাখা হয়নি। যদি বর্তমান কমিটি বাতিল না করা হয় তাহলে উপজেলাব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মােঝে ত্রিমূখী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
উপজেলা বিএনপির একাংশ ও পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ কামরুজ্জামান জানান, ছাত্রদলের এক নেতা সভা চলাকালীন সময়ে হটাৎ করেই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান বাহারকে খোঁজ করতে থাকেন। এসময় ওই ছাত্রদল নেতা এখানে কোন সভা করা যাবে না বলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়।
পরে সিনিয়র নেতাদের হস্থক্ষেপে কোন ধরনের দূর্ঘটনা ছাড়াই সভা সমাপ্তি করা হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বাহার জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: ইউনুসকে দায়ী করে বলেন, বিএনপির কমিটি নিয়ে তার এত মাথা ব্যথা কেন। সে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আজকে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বেয়াদপি করেছে। আমরা জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা তাকে দ্রুত ছাত্রদল থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস জানান, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কমিটি করে যারা বিএনপিকে ধংস করতে চায় তাদেরকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এসময় তিনি রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
উপজেলা বিএনপি আহবায়ক সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেম্মদ জানান,চলমান সমস্যাগুলো নিরসনের জন্য আমাদের দফায় দফায় বৈঠক চলছে। সমাধানের পরে বিষয়টি আপনাদের প্রেস ব্রিপিং করে জানানো হবে।