Dr. World leaders' statements in favor of Yunus are a threat to independent states: Bangladesh University Council

image_pdfimage_print

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিঠি দিয়ে যে আহ্বান জানিয়েছেন তা বেআইনি ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এধরনের বিবৃতি হুমকি- উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যরা বলেন, বিষয়টি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি, গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাম্প্রতিক একটি বিবৃতি বা চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের অভিমত হলো, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এক্ষেত্রে কারো কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

‘বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। অর্থাৎ, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

‘বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের সব নাগরিকের যেমন আইনের আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রয়েছে, তেমনি আইনের প্রয়োগ সকল নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য’—উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় মন্তব্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যগণ) দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ, যা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বিশ্বাস করে যে, বিবৃতি বা চিঠি প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।

Related Posts

en_USEnglish