ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে সমুহে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে মাদারীপুরে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এই ধারা সারাদিন থাকবে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলা, কালকিনি, রাজৈর, শিবচর ও ডাসার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জীবিকার তাগিদে একপ্রকার বাধ্যহয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাহিরে বের হয়েছেন তারা। এছাড়া জেলার পৌর শহরের অনেক স্থানে বৃষ্টির পানি আটকে থাকার জন্য বেড়েছে দুর্ভোগ।

শহরের কলেজ রোড এলাকায় মাথায় প্লাস্টিক জড়িয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে আব্দুল হক নামের একজনকে। তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, ‘সব জিনিস কিন্না খাইতে হয়। ঘরে বইসা থাকলে তো কেউ খাওনা দিয়া আসবো না। রিকশা লইয়া বের হইছি এখন আল্লাহ মিলাইলে যাত্রী পাইমু।’

শরীফ বাড়ি এলাকার চায়ের দোকানি সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ভোর থেকে এই দুর্যোগ শুরু হইছে। সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। লোকজন তেমন বের হয় নাই। বৃষ্টি কমলে হয়তো লোকজন বের হইবো তখন হয়তো কিছু কেনাবেচা হইব।’ ডিসি ব্রিজ এলাকার লন্ড্রি ব্যবসায়ী উত্তম দাস বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে শহরে কোনো বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরাও দোকান খুলে বেকার বসে আছি। বিদ্যুৎ না থাকায় কাস্টমারের দেওয়া মালগুলো ডেলিভারি করতে পারছি না। বাতাস আর বৃষ্টি কমলে হয়তো বিদ্যুৎ আসবো।’

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির গতিবেগ কমে আসলেও বৃষ্টি পড়া অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দমকা হাওয়ার সঙ্গে আকাশে রয়েছে মেঘ।

Related Posts

en_USEnglish