গণিতে ফেল করা সেই ১৩ জনের ১২ জনই পেল জিপিএ-৫

image_pdfimage_print

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পিতৃভূমি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের গণিতে ফেল করা সেই ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে উত্তীর্ণ হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ সহ শতভাগ উত্তীর্ণ হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিদ্যালয়ের ৭২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন জিপিএ-৫ সহ ৫৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্য ১৩ জন শুধু গণিতে ফেল করেছে। শুধু তাই নয়, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ১৩ পরীক্ষার্থীসহ একই হলের আরও ৩৯ জন গণিতে ফেল করে।

বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আব্দুল মতিন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) শিক্ষাবোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের সংশোধিত ফল প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, হুমায়ূন আহমেদের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ফেল করা ১৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই মেধাবী। ফল প্রকাশের পর যখন দেখলাম ১৩ জন গণিতে ফেল করেছে, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম,হয়তো কিছু একটা ভুল হয়েছে। যাই হোক, অবশেষে আজ আমরা পুনরায় রেজাল্ট পেলাম। গণিতে ফেল করা ১৩ জনের সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখন আমাদের ফলাফল শতভাগ পাস এবং মোট ৭২ জনের জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।

Related Posts

en_USEnglish