কমলনগরে চাঁদা না পেয়ে নৌকায় মৎস্য কর্মকর্তার আগুন

image_pdfimage_print

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে এক মাঝির নৌকা আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মাঝি মো. মাকছুদ দাবি করছেন।

সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ভূক্তভোগী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

মাকছুদ কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরফলকন গ্রামের আতিক উল্যাহ মাঝির ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়, মাকছুদ তরমুজের মৌসুমে চরফলকন গ্রামের আক্তার মাঝির কাছ থেকে ভাড়ায় নৌকা নিয়ে চালায়। মূল পেশা জেলে হলেও বছরের এ মৌসুমটিতে তিনি মাছ ধরেন না। গত ১২ এপ্রিল তিনি নৌকাতে উপজেলার পাতাবুনিয়া থেকে মাঝের চর এলাকায় তরমুজ পরিবহণের জন্য শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কমলনগর মৎস্য কর্মকর্তা তার নৌকার গতিরোধ করে তল্লাশী চালায়। ওই নৌকায় মাছ ও জেলের সরঞ্জমাদিও পাননি তারা। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাকছুদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা সহযোগীদের নিয়ে ওই নৌকাটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

মো. মাকছুদ বলেন, জেলে হলেও তরমুজের মৌসুমে আমি মাছ শিকারে যাই না। নৌকা ভাড়া নিয়ে এসময়টিতে চর থেকে তরমুজ আনা-নেওয়া করি। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা আমার নৌকাটি পুড়িয়ে পেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ বলেন টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, ওই নৌকাটিতে অবৈধ কারেন্ট জাল ছিল। জালগুলোতে আগুন দিলে নৌকার কিছু অংশ পুড়ে যায়। তবে নৌকার মাঝির থেকে কোন টাকা দাবি করা হয়নি বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন।

Related Posts

en_USEnglish