এফডিসি থেকে চোখের জলে বিদায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে

সিনেমার অসংখ্য কালজয়ী গানের রচিয়তা কিংবদন্তি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। চিত্রপরিচালক হিসেবেও পেয়েছেন খ্যাতি। কাজের সুবাদে জীবদ্দশায় বহুবার (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ( বিএফডিসি) আসতে হয়েছে তাকে। তার আনন্দ-বেদনার বহু স্মৃতি ছড়িয়ে এই চলচ্চিত্রের সূতিকাগারে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজী মাজহারুল আনোয়ার এলেন এফডিসিতে, কিন্তু শেষবারের মতো। কারণ জাগতিক সকল বন্ধন ছিন্ন করে তিনি বিদায় নিয়েছেন। এদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে আসা হয়। তার জন্য তৈরি করা হয় বিদায় মঞ্চ।

এফডিসিতে পৌঁছানোর পর একে একে তাকে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের মানুষেরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। প্রিয় মানুষটিকে শেষবার এক নজর দেখার জন্য আসেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। তিনি বলেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মতো মেধাবী  আর কখনো ফিরে আসবেন না। তিনি খুব ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন। আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। অনেক স্মৃতি ওনার সঙ্গে। সেসব কখনো ভোলা সম্ভব না।

স্মৃতিচারণ করে সঙ্গীতশিল্পী মনির খান বলেন, এমন কোনো দিন নেই ওনার সঙ্গে আমার কথা হতো না। তার স্নেহে আমি বড় হয়েছে। গাজী চাচার শেষ ইচ্ছে ছিল, ওনার ২০ হাজারেরও বেশি গানের কপিরাইট করা। যাতে এসব গান তার পরিবার বা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে পারে।  বাদ যোহর এফডিসিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার  মরদেহ রাজধানীর চ্যানেল আইয়ের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে  জানাজার জন্য তাকে নেওয়া হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে।

এরপর বনানী কবরস্থানে বাদ আসর মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে এই কিংবদন্তিকে।

Related Posts

en_USEnglish