ইলিশের প্রজনন মৌসুম, মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ

image_pdfimage_print

রুবেল চক্রবর্তী-

৭ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে সরকার। একই সাথে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ. পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, জনবহুল হাট-বাজার ও মাছ ঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক সভার পাশাপাশি ব্যনার লিপলেটের মাধ্যমেও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, এসময়ে ইলিশ মাছ সাগর থেকে মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এসময় যাতে মা ইলিশ নিবি ডিম ছাড়তে পারে এজন্য ২২ দিনের জন্য মাছ আহরণ. পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আইন অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মাইকিং, লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে স্লুইজ ঘাট, চৌমহনী ঘাট, গুরিন্দা বাজার, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন মাছ ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন,অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, কোষ্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মতিউর রহমান বলেন, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় সরকারের আইন বাস্তবায়নে কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। মৎস্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে মা ইলিশ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, বলেন, মা ইলিশ রক্ষার অভিযান স্বার্থক ও সুন্দর করতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নদীতে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করা হবে।

উপজেলা মৎস্য মোঃ আমির হোসেন বলেন, মা ইলিশ রক্ষার ক্ষেত্রে কারো সাথে কোন আপোষ নেই। আইন বঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মা ইলিশের ডিম ছাড়া নির্বিঘœ করতে কোষ্ট গার্ড, পুলিশ ও উপজেলা প্রসানের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিবেন।

Related Posts

en_USEnglish