অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন জাতীয়করনের প্রধান বাধা

শিক্ষা দিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,দালাল করল সব শেষ।বেশিকদের অবসর ও কল্যান ট্রাস্টে ৪% কর্তনে সারা দেশের এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষক – কর্মচারি ব্যথিত,দু:খিত, শোকাবহ,লজ্জিত সাথে সাথে চিন্তিত। চিন্তার কারন হল ৪% কর্তন কি তাহলে শেখ হাসিনার শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করনের পদক্ষেপে প্রধান বাঁধা? শেখ হাসিনার সরকারকে বিপদে ফেলার জন্যই কি এই অশুভ চক্রান্ত?এই অশুভ শক্তি ঠিক ই বুঝেছেপাঁচ লাখ শিক্ষককে সরকারের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়ার এখনি সময়।তারা এই চক্রান্ত নির্বাচনের আগে ও করেছিল।শেখ হাসিনার সরকার এই চক্রান্ত বুঝে পেলে ৪% কর্তন নির্বাচনের আগে বাতিল করেছিল।আজ আবার ও এই অশুভ দালাল চক্র আবারো মাথা তুলে দাড়িয়েছে। সারা দেশের সব শিক্ষকরা যখন প্রতিবাদে একাগ্র, তখন এরাই চুপ করে আছে।এদের রুখে দেওয়ার এখনি সময়। সারা দেশ যখন শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে একমত,৫০ভাগ বাড়ি ভাড়ার জন্য সহমত,বিনা সুদে গৃহ ঋনের দাবিতে একাট্টা ঠিক তখনি এই চক্র ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকের আকাংখিত স্বপ্নের ফুলকে বুট জুতোয় থেতলে দেয়।দিয়াশলাইয়ের বাক্সের মত সহজে ভাঙ্গে জাতীয়করনের লালিত বহু আকাংখিত স্বপ্নকে। শিক্ষকরা যখন জাতীয়করনের আন্দোলনকে বেগবান করার পদক্ষেপ নিয়ে ব্যস্ত এই চক্র তখন কৌশলে টেনে হিচড়ে সে লালিত স্বপ্নকে মধ্যযুগে নিয়ে যায়।যাদের কারনে ৪% কর্তন হল এরা কুলাংগার,যাদের আদেশে শিক্ষকদের জাতীয়করনের লালিত স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হচ্ছে,স্বপ্নের জাতীয়করনের আশা ক্ষীন হচ্ছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রকাশ্যে রাস্তায় তাদের বিচার দেখতে চায়।তাদের শাস্তি চায়।যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রাইমারি স্কুলের পিয়নের থেকে ও কম বেতন পায়,তাদের সামান্য বেতন থেকে ও যারা বেশিকদের বেতন কর্তনের ইন্ধন যোগায়,যারা সরকারকে এই কুপরামর্শে সহযোগিতা করে এরা বেকুব আর নব্য রাজাকার ছাড়া আর কেউ নয়।এদের রুখে দিতেই হবে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষা ব্যবস্থা যে বেশিকরা সফলভাবে বাস্তবায়িত করে, এই বেশিকদের স্বপ্ন নিয়ে যারা তামাশা করে এরাই নব্য হিটলার। পরিশেষে বিশ্ব মানবতার বিবেক, মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা,মাদার অফ হিউম্যানিটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমীপে বিনিত আরজ আপনি দেখুন কিভাবে আজ ৯০ % দেশ গঠনের অন্যতম কারিগরদেরকে ঠকানো হচ্ছে,কিভাবে বেশিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে,আপনি সত্যটা জানুন, বেশিকদের প্রতি আপনার বিশ্ববাসী দ্বারা প্রাপ্ত উপাধি বিশ্ব মানবতার বিবেক দিয়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন।

ফিরোজ আলম,প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল(অনার্স,এম এ) মাদ্রাসা, সদর, লক্ষীপুর।

Related Posts

en_USEnglish