রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে ২৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

 

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতি- কমলনগরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৭ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান ভুঁইয়া তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে কমলনগর উপজেলায় ১৬ জন এবং রামগতি উপজেলায় ১১ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পান।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কমলনগরে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। একই সময়ে রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন রয়েছে।
কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার (নৌকা), উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী (দোয়াত-কলম), কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক (কাপ-পিরিচ), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, আবদুর রহমান দিদার (হেলিকপ্টার), বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান উল্যাহ হিরন (আনারস) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি (মোটরসাইকেল) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সাগর (টিয়াপাখি) কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ইস্রাফির (মাইক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হক মিয়া (চশমা), যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন সবুজ (তালা) ও জাহিদুল ইসলাম রনি (টিউবওয়েল) প্রতীক পান।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মহিলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন জাহান অরিন (হাঁস) মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আক্তার সুমি (কলস), মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহাদ আক্তার শাহিদা (সেলাই মেশিন) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

অন্যদিকে রামগতিতে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ (নৌকা), শরাফ উদ্দিন সোহেল আজাদ (কাপপিরিচ), মোহাং হারুনুর রশিদ মোল্লা(আনারস) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

 




কমলনগরে নারী দিবস পালিত

আমজাদ হোসেন আমু, কমলনগর(লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে “সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষষক অধিদফতরের আয়োজনে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা চত্বরে প্রদক্ষিণ করে হল রুমে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্যে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, নারীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই। সমাজে নারীদের ভূমিকা অন্যন্য। সু-শিক্ষিত নারী জাতি গড়ার কারিগর। প্রতিটি নারীকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নারী নির্যাতন,বাল্যবিবাহ,যৌতুক প্রথা, যৌন হয়রানি, নারী আন্দোলনে কাজ করতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার, তওহিদুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা ইকতারুল ইসলাম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ।

সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আলম।




আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চের এদিনে ঢাকায় রমনার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষাকে আত্দস্থ করে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু জনগণকে মুক্তিসংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী টালবাহানা শুরু করে। সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে বাংলার জনগণ।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও মূলত ৭ মার্চের ঘোষণাই গোটা জাতিকে প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিল।

দিকনির্দেশনামূলক সেই ভাষণের পথ ধরেই ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল অস্থায়ী সরকার। এ সরকারের নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তান বাহিনী আত্দসমর্পণ করে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতীয় জীবনেই শুধু নয়, মুক্তিকামী সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের কাছে এক অনন্য সাধারণ ভাষণ হয়ে আছে।

৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে।

দুপুর ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ৭ মার্চ উদযাপন করবে।




রামগতিতে চেক জালিয়াতি মামলায় দুই আসামী গ্রেফতার

আমজাদ হোসেন আমু,রামগতি(লক্ষ্মীপুর):লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চেক জালিয়াতি মামলায় দুই আসামী কে পুলিশ গ্রেফতার করেন । আসামীরা হলেন, মিজানুর রহমান ও ফিরোজ আলম। গতকাল মঙলবার দিবাগত রাতে পুলিশ জমিদার হাট কেরামতিয়া এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করেন। দু’জনই আদালত কতৃক ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। রামগতি থানা (তদন্ত) মো. ইউছুফ আলী জানান, গোপন সূত্রের খবর পেয়ে এ এস আই রবিউল সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিজানুর রহমান ও ফিরোজ আলমকে গ্রেফতার করা হয়।উক্ত অাসামীগণ ২০/০৯/২০১৮ ইং তারিখে বিজ্ঞ অাদালত কর্তৃক চেক প্রতারণার মামলায় ছয় মাসের সাজা এবং চেকের সমপরিমান জরিমানার সাজা রায়ের পলাতক আসামী ছিলেন।




বঙ্গবন্ধুর ভাষন ও বিশ্ব বরেন্য নেতাদের ভাষনের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ

শোষিত অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তির দ্বার প্রান্তে এনেছিল যে ভাষন সেটাই হল ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের ইতিহাস প্রসিদ্ধ বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ ভাষন।জাদুমুগ্ধ এই ভাষনটি তুলনামূলক বিশ্লেষনে যেমনি আপন বৈশিষ্ঠ্যে অনন্য, তেমনি বিশ্ব বরেন্য শ্রেষ্ঠ ভাষনগুলোর সাথে তুলনীয়।বঙ্গবন্ধুর এক হাজার একশত সাতটি শব্দের ১৯ মিনিটের এই কালজয়ী ভাষনে যেমনি কোন বিরক্তকর পুনরাবৃত্তি নেই,কোন বাহুল্য নেই,তেমনি আছে শুধু সারকথা,সারমর্ম।দু একটি স্থানে পুনরাবৃত্তি থাকলেও তা বক্তব্যের প্রকৃত তাৎপর্যককে বেগমান করেছে।যোগাযোগ বিজ্ঞান অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ ভাষনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল ১. Good beginning for speech তথা ভাষনের চমৎকার সূচনাপর্ব ২.জনযোগাযোগে speech idiom ব্যবহার ৩. Ask question and then answer এর ব্যবহার ৪. Declarative system ৫. শ্রোতা উদ্ধুদ্ধ ও অনুপ্রানিতকরন প্রক্রিয়া ৬.যুক্তিবিন্যাস ও তথ্যচয়ন প্রক্রিয়া ৭.Put up the attribution first নীতিমালা ৮. Agenda setting function ৯. Humanistic approach ১০. Status conferral function ১১.Possing a challenge ১২.Don’t dragout conclusion ১৩.Public address system ১৪. Humanistic kindness প্রভৃতি। বঙ্গবন্ধুর ভাষনে উপরিউক্ত সকল নিয়মাবলীর উপস্থাপন পাওয়া যায়। পেরিক্লিসের ভাষন বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: প্রাচীন গ্রীসের বক্তৃতাবিদ্যার পারদর্শী শিক্ষক পেরিক্লিসের বাগ্মিতা ছিল অসাধারন।তিনি তার বক্তব্যে বিবেকমান মানুষকে জাতীয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহনের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন।সে ভাষনে যোগাযোগ বিজ্ঞানের ১৪ টি গুনের Humanistic approach, don’t dragout conclusion, Possing a challenge সহ ৫ গুনাবলী অনুপুস্থিত ছিল। আব্রাহাম লিংকন বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন : আব্রাহাম লিংকনের ভাষনে গৃহযুদ্ধ জয়ের পর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ছিল সে ভাষনে।গনতন্ত্র সম্পর্কে আজ থেকে ১৫৩ বছর আগে ১৮৬৩ সালে ১৯ শে নভেম্বর গেটিসবার্গে মাত্র ২৭৮ শব্দের ৩ মিনিটের সে ভাষনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন উক্তি করে বলেছিলেন ” That government of the people by the people and for the people, shall not perish from the earth.তার এই ভাষন বিশ্লেষনে যে বিষয়টি চোখে পড়ে তা হল ক. এই ভাষনের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংকটের পরিসমাপ্তি তিনি এর মাধ্যমে টেনেছিলেন। খ.পৃথিবীর সকল গনতন্ত্রকামী মানুষের জন্য তাঁর ভাষনটি সমান গুরুত্ব বহন করে।গ. তাঁর ভাষনটি ছিল লিখিত,পরিশীলিত, প্রস্তুতিমূলক ভাষন, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাষনে ছিল ক. মুক্তিযুদ্ধের ডাক খ.মুক্তি প্রত্যয়টি বহুমাত্রিক – মুক্তির সংগ্রাম নিরন্তর। তাই সকল মানুষের মুক্তির জন্য এই ভাষনটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ আব্রাহাম লিংকনের ভাষনেপৃথিবীতে শুধু যারা গনতন্ত্র চায় তাদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে।গ. বঙ্গবন্ধুর ভাষন ছিল extempore speech অর্থাৎ পূর্বপ্রস্তুতিহীন, অলিখিত কিন্তু অগ্নিগর্ভ ভাষন।তুলনামূলক বিশ্লেষনে আরও প্রতীয়মান হয় যে আব্রাহাম লিংকনের ভাষনের সময়ের তুলনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনের সময়ের পরিবেশ ছিল অতি নাজুক, সংকটময় ও উত্তাল।তাই তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের বিচারে বঙ্গবন্ধুর ভাষনটিই শ্রেষ্ঠ ও অনন্য। উইনস্টন চার্চিল বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষনকে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় প্রদত্ত বেতার ভাষনের সাথেও তুলনা করা যায়।১৯৪০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।২য় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ জাতি ও সৈনিকদের উদ্ধুদ্ধ করার জন্য চার্চিলতাঁর ভাষনে বলেছিলেন “We shall fight on the beaches, we shall fight on the landing grounds,we shall fight in the fields and in the streets,we shall fight in the hills,we shall never surrender অর্থাৎ আমরা সমুদ্রতীরে,স্থলে,মাঠে,রাস্তায়,পাহাড়ে যুদ্ধ করব, আমরা কখনোই আত্মসমার্পন করবনা।তিনি আরো বলেছিলেন “I can give you blood and toil and sweat and tearsঅর্থাৎ আমি আপনাদেরকে দিতে পারি রক্ত- শ্রম,স্বেদ ও চোখের জল।তাঁরভাষন বিশ্লেষনে বলা হয় ” His rich prose and the measured cadeness of his speeches gave the British a sense of the majesty of their history.তাঁর ভাষন ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ কেন্দ্রিক অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাষন ছিল দেশের মুক্তির জন্য। মার্টিন লুথার কিং বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: বর্ণ- বৈষম্যবাদ বিরোধী আমেরিকার কালো মানুষের প্রিয় নেতা মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৩ সালের ২৮ শে আগস্ট তাঁর ঐতিহাসিক ভাষনে বলেছিলেন ” I have a dream, dream is equality ” তিনি আরো বলেছিলেন “I have a dream that one day this nation will rise up and live out the true meaning of its creed.we hold these truths to be self evident,that all men are created equal.I have a dream that my four children will one day live in a nation where they will not be judged by the colour of their skin but by the content of their character. অর্থাৎ আমার একটি স্বপ্ন আছে যে একদিন এ জাতি জাগ্রত হবে এবং তাদের ধর্মবিশ্বাসের সঠিক অর্থ বুঝবে।আমরা সাক্ষ্য হিসেবে এই সত্যগুলোকে রাখতে পারি যে সকল মানুষকে বানানো হয় সমান করে।আমার একটি স্বপ্ন আছে যে আমার চার সন্তান একদিন এমন একটি জাতি হয়ে বাস করবে, যেখানে তাদের গায়ের রং দিয়ে বিচার করা হবেনা বরং চারত্রিক কাঠামোই হবে তাদের পরিমাপক।তাঁর এই ভাষনে পৃথিবীতে যেখানেই মানুষ বর্ণ বৈষম্যের শিকার হবে তার পরিত্রানে এটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাষনে সারা পৃথিবীর যেখানেই মানুষ মুক্তি বঞ্চিত হবে সেখানেই ভাষনটি অর্থবহ।কারন তাঁর ভাষনে সুস্পষ্ট ঘোষনা ,এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
উপরের সকল সেরা ভাষন বিশ্লেষনে প্রতীয়মান হয় যে বাগ্মিতা ও শ্রোতার উপর সম্মোহনী ক্ষমতার বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনটি নি:সন্দেহে পৃথিবীর সেরা ভাষন।যোগাযোগ বিজ্ঞানের হিসেব অনুযায়ী পৃথিবীর সেরা ভাষনের ১৪ টি গুনাগুনের সবকটিই একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষনেই পাওয়া যায়।এছাড়াও শোষিত নির্যাতিত বাঙ্গালির জন্য মুক্তির বার্তা, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জনের বার্তা,বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির বার্তা,স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তোলার বার্তা তাঁর ভাষনে উপস্থিত ছিল। অলিখিত,নির্দলীয় ভাষন,কঠিন- কোমলের অসাধারন মিশ্রন সংযুক্ত ভাষন,অপূর্ব অভিব্যক্তি,বাচনভঙ্গি,তেজদীপ্ত কন্ঠসর,গনমুখী ভাষন,অত্যন্ত সুকৌশলে স্বাধীনতার ঘোষনা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে বাঙ্গালির বিজয় সম্পর্কে পূর্ন আস্থাজ্ঞাপন প্রভৃতির বিবেচনায় ৭ ই মার্চের এ ভাষনটিই শ্রেষ্ঠ।
ফিরোজ আলম, প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল ( অনার্স,এমএ) মাদ্রাসা,লক্ষীপুর ও সাধারন সম্পাদক বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখা।



বিএনপি নেতা নুরুল হুদা চৌধুরীসহ ৩ নেতার মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরীসহ তিন নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম দিদার হোসেন ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) সদস্য সচিব বাবুল হোসেন।

৪মাস আগে ঢাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন কারাবরনের পর বিএনপি নেতারা মুক্তি পাওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।

সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, গত বছরের ০৬ নভেম্বর ঢাকার কাকরাইল থেকে নুরুল হুদা চৌধুরীসহ বিএনপি তিন নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দাবি করছি।




এবার ভারতীয় সাবমেরিন ‘রুখে’ দিল পাকিস্তান

উত্তপ্ত উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশের সময় ভারতীয় একটি সাবমেরিন আটকে দিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। এ নিয়ে দুবার ভারতীয় সাবমেরিনকে রুখে দিল পাকিস্তানি নৌবাহিনী।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, সোমবার রাতে জলসীমায় প্রবেশের করায় ভারতীয় সাবমেরিনটি আটকে দেওয়া হয়েছে।
নৌবাহিনীর ওই মুখপাত্র আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওই ভারতীয় সাবমেরিনটি ধ্বংস করা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে কোনো বিষয়ই ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার যুদ্ধ নয়, শান্তির নীতি গ্রহণ করায় সাবমেরিনটিকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়।

কাশ্মীরের পুলওমায় জঙ্গি হামলার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সপ্তাহব্যাপী চলা উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর এ অভিযান আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে।




লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ইস্রফিল হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. মিলন ওরফে টাকলু মিলন গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে র‌্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক নরেশ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শনিবার (২ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মিলন সদর উপজেলার দৈন্যপুর গ্রামের মৃত মনছুর আহম্মেদের ছেলে।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর ই¯্রাফিল হত্যা মামলার আসামি মিলন ঘটনার সময় উপজেলার দত্তপাড়া বাজারে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ১১-এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি প্রনব কুমারের নেতৃত্বে অভিযান চালিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ মার্চ রাতে সদর উপজেলা বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে গুলি করে ই¯্রাফিলকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ওইসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পথচারী সোহাগ গুলিবিদ্ধ হয়। পরদিন সকালে নোয়াখালীর চাটখিলের দক্ষিণ টেলিয়া গ্রাম থেকে ই¯্রাফিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।




কমলনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বক্তব্যে মুগ্ধ সাধারণ জনগন

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর(লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমান দিদারের বক্তব্যে মুগ্ধ সাধারণ জনগন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে বৈধতা পান।

তিনি, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, বাড়ির উঠান, চায়ের দোকানে কম সময়ে অল্প কথায় ঘুছিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে জনমতে সাড়া জাগিয়েছে।

আবদুর রহমান দিদার বক্তব্যে বলেন, আমি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি । আপনারা কি চান? কোন মদখোর, জুয়াড়ি, চাঁদাবাজ, চরিত্রহীনা, মাদকসেবী, খারাপ লোক চেয়ারম্যান হোক ?
আপনারা কি এমন লোক কে ভোট দিবেন ?

তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তে ১৬ বছর চাকুরী করে অবসর নিয়েছি। আমি সেনাবাহিনী থেকে মিসনে আফ্রিকা গিয়েছি । সেখানে শিখেছি, কিভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়।

আমি জানি কিভাবে নেতৃত্বের গুনাবলী, বৈশিষ্ট্য মাধ্যমে মানুষকে সেবা দিতে হয়। আমি জানি কিভাবে এলাকা, সমাজের উন্নয়ন করতে হয়।শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করন ও দুর্নীতি রোধ করতে হয়।

তিনি বলেন, আপনারা প্রার্থী বাছাই করে আগামী ২৪ মার্চ কেন্দ্রে গিয়ে আপনার মূল্যবান ভোট দিবেন। আমি আশা করছি, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আপনাদের সেবা করতে।

আবদুর রহমান দিদার জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বৃহত্তম চর লরেন্স ইউপি,র সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম গফুর তহশিলদারেে ছেলে।




কমলনগরে নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাপ্পী

 

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক তৎপর আছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি নির্বাচনী প্রচারে উপজেলা প্রতিটি হাট-বাজারে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দল ও দলের বাহিরে প্রতিটি নেতা-কর্মীর সাথে মতবিনিময় করছেন। তিনি সাধারণ ভোটার ও তরুন ভোটারদের নজর কেড়েছেন। দল মতের উর্ধে কাজ করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। সমাজের অবহেলিত সাধারণ জনগনের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ বাপ্পী বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে বৈধতা পেয়েছি। মেঘনা ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, দল মতের উর্ধে সাধারণ জনগন ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।

মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্তান। তিনি ১৯৯৪ সালে তোরাবগন্জ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০১ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ২০০০-২০০৪ সালে বৃহত্তর রামগতি উত্তরাঞ্চল ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০১৩ সালে উপজেলা যুবলীগের সদস্য,২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সদস্য, ২০১৭ সালে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন