আগামী মাসে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে যোগ্য হিসেবে আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমপিভুক্তির দাবিতে অনেক দিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন। তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমরা অনেক আগেই এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এমপিওভুক্তির জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে সকল তথ্য দেয়া হয়েছে আমরা তা যাচাই-বাছাই করব। তাদের দেয়া তথ্য ঠিক থাকলে আগামী মাসে আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। নতুবা যোগ্য একটি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে অপরটি পেলে এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে। এ কারণে সকল যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একই সঙ্গে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এ কারণটা যদি আর্থিক হয় তবে প্রথম পর্যায়ে নতুন এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫ শতাংশ এমপিও সুবিধা দেয়া হতে পারে। যদি তা না হয়, তবে শতভাগ এমপিও সুবিধা প্রদান করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সম্প্রতি ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা বেশ কয়েকদিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। এরপর আমি তাদের নেতাদের সঙ্গে বসে তাদের সমস্যা জেনেছি। তারা অনেক কম বেতন পান-বিষয়টি অনেক মানবেতর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অনেক আনাচে-কানাচে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেও অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদলে স্বতন্ত্র মাদরাসাকে আনা যায় কিনা তা বিবেচনা করা হবে। সরকার চাইলে নতুন প্রতিষ্ঠান হবে, তবে ব্যক্তির অধীনে এমন যত্রতন্ত্র যাতে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠে তা নিয়ে কাজ করা হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের কোন পদ্ধতিতে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা যায়-তা নিয়ে আমরা দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নেব।’