বিএমজিটিএ’র সভাপতি কল্যাণ বোর্ডের সদস্য

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যান বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) এর কেন্দ্রিয় সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, প্রভাষক, ডগাইর দারুচ্ছুন্নাত ফাযিল মাদ্রাসা, ঢাকা।

কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হওয়ায় বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাধারন সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল (অনার্স) এম এ মাদ্রাসা ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওয়াজি উল্যাহ জুয়েল, সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, লক্ষ্মীপুর।

বুধবার (১০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।




লক্ষ্মীপুর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জেলা কমিটির ৯ সদস্যর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়। অভিযোগকারীরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ শরিফ ও রেজাউল করিম পারভেজ। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ, মামুন আল রশিদ ও মাইন উদ্দিন ইফতি। সাংগঠনিক সম্পাদক করিমুলহক কনক, রাকিব ইমাম ও তানজুর রহমান রুবেল। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিকট লিখিত অভিযোগটি সূত্রে জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান এর সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ছাত্রলীগের। এছাড়াও অর্থের বিনিময়ে মাদক ও অস্র ব্যবসায়ী এবং ছাত্রদল-শিবিরের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করছে কোন রকম সম্মেলন ছাড়া। এতে করে ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও জাতীয় দিবসে কমিটির অন্য সদস্যদের দাওয়াত করেন না সভাপতি ও সম্পাদকগন। তারপরেও ছাত্রলীগকে ভালোবেসে প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন অভিযোগকারীরা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। উল্লেখ্যঃ গত ২৩ এপ্রিল শাহাদাত হোসেন শরিফকে সভাপতি ও জিয়াউল করিম নিশানকে সাধারণ সম্পাদক করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা




আগামী মাসে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি : শিক্ষামন্ত্রী

আগামী মাসে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে যোগ্য হিসেবে আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমপিভুক্তির দাবিতে অনেক দিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন। তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমরা অনেক আগেই এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এমপিওভুক্তির জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে সকল তথ্য দেয়া হয়েছে আমরা তা যাচাই-বাছাই করব। তাদের দেয়া তথ্য ঠিক থাকলে আগামী মাসে আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হবে। নতুবা যোগ্য একটি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে অপরটি পেলে এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে। এ কারণে সকল যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একই সঙ্গে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এ কারণটা যদি আর্থিক হয় তবে প্রথম পর্যায়ে নতুন এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫ শতাংশ এমপিও সুবিধা দেয়া হতে পারে। যদি তা না হয়, তবে শতভাগ এমপিও সুবিধা প্রদান করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সম্প্রতি ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা বেশ কয়েকদিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। এরপর আমি তাদের নেতাদের সঙ্গে বসে তাদের সমস্যা জেনেছি। তারা অনেক কম বেতন পান-বিষয়টি অনেক মানবেতর।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অনেক আনাচে-কানাচে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেও অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদলে স্বতন্ত্র মাদরাসাকে আনা যায় কিনা তা বিবেচনা করা হবে। সরকার চাইলে নতুন প্রতিষ্ঠান হবে, তবে ব্যক্তির অধীনে এমন যত্রতন্ত্র যাতে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠে তা নিয়ে কাজ করা হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের কোন পদ্ধতিতে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা যায়-তা নিয়ে আমরা দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নেব।’




মাদরাসা শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়

এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৪২৬ বঙ্গাব্দের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) বৈশাখী ভাতার চারটি চেক অনুদান বণ্টনকারী রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারবেন।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান  এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।




এমপিও শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার চেক ছাড়

মপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৪২৬ বঙ্গাব্দের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অনুদান বণ্টনকারী চারটি ব্যাংকে চেক পাঠানো হয়েছে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারবেন। স্মারক নং- ৩৭.০২.০০০০.১০২.৩৭. ০০৩ .২০১৮/২১১৪/০৪

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রথমবারের মতো বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।




কমলনগরের মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার; নেই প্রশাসনের তৎপরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় মাছ শিকার চলেছ। দাদনদার-মহাজনরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠায় এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এমন পরিস্থিতিতে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সরকারের কাঙ্খিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলেও যেন কিছুই দেখছেন না । জেলেরা করছে না তোয়াক্কা । এদিকে কোস্টগার্ড দেখেও না দেখার বান করছে।

সোমবার বিকালে ও মঙ্গলবার সকালে কমলনগরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নিবিঘেœ মাছ শিকার করছেন। বেশির ভাগ জেলে জাটকা শিকারে ব্যবহার করছেন অবৈধ কারেন্ট জাল। বাঁধা জাল দিয়ে মারছেন ইলিশের পোনা। মশারি জাল দিয়ে নিধন করছে পোয়ামাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কমলনগরের মাতাব্বারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরার ফাঁদ পেতেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মেঘনা নদী থাকে পুরো অরক্ষিত। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে সারা রাত ধরে জেলেরা মাছ শিকার করেন। ভোরে ঘাটের আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ঘাটে জেলেরা মাছ উঠায়। লাখ-লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় প্রতিদিন। মাছ বিক্রিকালে একটি চক্র জেলেদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন; ওই টাকায় ম্যানেজ করেন সংশ্লিষ্টদের। কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, তাদের জনবলের অভাব রয়েছে। যে কারণে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবুও জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন মানছেনা জেলেরা। প্রতিদিন কমলনগরে সারি-সারি নৌকা নিয়ে শত-শত জেলে মহোসৎবে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।

প্রসঙ্গত, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।




কমলনগরে সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফররুখ আহমেদ ইমন (১৭) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার রহিমগঞ্জ এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইমন হাজীরহাট উপকূল সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং চর কাদিরা গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ইমন মোটরসাইকেল যোগে রহিমগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলো। পথে মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে। এতে ইমন মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেন।




মৌলক সাক্ষরতা প্রকল্পে সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের মতবিনিময়

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর(লক্ষ্মীপুর):

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের সম্মানী ও যাতায়াত ভাতা প্রদানে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন,প্রকল্প জেমস সহ সভাপতি প্রাক্তন প্রফেসর মোবাশ্বের হোসেন,সহ সভাপতি মোবারক হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এফএম আবদুল ওয়াজেদ তালুকদার, প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এহসানুল হক,প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন,সুপারভাইজার মো. আলা উদ্দিন সহ প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান।

সভা শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের সম্মানি ভাতা প্রদান করেন।




লক্ষ্মীপুরে ৬ জেলের জেল-জরিমানা

লক্ষ্মীপুর:

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় দায়ে ছয় জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাতে জেলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মৎস্য বিভাগ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খবিরুল আহসান তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সহকারী পরিচালক (এনএসআই) মানিক দে ও সহকারী পরিচালক (এনএসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চর রমনী মহন এলাকার আব্দুল কাদের মাঝির ছেলে সুফিয়ান হোসেন (২৬), সালাহ উদ্দিন (৩০), চাঁন মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৪), ভোলার বাসিন্দা আবদুল মতলবের ছেলে আবু কালাম (২৫)। এদের প্রত্যেকে ১০দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় ভোলার রাজাপুর এলাকার নবী মাঝির ছেলে মো. রাজিবকে (১৯) পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কুমিল্লা জেলার হোমনার বাসিন্দা খোরশেদ মোল্লার ছেলে হুমায়ুন কবিরকে (৩২) এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জব্দ হওয়া জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উল্লাহ  বলেন, ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।




কমলনগর-রামগতি মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা হবে

বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান

 

কমলনগর(লক্ষ্মীপুর)সংবাদদাতা: বিকল্পধারা মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর ০৪, কমলনগর-রামগতি আসনের সংসদসদস্য মেজর (অব.) আবদু মান্নান বলেছেন, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতি উপজেলায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিস্তৃর্ণ জনপথ বিলীনহয়ে গেছে। সারা বছর ধরে মেঘনার ভাঙ্গনে এখানকার মানুষ অসহায়।এ ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় কাজ করা হবে । শীঘ্রই প্রায় ১৪০০মিটার কাজ করা হবে। এছাড়াও আরও ১৫ কি:মি: কাজের জন্যমন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় মাতাব্বরহাট বাঁধ নির্মাণপরিদর্শণ কালে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাবলেন। তিনি আরও বলেন আমি কোন দলের নয়; সকলের এমপি। সবাই আমার কাছে সমান। আমি তাদের সবাই’র কথা শুনবো এবং এলাকারউন্নয়নের চেষ্টা করবো। সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকবো। কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিনমাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সহধর্মিনী উম্মে কুলসুম, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা আবদুজ জাহের সাজু, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রিয় নেতা মো. শহিদ উল্যাহ, বিকল্পধারার কমলনগর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিক মিয়া, রামগতি উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ মোল্লা,উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোখসানা আক্তার রুক্সি,কমলনগর প্রেস ক্লাব সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের, মো. নিজাম উদ্দিন, হাজী হারুনুর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রহমান দিদার, যুবধারার নেতা মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমানসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, গত ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে কমলনগের মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তৃর্ণ জনপথ। হুমকির মুখে রয়েছেউপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা। এলাকা বাসীরদাবীর মুখে ১ কি:মি: নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। অনিয়মও নিন্মমানের কাজ হওয়াও গত দেড় বছরে ৮ বার ধস নামে। দ্রুতসময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধের সংস্কার ও বর্ষার আগে আরও ৮ কি:মি: বাঁধ নির্মান করার দাবী জানান এলাকাবাসি।