অনন্য উচ্চতায় মাশরাফি
একজন জীবন্ত কিংবদন্তি, সফল অধিনায়ক, নেতা, দেশপ্রেমিক, অদম্য লড়াকুর নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদিও কোনো বিশেষণ দিয়েই তার বর্ণনা সম্ভব নয়। ছয় কিংবা সাতবার পাঁয়ে অস্ত্রোপচার হওয়ার পরও দমে না গিয়ে এ দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বীরোচিত ভূমিকা আর সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে মজবুত একটা অবস্থানে নিয়ে গেছেন। দেখিয়েছেন কেবল তীব্র ইচ্ছেশক্তি থাকলেই, দেশের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকলে- অনেক কিছুই সম্ভব। তিনি নিজেই যে নিজের তুলনা তা আরো একবার প্রমাণ করলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
এবারের আসর নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পাঁচটি আসরের মধ্যে চারটির শিরোপা তুলে ধরলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভিন্ন তিন দলের অধিনায়ক হয়ে এ চারটি শিরোপা লাভ করেন তিনি।
বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে আলোচনা ছিল মাশরাফি কী পারবেন অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে? শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই সে উত্তরটা দিয়ে দিলেন ম্যাশ। এর আগে চারবার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। তিনবার শিরোপা ছুঁয়েছেন মাশরাফি।
এর মধ্যে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে দুইবার এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে একবার। একবার তা বগলদাবা করেছেন সাকিব আল হাসান।
বিপিএলের প্রথম আসর মাঠে গড়ায় ২০১২ সালে। মাশরাফির নেতৃত্বে ওই আসরের ফাইনালে বরিশাল বার্নাসকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা। পরের আসরের ফাইনালে চিটাগাং কিংসকে পরাজিত করে রাজধানীর দলটিকে শিরোপা এনে দেন তিনি।
২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে নবাগত দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ডেরায় ভেড়েন নড়াইল এক্সপ্রেস। সেবার তো ইতিহাসই রচনা করেন ডানহাতি পেসার। পুরো টুর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে খেলে জীর্ণশীর্ণ দলকে ট্রফি পাইয়ে দেন। এবার দিয়ে পাঁচ আসরের চারবারই ফাইনালে খেলছেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক।
দূরদর্শী অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যাটে-বলে অনন্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করে এবার উত্তরবঙ্গের দল রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা তুলে দিয়েছেন মাশরাফি। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে টেনেহিঁচড়ে শেষ চারে জায়গা পাওয়া রংপুরই এখন চ্যাম্পিয়ন। এর কারিগর মূলত মাশরাফির নেতৃত্ব।