সানি লিওন অনুষ্ঠান করলে গণআত্মহত্যার হুমকি

সানি লিওন যদি অনুষ্ঠান করেন, তাহলে গণআত্মহত্যা ঘটবে ভারতের কর্নাটকে। ঠিক এই ভাষাতেই শুক্রবার হুমকি দিয়েছেন কর্নাটক রক্ষণা বৈদিক যুব সেনা। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর মান্যতা টেক পার্কের সামনে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেইসংগঠনের সমর্থকরা।

নতুন বছর শুরুর আগের রাতে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠান করার কথা সানি লিওনের। সেই ঘোষণার পর থেকেই নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কর্নাটক রক্ষণা বৈদিক যুব সেনার সদস্যরা। তাদের দাবি, সানির অনুষ্ঠান বাতিল না করলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্য রাস্তায় গণআত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে।

সেই সংগঠনের সম্পাদক হরীশ বলেন, ‘‘সানির অতীত ভাল নয়। ও যে সব পোশাক পরে সেটা আমরা সমর্থন করি না। আর এ সব অনুষ্ঠান পরিবারের সকলে দেখতে আসেন। তাঁদের সামনে এ ধরনের উদাহরণ তুলে ধরতে পারি না আমরা। সানি যদি শাড়ি পরে পারফর্ম করেন আমরা দেখতে যাব।
না হলে আত্মহত্যা করব। ’’

এ নিয়ে দ্বিতীয় বার সানির অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করল কর্নাটক রক্ষণা বৈদিক যুব সেনা। তাঁদের এই আচরণ বলিউডের বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছে বলে খবর।




লক্ষ্মীপুরে কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে খায়ের হাট সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় উপজেলার মধ্যে গত তিনদিন যাবত্ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকালে সড়ক দিয়ে একটি মালবাহী বড় ট্রাক পার হয়ে গেলে মিয়ার বাড়ির সামনের কালভার্টটি হঠাত্ ভেঙে যায়। এলাকাবাসী জানান, বামনী ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে খায়ের হাট সড়কের মিয়ার বাড়ির সামনের দুপাশে খালে ক্যানেল মিলিত হয়েছে। এ খালের উপরে নির্মিত পুরনো কালভার্টটি সংস্কারের অভাবে কিছুদিন আগে কিছু অংশ ধসে যায়। সর্বশেষ কালভার্টের উপর দিয়ে একটি মালবাহী ট্রাক পারাপার হতে গিয়ে তা ভেঙে পড়ে। ফলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রাক, হিউম্যান ও সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে গত তিনদিন ধরে ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহরে এ সড়ক দিয়ে চলাচলের সুযোগ না থাকায় তাদেরকে অতিরিক্ত প্রায় পাঁচ কি.মি. ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে তাদের খরচ ও ঝুঁকি দুটোই বাড়ছে। উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন ভূইয়া জানান, কালভার্টটি খারাপ থাকায় সংস্কারের জন্য আরও একমাস আগে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। ওই সময় কালভার্টটি পুনর্নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। তবে ভেঙে পড়ার বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। এখন অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।




কমলনগরে বিএনপি’ কে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের উপস্থিতিতে পুলিশ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাজিরহাট দক্ষিণ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সামনে সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজান পৌঁছলে নেতাকর্মীরা মিছিল ও স্লোগান করতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশারফ উদ্দিন নিজান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কমলনগরে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় যাই। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে আমাকে বরণ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়, ধাওয়া করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা কোনো ভাবেই প্রত্যাশা করা যায় না। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।




রামগতি-কমলনগরে বিএনপি চাঙ্গা, লক্ষ্য ধানের শীষের বিজয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। আগামী সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে এখানে গ্রুপিং আছে; তবে কোন্দল, দলাদলি ও দ্বন্দ নেই। আওয়ামী লীগের মামলা-হামলা, ভয় ও আতঙ্কে জিমিয়ে পড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচন গনিয়ে আসায় ফের চাঙা ও ফুরফুরে হয়ে উঠছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনে করেন যত কঠিন পরিস্থিতিই হোক বিএনপি নির্বাচনে গেলে এ আসন হাত ছাড়া হবার নয়। অন্য কোনো দল ছিনিয়েও নিতে পারবেনা। গত ঈদের আগে সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজানের রামগতির বাড়িতে মেজবান অনুষ্ঠান ও ঈদের পরে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু নির্বাচনী এলাকায় শো-ডাউন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের চাঙা করে দিয়েছে; সেই থেকেই তারা ফুর ফুরে। রামগতি ও কমলনগর দু’ উপজেলা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ সংসদীয় আসন। এ আসন থেকে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু মনোনয়ন প্রত্যাশি। দলীয় মনোনয় প্রাপ্তিকে ঘিরে বেশ কিছু নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত। তবে দলীয় যে কোনো কর্মসূচীতে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ দেখা যায়। লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করা। এদিকে, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জেলা বিএনপি’র সভাপতি কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম এ আসন থেকে মনোনয় প্রত্যাশা করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। বিএনপি অংশ নেওয়া বিগত নির্বাচনগুলোর আগেও মনোনয়ন প্রাপ্তিকে ঘিরে একাধিক প্রার্থী ও গ্রুপিং ছিলো। পরবর্তীতে দেখা গেছে দল যাকেই টিকেট দিয়েছে সবাই তার পাশে দাঁড়িছে। এক হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করেছে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের দেয়া মামলার শিকার। বেশ কিছু নেতা রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলা-হামলা কারণে ওই সব নেতাকর্মীরা আরও বেশি পরীক্ষিত হয়ে উঠছে বলে দাবি নেতাকর্মীদের। যে কারণে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে তারা শেষ পর্যন্ত গ্রুপিং ভেঙ্গে এক হয়ে দলের জন্য কাজ করবেন বলেও জানান। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে কেউ আশরাফ উদ্দিন নিজানের পক্ষে আবার অনেই শফিউল বারি বাবুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তারা তাকে ভোটে জয়ী করবে। রামগতি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু সায়েম মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এ আসনটি বিএনপি অধ্যশিত। এখানকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বিএনপিকে ভালোবেসে ভোট দেয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যোগ্য প্রার্থীকেই মনোয়ন দেবেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসা মনোনিত প্রার্থীকেই এখানকার জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনেকে ঘিরে বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠন এবং সেচ্ছ্বাসেবক দলের সকল ইউনিট কাজ করছে। কমলনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, বিএনপি একটি শক্তিশালি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। রামগতি-কমলনগর বিএনপির ঘাটি। এখানে কোনো গ্রুপিং নেই। সবাই দলের স্বার্থে এক ও ঐক্যবদ্ধ। রামগতি উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, এই দলের সকল নেতাকর্মী শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারা ব্যক্তির জন্য নয় দালের জন্য নিবেদিত। বিগত ৩৬ কছর ধরে দলীটি কোনো গ্রুপিং ছাড়াই এক ও অভিন্ন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। রাজনৈতিক সচেতনরা মনে করেন রামগতি-কমলনগর বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। এখানে ব্যক্তি নয় প্রতীকই বড়।




সাপ-বাঘের সঙ্গে সুখের সংসার (ভিডিও)

ভারতের নাগপুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রে এক প্রত্যন্ত গ্রামের নাম হেমলকাসা। এই ছোট্ট গ্রামেই রয়েছে এক যৌথ পরিবার। সেখানে থাকে ৯০ জন সদস্য। তবে এই সংখ্যা কিন্তু থেমে থাকার নয়। বাচ্চাদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই বৃহৎ পরিবারের সদস্য কারা জানেন? এই পরিবারকে কারা সামলাচ্ছেন? কারা রয়েছেন ভরণপোষণের দায়িত্বে? উত্তর হচ্ছে- ড. প্রকাশ এবং মন্দাকিনী আমতে।

৫০ একর জমিতেই গড়ে উঠেছে আমতেজ অ্যানিমেল আর্ক। এই আর্ক হল গত ৪৫ বছরে পশু পাখিদের স্থায়ী আস্তানা। ময়ূর, হরিণ, বাঘ, ভাল্লুক, কুমীর, হায়না কাকে চাই আপনার? ভয়ঙ্কর ভাল্লুক, হায়না যাকে দেখলে রক্ত জল হয়ে যাবে যে কোনো মানুষের, সেখানে আমতে পরিবার তার সঙ্গে খেলায় মত্ত। গৃহপালিত প্রাণীদের পাশাপাশি আমতে পরিবারের ভালোবাসা এবং স্নেহে বন্য পশুরাও যেন হয়ে উঠেছে পরিবারের সদস্য, যেখানে প্রত্যেকেই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আর সাপ? এ যেন জঙ্গল বুকের থ্রি-ডি ভার্সন।
তবে বাস্তবে, একেবারে চোখের সামনে, জলজ্যান্ত। লম্বা, ছোট, মোটা, রোগা কত কিই না বাহার তাদের। কিন্তু কারও সঙ্গে কারও ঝগড়াঝাটি নেই এতটুকু। ফণা তুললেও, তার পিছনে এতটুকুও রাগ নেই। কারণ তারা যে ড. আমতের মন্ত্রে দীক্ষিত।

ড. প্রকাশ আমতের বাবা ছিলেন একজন সমাজসেবী, আর তার ইচ্ছা ছিল এই গ্রামের জন্য কিছু করে যাওয়ার। যে দরিদ্ররা কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত তাদের জন্য বাবা আমতে এবং তার স্ত্রী সাধনা আমতে নিরন্তর সাহায্য করে গিয়েছেন। ১৯৫০-এ তাদের জন্য আনন্দন নামে একটি অরগানাইজেশন-ও খোলেন। পদ্ম বিভূষণ, গান্ধী পিস প্রাইজ, রামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড, টেম্পলটন প্রাইজ, জামনালাল বাজাজ অ্যাওয়ার্ড এমনই বহু পুরস্কার, বহু সম্মানে সম্মানিত হন তিনি। আর তারই যোগ্য উত্তরসূরীরূপে নিজেকে প্রমাণ করেন তার ছেলে ড. প্রকাশ। পাশে পান তাঁর সহধর্মিনী মন্দাকিনী আমতে-কে।

বাবা আমতে গ্রামের মানুষদের পাশেই সর্বদা থাকতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন তাদের জন্যই কাজ করে যেতে। সেই ইচ্ছে পরবর্তীকালেও মূর্ত রূপ পায় ড. প্রকাশ আমতের উদ্যোগে। তবে এই ধরনের উদ্যোগের পিছনেও রয়েছে আরও একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা।

শোনা যায়, একদিন জঙ্গলের মধ্যে ড. প্রকাশ এবং তার স্ত্রী যাচ্ছিলেন। এসময় তারা হঠাৎ দেখেন, একদল মানুষ কিছু বাঁদরকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা হতচকিত হয়ে যান। তারা ওই দলটিকে গিয়ে বলেন, যদি বাঁদরগুলোকে নাম মেরে তাদের দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে গ্রামবাসীদের সাহায্য করবেন এই দম্পতি। সেদিন থেকেই তারা ঠিক করে নেন বাকি জীবনটা এই হেমলকাসা গ্রামেই কাটাবেন।

এখন শুধু এই দম্পতিই নন, তাদের পরবর্তী দুই প্রজন্মও এই ভালোবাসার ভাষাতেই বিশ্বাসী।




এবার ৫ মিনিটে পাঁচ কোটি টাকা চাইলেন প্রিয়াঙ্কা!

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড মাতানোর পর হলিউডেও সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। ‘দেশি গার্ল’ এর অভিনয় ও গ্লামারে মুগ্ধ ভক্তরা। কিন্তু নতুন খবর হল ৫ মিনিটের পারফরম্যান্সের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করে বসেছেন প্রিয়াঙ্কা। যা শোনে রীতিমতো অবাক উদ্যোক্তারাও।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাইতে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৫ মিনিটের পারফরম্যান্সের জন্য পারিশ্রমিকের অঙ্কে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা। আর টাকার অঙ্ক এতটাই বেশি যে উদ্যোক্তারা প্রিয়াঙ্কার টিমের সঙ্গে দ্বিতীয়বার আলোচনা করতেও সাহস পাচ্ছেন না।

এর আগে ২০১৬-এ প্রডিউসার্স গিল্ড অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে শেষবার ভারতে পারফর্ম করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর অনুষ্ঠানের আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। সে কারণেই এ বার অন্য একটি অ্যাওয়ার্ড শো-এর উদ্যোক্তারা প্রিয়াঙ্কাকে চেয়েছিলেন। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটাই এখন দেখার।




এবিএম মহিউদ্দিনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার পৃথক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবিএম মহিউদ্দিনের মৃত্যুতে রাজনীতির অঙ্গনে এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো। অপূরণীয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর।




লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ২০১৭ উপলক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি এ্যাড.জহির উদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এম আলাউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীনা রহমান,পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা, জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউছুপ পাটোয়ারী, সদর থানা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন বিনু, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন ক্বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর আল ফারুক মানিক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাহজাহান কামাল, চন্দ্রগঞ্জ থানা ১৪ দলীয় জোটের নেতা মোশাররফ হোসেন পাটওয়ারী, সদর থানা আওয়ামীলীগ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন মিজান পাটোয়ারী,লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, জেলা ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ, সদর থানা ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক করিমুল হক কনক ক্বারীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় ও কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধূর একটি দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে এই দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের।




লক্ষ্মীপুরে শিবির কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলো ছাত্রলীগ

লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিবিরের গোপন বৈঠক চলাকালীন সময় হামলা চালিয়েছে এক শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ (১৪ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এসময় রাসেল নামের এক শিবির কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, রামগঞ্জ পৌরসভার জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে শিবির কর্মীরা একত্রিত হয়ে গোপন মিটিং করছিল। এসময় খবর পেয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে রাসেল নামের এক শিবির কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। রাসেল হোসেন পৌরসভা সাতারপাড়া করিম উদ্দিন বেপারী বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
এস আই জহিরুল ইসলাম জানান, শিবিরকর্মী রাসেলকে লক্ষীপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।




জাতীয় করনের দাবিতে, বিএমজিটিএ’র লক্ষ্মীপুর জেলা সম্মেলন

বাংলাদেশ জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন বিএমজিটিএ জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় যাদৈয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন শাহাদাত হোসেন, প্রভাষক যাদৈয়া ইসলামি ফাযিল মাদ্রাসা। প্রধান অতিথি ফখরুল ইসলাম যুগ্ম মহাসচিব কেন্দ্রিয় কমিটি বিএমজিটিএ। বিশেষ অতিথি জাকির হোসপন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চট্রগ্রাম বিভাগ বিএমজিটিএ, অহিদুর রহমান বাবলু সভাপতি মান্দারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মো. ওয়াজি উল্যাহ জুয়েল, সহকারি শিক্ষক, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, মো. শাহাদাত হোসাইন শিমুল সহকারি শিক্ষক শায়েস্তানগর মিশন দাখিল মাদ্রাসা, আবদুর রব ভুইয়া প্রভাষক রামগঞ্জ রাব্বানিয়া কামিল মাদ্রাসা, কামাল হোসেন ভুইয়া, সিনিয়র শিক্ষক, মে. জাকির হোসেন পাটিয়ারি, প্রভাষক নোয়াগাও মাদ্রাসা, যাদৈয়া ফাযিল মাদ্রাসা, মো. শেখ ফজলুলল হক মনি ছাত্রলীগ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক, বিভিন্ন উপজেলার প্রভাষক, শিক্ষকবৃন্দ।
এ সম্মেলন থেকে মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি, মো. ফিরোজ আলমকে সাধারন সম্পাদক ও মো. ওয়াজি জুয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।