ভোটের মাঠে ‘হিট আউট’

Dhaka: ভোটের মাঠে লড়াইয়ে নামার আগেই নিজের দোষ-গাফিলতিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর। লড়াই জমার আগেই যেন শেষ হয়ে গেলো। বিএনপি-জাতীয়পার্টিসহ বিভিন্ন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলছে এখন আপিলের ফলাফলের উপর।

রোববার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বড় বড় নেতার মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্যদিয়ে ধাক্কাটা শুরু হয়। ঢাকা-১ আসনে বিএনপির একজন প্রার্থীও টেকেননি। ফলে ভোটের লড়াইয়ের আগেই একটি আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ের পথে এগিয়ে গেলেন এক ধাপ। যদিও আসনটিতে এখনো মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি।

সেক্ষেত্রে কে হচ্ছেন এই আসনে আগামী দিনের আইনপ্রণেতা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেননা ওইদিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেদিন যদি আওয়ামী জোটের একক প্রার্থী থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে আবারও বিনা ভোটে আইনপ্রণেতা হতে যাচ্ছেন জোটের কেউ।

এখানেই শেষ নয়, যাদের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তাদেরও সুযোগ থাকছে। এই পর্বে যারা বাতিল হয়েছেন তারা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিল করতে পারবেন। আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল করা যাবে। এরপর ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি হবে। সেক্ষেত্রে যাদের ছোটখাটো ভুল রয়েছে সেগুলো মার্জনা করে ফের প্রার্থিতা বহাল রাখার সুযোগও থাকবে।

যদি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিল করেও প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখান থেকে নিষ্পত্তি হওয়ার পরে কেউ যদি আবার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগে আবেদনের পর নির্বাচিত হওয়ার পরেও প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ রয়েছে আইনে।

প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্বেই মাঠের বাইরে চলে গেলেন অনেক বড় বড় নেতা, আলোচিত মুখ। বাদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, মন্ত্রী, এমপিও রয়েছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়ার ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম)  আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজার কথা উল্লেখ করে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রোববার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে  রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান তা বাতিল ঘোষণা করেন।
শুনানির সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। জনপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ফেনী ছাড়াও বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই কারণে সেই আসন দু’টিও বাতিল করা হয়েছে। যদিও বগুড়া-৬ থেকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৮ আসনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। তার বাতিলের কারণ দেখানো হয়েছে ঋণখেলাপি। এরআগেও এই আসনে দশম সংসদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তখনও একই কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষে কোনো প্রার্থীই আর টিকে নেই। এখানে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থীর মনোনয়নই গ্রহণ করা হয়নি। এই আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ফাহিমা হোসাইন জুবলী ও নাজমুল হুদার সাবেক প্রেস সেক্রেটারি তারেক হোসেন। এদের কারও মনোনয়নই টেকেনি।

প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন পটুয়াখালী-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী, দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।

মামলার কারণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মো. নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর মো. হেলাল উদ্দিনের চট্টগ্রাম-৫ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখানেও ধানের শীষের প্রার্থিতা সংকট দেখা দিয়েছে।

শুধু এমপি হওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে দল পরিবর্তন করে বিএনপিতে যোগ দেন টক শো’র আলোচিত মুখ গোলাম মাওলা রনি। যিনি গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডিএনসিসিতে মেয়র আনিসুল হকের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে ১৮৬১ ভোট পেয়ে জামানত হারান। এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে এতো দৌড়াদৌড়ির মধ্যে নিজের হলফনামায় স্বাক্ষর করতেই ভুলে গেছেন সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা। যে কারণে তার মনোননপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে হবিগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।

এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির কারণে। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাদ পড়েছেন মহাজোটের আরেক প্রার্থী বর্তমান এমপি ও বিরোধীদল জাতীয় পার্টির হুইপ সেলিম উদ্দিন। তিনি সিলেট-৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি হয়। সেই গণজাগরণ মঞ্চ থেকে আলোচনায় আসেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। যিনি পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মেয়েকে বিয়ে করে পুনরায় আলোচনায় আসেন। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আইনে আছে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে তাকে ওই আসনের মোট ভোটার কমপক্ষে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ইমরান এইচ সরকার সেই শর্ত পূরণ করেননি। ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

একই কারণে বগুড়া-৪ আসনের তারকা আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি যে ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে তিনজন ভুয়া ভোটার ছিল। ঋণখেলাপির কারণে বাতিল হয়েছে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের মনোনয়ন।

এই তালিকা আরও দীর্ঘ। তবে এদের কেউ হয়তো আপিলে টিকে যাবেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় বিশেষ করে যাদের দুই বছরের বেশি সাজা আছে তাদের মনোনয়নপত্র শেষ পর্যন্ত নাও টিকতে পারে। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।




কমলনগরে জেএসসিতে গ্লোবাল স্কুল এন্ড কলেজ সেরা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে গ্লোবাল স্কুল এন্ড কলেজ জেএসসি পরীক্ষায় উপজেলার সেরা ফলাফল অর্জন করেছেন। এমন ফলাফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা অভিভূত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, চলতি জেএসসি পরীক্ষায় গ্লোবাল স্কুল থেকে ৪জন গ্লোডেন এ-প্লাস, ১২জন এ-প্লাস পায়। অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ৫৫ জন পাস করে। ফলাফলের দিক দিয়ে কমলনগর উপজেলার অন্যসব বিদ্যালয় থেকে এগিয়ে এই বিদ্যালয়।
গ্লোবাল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মাস্টার হুমায়ুন কবির ও অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ জানান, এ ফলাফলে সবাই সন্তুষ্ট ও আগামীতে সাফল্য ধরে রেখে শতভাগ পাসের প্রত্যাশা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গ্লোবাল স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা চলতি বছরের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমবারের মত জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সাল থেকে ৯ম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।




লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন

পরে একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এসময় বক্তাদের দাবী হৃদয় সাহা খুনের ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তাকে ষড়ষন্ত্রমূলক ভাবে জড়ানো হয়েছে। অবিলম্বে হৃদয় সাহার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানানো হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্র্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।




লক্ষ্মীপুরে জেএসসি পরীক্ষা ফেল ছাত্রীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে সানজিদা সুলতানা শ্রাবন্তী নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
(আজ) রবিবার সকাল ৯ টার দিকে নিহতের ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে ভোরে তার নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে শ্রাবন্তী আত্মহত্যা করে বলে পরিবার সুত্রে জানা যায়। নিহত ওই ছাত্রী সদর উপজেলার চরুরুহিতা গ্রামের মো. শাহীনের মেয়ে ও স্থানীয় রসুলগঞ্জ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহতের চাচা মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে ক্যামরার সামনে কতা বলতে রাজি হননি কেউ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।




নতুন বছরটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যময় : খালেদা জিয়া

বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জা‌নি‌য়ে‌ বলেছেন, ‘১ জানুয়ারি প্রতিবছর নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত হয়। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণে তৎপর হতে পারলে নতুন বছরটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যময়।’

রবিবার ৩১ ডিসেম্বর গণমাধ্য‌মে দেয়া এক বাণী‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, স্বজন হারানোর বেদনা এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বছরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে। অন্যদিকে নতুন উদ্যমে অধিকার ফিরে পেতে তাগিদ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বময় সংঘাত আর অশান্তির ঘটনা প্রবাহে নতুন বছরটিকে গণতন্ত্র, শান্তি ও অগ্রগতির বছরে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বাণী‌তে বিএন‌পি চেয়ারপার্সন ব‌লেন, বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্র অপহৃত হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি জনগণের সকল অধিকারকে বন্দী করে রেখেছে। এমতাবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত সংগ্রামে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক বিজয়, অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘বন্ধ হোক হত্যা, গুম, খুন, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অমানবিকতাসহ সকল ধরণের দমনমুলক নৃশংসতা-নববর্ষের শুরুতে আমি এ কামনা করছি সকলের অব্যাহত সুখ, স্বাচ্ছন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।’




জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। তাদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করাটা ছিল তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।

রবিবার বিকেলে যশোরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশ পরিণত হয়েছিল হত্যা, ক্যু, কারফিউর দেশ। লুটপাটের রাজত্বে কায়েম করা হয়েছিলো এ দেশে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কারফিউ জারি করে দেশ চালাতো। জিয়া কারফিউ দিয়ে ভীতিকর পরিবেশে দেশ চালাতেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়ার গণতন্ত্র ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যে যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছে, নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করাটা ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।

এর আগে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেই যশোরের উন্নয়নে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।




প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে যেভাবে

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর)। মোবাইলে এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গণভবনে বেলা ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন দুই মন্ত্রী।

গণশিক্ষামন্ত্রী বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বেলা ২টায় হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল পাবে।

প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ির ফল www.dpe.gov.bd এবং http://dperesults.teletalk.com.bd থেকে পাওয়া যাবে।

এছাড়াও যেকোনো মোবাইল থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ফল পাওয়া যাবে। আর ইবতেদায়ির ফলাফলের জন্য EBT স্পেস শিক্ষার্থীর আইডি নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করলে ফল আসবে।

জেএসসি-জেডিসির ফলwww.educationboardresults.gov.bd ছাড়াও শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে মিলবে।

মোবাইলের মেসেজ অপশনে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ড লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে এসএমএস করলেও ফল পাওয়া যাবে।

গত ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে মোট ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন। ইবতেদায়িতে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এ পরীক্ষা হচ্ছে ২০১০ সাল থেকে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনীর ফল দেওয়া হচ্ছে। আগে পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গত ০১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৮ নভেম্বর। এ বছর ২৮ হাজার ৬২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন।

জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং জেডিসিতে পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন। জেএসসিতে ছাত্রের সংখ্যা নয় লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ জন। জেডিসিতে ছাত্রের সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৪২ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৫ হাজার ১০১ জন।

এবার বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী।




২০১৮ সাল নিয়ে নস্ত্রাদামুস’র ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী!

নস্ত্রাদামুস, ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহু আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। আর সেই ভবিষ্যদ্বাণীর তালিকায় রয়েছে ২০১৮সালটিও। তার বহু কথা মিলে গেলেও, এ নিয়ে তর্ক বিতর্কও কম হয়নি। তবে সেসব দূরে রেখে চলুন দেখে নেওয়া যাক, আগামী বছর নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনায় কি ছিল।

উনি এই বছর নিয়ে নাকি জানিয়েছিলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ভাঙন ধরতে পারে। শোনা যায়-

১. নস্ত্রাদামুসের একটি বইয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু আভাস দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সেও হামলা হতে পারে, যা পরে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

২. ইতালিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যুরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

৩. ২০১৮ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, যার শুরু হবে আমেরিকা থেকে।

৪. নস্ত্রাদামুসের মতে ২০১৮ সালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে ধূমকেতু বা ক্ষুদ্র কোনও গ্রহ নাকি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে।

৫. তার মতে, ২০১৮ সালে অর্থব্যবস্থার ভেঙে পড়তে পারে।

৬. চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য মানুষের আয়ু ২০০ বছরও হতে পারে।

৭. মানুষ পশু-পাখিদের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হবে বলেও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন।




এত মাস থাকতে কেন ১ জানুয়ারিতেই বছর শুরু?

নতুন বছর একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য তৈরি আট থেকে আশি সবাই। নতুন বছরের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেকে। কিন্তু, বছরের এতগুলো মাস থাকতে কেন ১ জানুয়ারি দিয়েই বছর শুরু হয় সেকথা ভেবেছেন কখনও?

১ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, অনেক তারিখ দিয়েই শুরু হতে পারত বছর। কিন্তু কেন এই বিশেষ মাসটি বেছে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে অনেকে অনেক ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। জ্যোতিষ থেকে পরিবেশ, বিভিন্ন ব্যাখ্যা উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে।

জানা যায়, এক রোমান দেবতার নাম ছিল ‘জানুস’। যাকে শুরুর দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হত। এই দেবতার দুটি মুখ। একটি সামনের দিকে, যা ভবিষ্যতের প্রতীক আর আর একটি মুখ পিছনের দিকে, যা আসলে অতীতের দিকে তাকিয়ে থাকে। জানুয়ারি মাসটির নাম এসেছে ওই রোমান দেবতা জানুসের নাম থেকে। যখন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছিল, তখন ‘জুলিয়াস সিজার’ জানুয়ারি মাসটিকেই তাই বছর শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেন।

তবে, এক্ষেত্রে একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা যায়, জানুয়ারিতেই পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে চলে যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে Perihelion বলে। তাই এই সময়কে শুভ জিনিসের শুরু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

পরিবেশবিদদেরও এই সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। জানা যায়, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ডিসেম্বরেই সবচেয়ে ছোট দিনের সাক্ষী থাকে। জানুয়ারি থেকে একটু একটু করে বড় হতে থাকে দিন। তাই এটাকেই বছরের শুরু বলে ধরা হয়। সূত্র: কলকাতা ২৪.কম




রামগতির চর আলেকজান্ডার ইউপিতে আ’ লীগ প্রার্থী জয়ী

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৪৩ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। গণনা শেষে রাতে রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেসরকারিভাবে বিজয়ী আনোয়ার হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসডি প্রার্থী নাজমুল হাসান তারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৪৭ ভোট।