লক্ষ্মীপুরে মহাজোট রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, ৪ নেতা বহিষ্কার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে মহাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগে চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার ও শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া চার নেতা হলেন, রায়পুর পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জুয়েল মৃধা, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার রায়হান, কেরোয়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেন ও পৌর ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত ইসলাম।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিক লীগের চার নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ ইসলাম পাপুলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এতে করে তাদের দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অভিযুক্ত ওই চার নেতাকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্র বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ এবং মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অপরাধে চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে যে কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।




ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়: সিইসি

Dhaka:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতরে ফটো তোলা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, আচরণ বিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরা কি কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আচরণ বিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকেদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণে কর্মকর্তাদের অসুবিধা না হয়। বাংলাদেশি পর‌্যবেক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্যও নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবেন না। তবে, ভোটকক্ষের বাইরে করতে পারবেন।

সিইসি বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে। ঘরের মধ্যে। কেন্দ্র মানে ঘর। শুধু ঘরের মধ্যে। মাঠ নয়। ঘরে মধ্যে থেকে লাইভ করা যাবে না। গোপন কক্ষের ফটো তোলা যাবে না। বিষয়টি পরিস্কার। তবে, মোবাইল ফোনে ফটো তোলা যাবে।

যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন যান, একসঙ্গে গেলেতো তারা (প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট) কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপ্যাক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

আচরণ বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায় দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মরকর্তাদের হাতে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।

বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশি হামলা ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মহাপুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেবো। যেন নিষ্পপ্রয়োজনে কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেফতার না করা হয়।

নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।




ড. কামালের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন আজ

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের সাংবাদিকদের নিয়ে অবমাননাকারী বক্তব্য ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান ড. কামাল হোসেন। এসময় সাংবাদিকরা ‘আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রশ্নে ঐক্যফন্টের অবস্থান’ জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের র্ভৎসনা করেন এবং অসম্মানের সঙ্গে উল্টো জিজ্ঞাসা করেন ‘কতো টাকা পেয়েছো? কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো, তোমার নাম কী? দেখে নেবো, কোন টিভি/পত্রিকায় কাজ করো, চিনে রাখব’। এই মর্মে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। যা বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক দেখেছেন।

এ নিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানায় ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়-তীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এ জিডি করা হয়।




তামিম-সৌম্যর ব্যাটে সিরিজ জয় টাইগারদের

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান। ১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। যার ফলে ২-১ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।

শুরুটা দারুণ করেও প্রতিপক্ষকে ফের একবার নিজের উইকেট উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৩৩ বলে ২৩ রান করে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় কিমো পলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার। এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরির তুলে নেন। ৬৪ বলে চার হাঁকিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন এই বাংলাদেশি বাঁহাতি ওপেনার। তামিমের সঙ্গী সৌম্য সরকারও তার ওয়ানডের ৭ম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬২ বলে এই হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় সৌম্য সরকারের বিদায়ে ভাঙ্গে ১৩১ রানের জুটি। ততক্ষনে বাংলাদেশের জয় বলা যায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিজের হাফসেঞ্চুরির পর যেন ঝড় তুলেছিলেন সৌম্য। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিমো পলের ফুল লেংথ বল ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য। বিদায়ের আগে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৮১ বলে ৮০ করে ফিরলেন সৌম্য। ৩৫.২ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ১৭৬। এরপর ক্রিজে আসেন মুসফিকুর রহিম। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তামিম ১০৪ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। আর মুশফিক ১৪ বলে ১৬ রান করেন।

এর আগে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিরাজ, মাশরাফি ও সাকিবদের বোলিং দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে। যদিও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নেন শাই হোপ। তিনি করেন অপরাজিত ১০৮ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ ওভারে তার ঘূর্ণিতে মিঠুনকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে মাঠ ছাড়া হন চন্দরপল হেমরাজ। এরপর ব্যক্তিগত ৬.৪ বলে বোল্ড করে ড্যারেন ব্রাভোকে ফেরান এই টাইগার স্পিনার। ২৬ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই উইন্ডিজ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এরপর দলীয় ২৩ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে মারলন স্যামুয়েলসকে সরাসরি বোল্ড করেন রুবেল হোসেনের বদলে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরে শিমরন হেটমায়ারকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলে নিজের তৃতীয় উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ৯৯ রানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকেও ফেরান মিরাজ। ১ রান করে মুশফিকের তালুবন্দি হন তিনি। এরপর রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। তুলে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে বাউন্ডারি লাইনে থাকা সৌম্য সরকারের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন চেজ। পরে নতুন ব্যাটসম্যান ফ্যাবিয়েন অ্যালেনও সাকিবের শিকার পরিণত হন। মোহাম্মদ মিঠুন দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান তাকে।

দলীয় ১৭১ রানে ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যক্তিগত ১২ রানে কেমো পলকে বোল্ড করে বিদায় করেন তিনি। এরপর কেমার রোচকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই টাইগার তারকা। ৩ রানে এলবিডব্লিউ হন কেমার রোচ।




পর্যবেক্ষক না পাঠালেও সহায়তা দেবে বিদেশিরা

Dhaka: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক কম থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তাদের সবধরনের সহায়তা থাকবে। দেশীয় পর্যবেক্ষকদের নানাভাবে বিদেশিরা সহায়তা দেবে।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষক টানতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের উদ্যোগের পরেও নানা কারণে বিদেশি   পর্যবেক্ষকরা খুব একটা সাড়া দেননি। আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক দল আসছে। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন মিশনের কর্মকর্তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের সহায়তা দেওয়া হবে।

পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করলেও জাতিসংঘ বাংলাদেশকে নির্বাচনে সহায়তা করছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশ সংসদ নির্বাচন প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র আরো বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি কোনো ধরনের দমন-পীড়ন ছাড়া ইতিবাচক পরিবেশে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ের ভূমিকা
জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বৃহৎ আকারে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে তারা দুজন বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে। দুই বিশেষজ্ঞ হলেন—ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনা মারিয়া গৌনারি। এ দুই প্রতিনিধি গত ২৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণও করছেন। পর্যবেক্ষণ শেষে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবেন। এ দুই পর্যবেক্ষক আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়েছে, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না। নির্বাচনের প্রক্রিয়া এমনকি পরবর্তী ফল নিয়েও তারা মন্তব্য করবে না।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ দল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি দল আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে সহযোগিতা করবে দেশটি। নির্বাচন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি পর্যবেক্ষক দলকে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি দলে দু’জন করে সদস্য থাকবেন। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

পর্যবেক্ষণ নিয়ে চীনের অবস্থান
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার চীন মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের যথেষ্ট সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন হবে বলেও প্রত্যাশা করছে চীন।

বাংলাদেশে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চীন  পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত জ্যাং জু বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য বাংলাদেশের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।

অন্যান্য দেশও পাশে থাকবে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশ তাদের নানা সীমাবদ্ধতায় পর্যবেক্ষক পাঠাতে না পারলেও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকেও সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ডসহ দেশীয় নানা দেশে পর্যবেক্ষকদের আর্থিক সহায়তা দেবে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা  নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।




মিরাজ-মাশরাফিদের দাপটে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৯৮

মিরাজ, সাকিব ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাদের দাপটে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে। যদিও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নেন শাই হোপ।




ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাসদের আ স ম আবদুর রব, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবদুস সালাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

গণফোরামের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লতিফুল বারী হামিম বলেন, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ গণফোরামের নেতারা ছিলেন। তাঁরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসলামুল হকের সমর্থকেরা তাঁদের গাড়িবহরে হামলা চালান। এতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কামাল হোসেনের গাড়ি আগে বের হয়। তাঁর পেছনের গাড়িতেই ছিলেন আ স ম আবদুর রব। হামলার ঘটনায় আ স ম আবদুর রবের গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।

লতিফুল বারী অভিযোগ করেন, গণফোরামের নেতা জগলুল হায়দারের গাড়িসহ আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে আজ বেলা তিনটায় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয় পুরানাপল্টনের জামান টাওয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন ড. কামাল হোসেন।

প্রত্যদর্শীরা জানান, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে ড. কামাল হোসেনের গাড়ি রাখা ছিল। তিনি যখন গাড়িতে বসতে যাচ্ছেন, তখন অতর্কিতে ওই গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। আশপাশে যাঁরা তাঁর সঙ্গে হেঁটে আসছিলেন, তাঁদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আহত হন।

‘চুপ করো, খামোশ’
জামায়াতের বিষয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামালের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘জামায়াতের তো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, এখন জামায়াত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’

এ প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘কত টাকা পেয়েছ, এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? শহীদ মিনারে এসেছ, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছ? চিনে রাখব। চুপ করো, খামোশ!’

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। লাখো শহীদ জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে আমরা ধরে রাখি। অর্থপূর্ণ করি সকলের জন্য। এই স্বাধীনতা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে আখের গোছাতে চাচ্ছে তাদের জন্য নয়, সব মানুষের প্রাপ্য।’ তিনি বলেন, ‘শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, লোভলালসা নিয়ে লুটপাট করছে, তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবই।’




শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে তারা সেখানে শ্রদ্ধা জানান। প্রথমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এর পরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এরপর তারা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাঘন দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।

তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।

মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।




এক আসনে লড়ছেন চার দলের প্রধান!

আসছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রচারণাও শুরু হয়ে গেছে। স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে করছেন গণসংযোগ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা নির্বাচন করছেন দেশের বিভিন্ন আসন থেকে। তবে একটি আসনকে ঘিরে এবার দেশজুড়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি হচ্ছে ঢাকা-১৭ আসন।
এই আসনে এবার লড়ছেন চারটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা। তাদের মধ্যে দু’জন বর্তমান সংসদের সদস্য। অপর দু’জন সাবেক সংসদ সদস্য। আসন্ন নির্বাচনে সংসদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কে থাকবেন এগিয়ে তা নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ।

এ চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর প্রধান এসএম আবুল কালাম আজাদ এবং তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ চার ভিআইপি প্রার্থীর কারণে ঢাকা-১৭ আসন এখন গোটা দেশের দৃষ্টিতে।

তবে এ আসনে রয়েছে আরও ৬ প্রার্থী।

এ আসনে লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রার্থী এসএম আহসান হাবিব (মই), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল প্রার্থী আলি হায়দার (বাঘ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী লে. কর্নেল ডা. (অব.) একেএম সাইফুর রশিদ (কুলা), জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপফুল) লড়ছেন ভোটের মাঠে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রথমে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এমপি হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনের এমপি নির্বাচিত হন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।




উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন মান্নান

লক্ষ্মীপুর: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মহাজোটের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাগত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কমলনগর উপজেলার ফজুমিয়ার হাট এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিকল্পধারা মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

মেঘনার ভাঙনকে রামগতি ও কমলনগরের দুঃখ উল্লেখ করে মেজর (অব.) মান্নান বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে সরকার কাজ করছে। নৌকার বিজয় হলে ভাঙন রোধে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কু, সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুজ্জাহের সাজু,  রামগতির সাবেক পৌর মেয়র আজাদ উদ্দিন চৌধুরী, কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম নূরুল আমিন মাস্টারসহ বিকল্পধারার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।