জ্যোতিষীর চোখে ২০১৯

নতুন বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের শুভ যাত্রা। তিনি সরকার গঠন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ বছর ইংরেজি নববর্ষ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক, মঙ্গল হলো দেবসেনাপতি। এ রাশির ফলে কুমরি ও অঙ্গার গ্রহের প্রভাব থাকবে। ফলে বিপরীত ভাবের প্রতিফলন ঘটবে। এ ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট সরকার হটানোর আন্দোলন ও কর্মসূচি দিলেও সফল হবে না। এমনকি বিএনপির ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। গতকাল জ্যোতিষ লিটন দেওয়ান চিশতি, ড. কে সি পাল ও ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা আরও বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বছরের বিভিন্ন সময়ে হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষ এতে আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে না। বছরের বেশির ভাগ সময় দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে শুরু হবে ভাঙা-গড়ার খেলা। এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে এমপিরা আওয়ামী লীগে যোগদান করবেন। দেশ পরিচালনা ও মানবতায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে বিরল সম্মান লাভ করার সম্ভাবনা আছে। ২০১৯ সালে অগ্নিকা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস এবং হামলার ঘটনা সফলভাবে মোকাবিলা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সফলভাবে শেষ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দিকে এগোবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। দাতাসংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। জ্যোতিষীর মতে, ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। ব্যবসা ও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বছরের মাঝামাঝি ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে প্রাণ ও শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দেবে নানা জটিলতা। জ্যোতিষীরা আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। লিটন দেওয়ান চিশতি  বলেন, ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চাড়া দেবে। ফলে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কিছুটা সহিংস রূপ নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক উন্নতি বিগত বছরের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদেশে সরকারের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে। বিদেশি দাতা ও সাহায্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা বাড়িয়ে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর খ্যাতি ও কর্মদক্ষতা প্রশংসিত হবে। আইনি জটিলতায় এ বছর খালেদা জিয়া জামিন নাও পেতে পারেন। ড. কে সি পাল বলেন, বিএনপির টানাপড়েন দলের ভিতরে নতুন করে সমস্যার জন্ম দেবে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে পারে। এ বছরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা অনিশ্চিত থাকবে। তুচ্ছ কারণে সহিংস রাজনৈতিক কার্যকলাপ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে মতে, নতুন বছরের শুরুতে এক জোট ত্যাগ করে অন্য জোট গঠনসহ রাজনীতির নানা ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।




৩ জানুয়ারি শপথ নেবেন সংসদ সদস্যরা: তথ্যমন্ত্রী

আগামী ৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।




একাদশ সংসদের সদস্য হলেন যারা

Dhaka:

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে নির্বাচিত হয়ে একাদশ সংসদে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ২৫৬ জন রাজনীতিক। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন। এছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুই অংশের ৩ জন, তরিকত ফেডারেশনের ১ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১ জন এতে নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মহাজোটের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২৮৮ জন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৫ জন। তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জোট দেওয়া গণফোরামের দুই রাজনীতিকও হয়েছেন সংসদ সদস্য। এর বাইরে আরও তিন স্বতন্ত্র রাজনীতিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সদস্যরা হলেন
গোপালগঞ্জ-৩: শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জ-২: শেখ ফজলুল করিম সেলিম
গোপালগঞ্জ-১: মুহাম্মদ ফারুক খান

কক্সবাজার-১: আশেক উল্লাহ রফিক
কক্সবাজার-২: জাফর আলম
কক্সবাজার-৩: সাইমুম সরওয়ার কমল
কক্সবাজার-৪: শাহীন আক্তার

কুষ্টিয়া-১: আ ক ম সরোয়ার জাহান বাদশা
কুষ্টিয়া-২: হাসানুল হক ইনু (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ)
কুষ্টিয়া-৩: মাহবুব উল আলম হানিফ
কুষ্টিয়া-৪: সেলিম আলতাফ জর্জ

মেহেরপুর-১: ফরহাদ হোসেন দোদুল
মেহেরপুর-২: সাহিদুজ্জামান

নাটোর-১: শহীদুল ইসলাম বকুল
নাটোর-২: শফিকুল ইসলাম শিমুল
নাটোর-৩: জুনাইদ আহমেদ পলক
নাটোর-৪: আব্দুল কুদ্দুস

ফেনী-১: শিরিন আখতার (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ)
ফেনী-২: নিজাম উদ্দিন হাজারী

জামালপুর-১: আবুল কালাম আজাদ
জামালপুর-২: ফরিদুল হক খান দুলাল
জামালপুর-৩: মির্জা আজম
জামালপুর-৪: ডা. মুরাদ হাসান
জামালপুর-৫: ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন

ঠাকুরগাঁও-১: রমেশ চন্দ্র সেন
ঠাকুরগাঁও-২: প্রার্থী দবিরুল ইসলাম

নীলফামারী-১: আফতাব উদ্দিন সরকার
নীলফামারী-২: আসাদুজ্জামান নূর

নড়াইল-১: কবীরুল হক মুক্তি
নড়াইল-২: মাশরাফি বিন মর্তুজা

ভোলা-১: তোফায়েল আহমেদ
ভোলা-২: আলী আজম মুকুল
ভোলা-৩: নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন
ভোলা-৪: আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব

লক্ষ্মীপুর-১: আনোয়ার খান
লক্ষ্মীপুর-৩: একেএম শাহজাহান কামাল
লক্ষ্মীপুর-৪: মেজর (অব.) আবদুল মান্নান (বিকল্পধারা বাংলাদেশ, নৌকা)

চুয়াডাঙ্গা-১: সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার
চুয়াডাঙ্গা-২: আলী আজগর টগর

মানিকগঞ্জ-১:  এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়
মানিকগঞ্জ-২: মমতাজ বেগম
মানিকগঞ্জ-৩: জাহিদ মালেক

চাঁদপুর-১: ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর
চাঁদপুর-২: মো. নুরুল আমিন
চাঁদপুর-৩: ডা. দীপু মনি
চাঁদপুর-৪: মুহম্মদ শাফিকুর রহমান
চাঁদপুর-৫: মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম

সাতক্ষীরা-১: মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
সাতক্ষীরা-২: মীর মোস্তাক আহমেদ রবি
সাতক্ষীরা-৩: ডা. আ ফ ম রুহুল হক
সাতক্ষীরা-৪:  জগলুল হায়দার

নওগাঁ-১: সাধন চন্দ্র মজুমদার
নওগাঁ-২: শহিদুজ্জামান সরকার
নওগাঁ-৩: ছলিম উদ্দিন তরফদার
নওগাঁ-৪: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক
নওগাঁ-৫: নিজাম উদ্দিন জলিল জন
নওগাঁ-৬: ইসরাফিল আলম

পি‌রোজপুর-১: অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম
‌পি‌রোজপুর-২: আ‌নোয়ার হো‌সেন মঞ্জু (জাতীয় পার্টি-জেপি, বাইসাইকেল প্রতীক)

লালমনিরহাট-১: মোতাহার হোসেন
লালমনিরহাট-২: নুরুজ্জামান আহমেদ

পটুয়াখালী-১: অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া
পটুয়াখালী-২:  আ স ম ফিরোজ
পটুয়াখালী-৩: এস এম শাহজাদা সাজু
পটুয়াখালী-৪: মহিবুর বরহমান মহিব

দিনাজপুর-১: মনোরঞ্জন শীল গোপাল
দিনাজপুর-২: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
দিনাজপুর-৩: ইকবালুর রহিম
দিনাজপুর-৪: আবুল হাসান মাহমুদ আলী
দিনাজপুর-৫: মোস্তাফিজুর রহমান
দিনাজপুর-৬: শিবলী সাদিক

টাঙ্গাইল-১: ড. আব্দুর রাজ্জাক
টাঙ্গাইল-২: তানভীর হাসান ছোট মনির
টাঙ্গাইল-৩: আতাউর রহমান খান
টাঙ্গাইল-৪: হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী
টাঙ্গাইল-৫: মো. ছানোয়ার হোসেন
টাঙ্গাইল-৬: আহসানুল ইসলাম টিটু
টাঙ্গাইল-৭: একাব্বর হোসেন
টাঙ্গাইল-৮: অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের

মাদারীপুর-১: নূর ই আলম চৌধুরী লিটন
মাদারীপুর-২: শাজাহান খান
মাদারীপুর-৩: ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ

শরীয়তপুর-১: ইকবাল হোসেন অপু
শরীয়তপুর-২: একেএম এনামুল হক শামীম
শরীয়তপুর-৩: নাহিম রাজ্জাক

নারায়ণগঞ্জ-১: গোলাম দস্তগীর গাজী
নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম বাবু
নারায়ণগঞ্জ-৪: একেএম শামীম ওসমান

জয়পুরহাট-১: সামছুল আলম দুদু
জয়পুরহাট-২: আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

শেরপুর-১: আতিউর রহমান আতিক
শেরপুর-২: মতিয়া চৌধুরী
শেরপুর-৩: একেএম ফজলুল হক

পাবনা-১: শামসুল হক টুকু
পাবনা-২: আহমেদ ফিরোজ কবির
পাবনা-৩: মকবুল হোসেন
পাবনা-৪: শামসুর রহমান শরীফ
পাবনা-৫: গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স

খুলনা-১: পঞ্চানন বিশ্বাস
খুলনা-২: শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল
খুলনা-৩: বেগম মন্নুজান ‍সুফিয়ান
খুলনা-৪: আবদুস সালাম মুর্শেদী
খুলনা-৫: নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
খুলনা-৬: শেখ মো. আখতারুজ্জামান বাবু

ব‌রিশাল-১: আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ
ব‌রিশাল-২: মো. শা‌হে আলম
ব‌রিশাল-৪: পংকজ নাথ
ব‌রিশাল-৫: ক‌র্নেল (অব.) জা‌হিদ ফারুক শামীম

ঝিনাইদহ-১: আব্দুল হাই
ঝিনাইদহ-২: তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি
ঝিনাইদহ-৩: শফিকুল আজম খান চঞ্চল
ঝিনাইদহ-৪: আনোয়ারুল আজিম আনার

ঝালকাঠি-১: বজলুল হক হারুন
ঝালকাঠি-২: আমির হোসেন আমু

নেত্রকোনা-১: মানু মজুমদার
নেত্রকোনা-২: আশরাফ আলী খান খসরু
নেত্রকোনা-৩: অসীম কুমার উকিল
নেত্রকোনা-৪: রেবেকা মোমিন
নেত্রকোনা-৫: ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল

বরগুনা-১: অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু
বরগুনা-২: শওকত হাচানুর রহমান রিমন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: বিএম ফরহাদ হোসেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: অ্যাডভোকেট আনিসুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: এবাদুল করিম বুলবুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম

যশোর-১: শেখ আফিল উদ্দিন
যশোর-২: মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাসির উদ্দিন
যশোর-৩: কাজী নাবিল আহমেদ
যশোর-৪: রণজিত কুমার রায়
যশোর-৫: স্বপন ভট্টাচার্য
যশোর-৬: ইসমাত আরা সাদেক

বাগেরহাট-১: শেখ হেলাল উদ্দীন
বাগেরহাট-২: শেখ সারহান নাসের তন্ময়
বাগেরহাট-৩: হাবিবুন নাহার বিপুল
বাগেরহাট-৪: ডা. মোজাম্মেল হোসেন

ময়মনসিংহ-১: জুয়েল আরেং
ময়মনসিংহ-২: শরীফ আহমেদ
ময়মনসিংহ-৩: নাজিম উদ্দিন আহমেদ
ময়মনসিংহ-৫: কাজী খালিদ বাবু
ময়মনসিংহ-৬: মোসলেম উদ্দিন অ্যাডভোকেট
ময়মনসিংহ-৭: হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী
ময়মনসিংহ-৯: আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন
ময়মনসিংহ-১০: ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল
ময়মনসিংহ-১১: কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু

মৌলভীবাজার-১: মো. শাহাব উদ্দিন
মৌলভীবাজার-৩: নেছার আহমদ
মৌলভীবাজার-৪: মো. আব্দুস শহীদ

হবিগঞ্জ-১: শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী
হবিগঞ্জ-২: অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান
হবিগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির
হবিগঞ্জ-৪: অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী

সিরাজগঞ্জ-১: মোহাম্মদ নাসিম
সিরাজগঞ্জ-২: ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না
সিরাজগঞ্জ-৩: ডা. আব্দুল আজিজ
সিরাজগঞ্জ-৪: তানভীর ইমাম
সিরাজগঞ্জ-৫: আব্দুল মমিন মন্ডল
সিরাজগঞ্জ-৬: হাসিবুর রহমান স্বপন

চট্টগ্রাম-১: ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
চট্টগ্রাম-২: সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)
চট্টগ্রাম-৩: মাহফুজুর রহমান মিতা
চট্টগ্রাম-৪: দিদারুল আলম
চট্টগ্রাম-৬: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৭: ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৮: মইনউদ্দীন খান বাদল (জাসদ-আম্বিয়া, নৌকা প্রতীকে)
চট্টগ্রাম-৯: ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
চট্টগ্রাম-১০: ডা. আফছারুল আমীন
চট্টগ্রাম-১১: এমএ লতিফ
চট্টগ্রাম-১২: সামশুল হক চৌধুরী
চট্টগ্রাম-১৩: সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ
চট্টগ্রাম-১৪: নজরুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-১৫: আবু রেজা নদভী
চট্টগ্রাম-১৬: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী

নরসিংদী-১: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু
নরসিংদী-২: ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দিলীপ
নরসিংদী-৩: জহিরুল হক ভূইয়া মোহন
নরসিংদী-৪: নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন
নরসিংদী-৫: রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু

রাজশাহী-১: ওমর ফারুক চৌধুরী
রাজশাহী-২: ফজলে হোসেন বাদশা (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
রাজশাহী-৩: আয়েন উদ্দিন
রাজশাহী-৪: ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক
রাজশাহী-৫: ডা. মনসুর রহমান
রাজশাহী-৬: শাহরিয়ার আলম

কিশোরগঞ্জ-১: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
কিশোরগঞ্জ-২: নূর মোহাম্মদ
কিশোরগঞ্জ-৪: রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক
কিশোরগঞ্জ-৫: আফজাল হোসেন
কিশোরগঞ্জ-৬: নাজমুল হাসান পাপন

গাইবান্ধা-২: মাহাবুব আরা বেগম গিনি
গাইবান্ধা-৪: মনোয়ার হোসেন চৌধুরী
গাইবান্ধা-৫: অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া

কুড়িগ্রাম-১: আসলাম হোসেন
কুড়িগ্রাম-৩: অধ্যাপক এম এ মতিন
কুড়িগ্রাম-৪: মো জাকির হোসেন

কুমিল্লা-১: মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া
কুমিল্লা-২: সেলিমা আহমেদ
কুমিল্লা-৩: ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন
কুমিল্লা-৪: রাজী মোহাম্মদ ফখরুল
কুমিল্লা-৫: অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু
কুমিল্লা-৬: আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার
কুমিল্লা-৭: অধ্যাপক আলী আশরাফ
কুমিল্লা-৮: নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল
কুমিল্লা-৯: মো. তাজুল ইসলাম
কুমিল্লা-১০: আ হ ম মুস্তফা কামাল
কুমিল্লা-১১: মো. মুজিবুল হক

সুনামগঞ্জ-১: মোয়াজ্জেম হোসেন রতন
সুনামগঞ্জ-২: জয়া সেন গুপ্তা
সুনামগঞ্জ-৩: এম এ মান্নান
সুনামগঞ্জ-৫: মহিবুর রহমান মানিক

নোয়াখালী-১: এইচএম ইব্রাহিম
নোয়াখালী-২: মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-৩: মামুনুর রশীদ কিরন
নোয়াখালী-৪: একরামুল করিম চৌধুরী
নোয়াখালী-৫: ওবায়দুল কাদের
নোয়াখালী-৬: আয়েশা ফেরদৌস

পঞ্চগড়-১: মজাহারুল হক প্রধান
পঞ্চগড়-২: অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন

বগুড়া-১: আব্দুল মান্নান
বগুড়া-৫: হাবিবর রহমান

সিলেট-১: ড. এ কে আব্দুল মোমেন
সিলেট-৩: মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী
সিলেট-৪: ইমরান আহমদ চৌধুরী
সিলেট-৫: হাফিজ আহমদ মজুমদার
সিলেট-৬: নুরুল ইসলাম নাহিদ

মাগুরা-১: অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর
মাগুরা-২: বীরেন শিকদার

গাজীপুর-১: আ ক ম মোজাম্মেল হক
গাজীপুর-২: জাহিদ আহসান রাসেল
গাজীপুর-৩: ইকবাল হোসেন সবুজ
গাজীপুর-৪: সিমিন হোসেন রিমি
গাজীপুর-৫: মেহের আফরোজ চুমকি

ঢাকা-১: সালমান এফ রহমান
ঢাকা-২: অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বিপু
ঢাকা-৫: হাবিবুর রহমান মোল্লা
ঢাকা-৭: হাজী মো. সেলিম
ঢাকা-৮: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী
ঢাকা-১০: শেখ ফজলে নূর তাপস
ঢাকা-১১: এ কে এম রহমতুল্লাহ
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
ঢাকা-১৩: সাদেক খান
ঢাকা-১৪: আসলামুল হক
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ
ঢাকা-১৭: আকবর হোসেন পাঠান ফারুক
ঢাকা-১৮: অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন
ঢাকা-১৯: ডা. এনামুর রহমান
ঢাকা-২০: বেনজির আহমেদ

মুন্সিগঞ্জ-১: মাহী বি চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ)
মুন্সিগঞ্জ-২: সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি
মুন্সিগঞ্জ-৩: মৃণাল কান্তি দাস

রাজবাড়ী-১: কাজী কেরামত আলী
রাজবাড়ী-২: জিল্লুল হাকিম

ফরিদপুর-১: মনজুর হোসেন
ফরিদপুর-২: সাজেদা চৌধুরী
ফরিদপুর-৩: ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন

রংপুর-২: আহসানুল হক চৌধুরী
রংপুর-৪: টিপু মুনশি
রংপুর-৫: এইচ এন আশিকুর রহমান
রংপুর-৬: শিরীন শারমিন চৌধুরী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: সামিল উদ্দিন

খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
রাঙামাটি: দীপঙ্কর তালুকদার
বান্দরবান: বীর বাহাদুর উশৈসিং

জাতীয় পার্টি
রংপুর-১: মসিউর রহমান রাঙ্গা
রংপুর-৩: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
ঢাকা-৪: সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা
ঢাকা-৬: কাজী ফিরোজ রশীদ
বগুড়া-২: শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ
বগুড়া-৩: অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার
ফেনী-৩: লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
নারায়ণগঞ্জ-৩: লিয়াকত হোসেন খোকা
নারায়ণগঞ্জ-৫: একেএম সেলিম ওসমান
লালমনিরহাট-৩: গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের
নীলফামারী-৩: রানা মোহাম্মদ সোহেল
নীলফামারী-৪: আহসান আদেলুর রহমান
‌পি‌রোজপুর-৩: ডা. রুস্তম আলী ফরাজী
কিশোরগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু
ময়মনসিংহ-৪: বেগম রওশন এরশাদ
ময়মনসিংহ-৮: ফখরুল ইমাম
সুনামগঞ্জ-৪: পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ
ব‌রিশাল-৩: গোলাম কি‌বরিয়া টিপু
ব‌রিশাল-৬: নাস‌রিন জাহান রত্না
চট্টগ্রাম-৫: ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
গাইবান্ধা-১: ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
কুড়িগ্রাম-২: পনির উদ্দিন আহম্মেদ

বিএনপি
বগুড়া-৪: মোশারফ হোসেন
বগুড়া-৬: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ঠাকুরগাঁও-৩: জাহেদুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: আমিনুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: হারুনুর রশিদ

অন্যান্য
সিলেট-২: মোকাব্বির খান (গণফোরাম, উদীয়মান সূর্য প্রতীক)
মৌলভীবাজার-২: সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ (ঐক্যফ্রন্ট, ধানের শীষ) (৩)
লক্ষ্মীপুর-২: মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ)
বগুড়া-৭: রেজাউল করিম বাবলু (স্বতন্ত্র, বিএনপি) (২)
ফরিদপুর-৪: মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ)

অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রয়েছে। এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে পুনঃতফসিল ঘোষিত হয়েছে গাইবান্ধা-৩ আসনে।




বিপুল ভোটে বিজয়ী শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট।

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মারুফ শেখ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. এনামুল হক আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. উজির ফকির সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট।




লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে নৌকার জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) হলেন মেজর আব্দুল মান্নান। এর আগে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় যুক্তফন্টের হয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থন (নৌকা প্রতীক) নেন।

জানা যায়, যুক্তফন্ট প্রার্থী মেজর আব্দুল মান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে ১লাখ ৮৩ হাজার ৯শ’ ৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় ঐক্যফন্টের প্রার্থী আ স ম রব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯শ’ ৭৩ ভোট পেয়ে হেরে যান।

মেজর আব্দুল মান্নানের জয়ে রামগতি-কমলনগরের সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাঁর নেতাকর্মীরা এই বিজয়কে জনগণের বিজয় বলে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।




টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ

জ্যোতিষীর চোখে:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ঘটনায় দু-একজনের প্রাণহানি ও শতাধিক লোকের আহত হবার সম্ভাবনা আছে। বিএনপি জোটে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এছাড়া বিএনপি থেকে একাধিক নেতার আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারে বলে মনে করছেন জোতিষবিদগণ। গতকাল জ্যোতিষ লিটন দেওয়ান চিশতি, ড. কে সি পাল ও ড. রাম প্রসাদ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। তারা বলছেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও জনপ্রিয়তার বলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই শতাধিক আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন তিনি।

এছাড়া জোতিষশাস্ত্র মতে, গ্রহের প্রভাবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কিছুটা সংঘাতপূর্ণ। ফলশ্রুতিতে নির্বাচন পরবর্তী কিছুদিন যাবে বিক্ষোভ ও আন্দোলন নিয়ে। সরকার এসব ভালোভাবে দমন করে সবার প্রশংসা অর্জন করবে। জ্যোতিষীরা আরও বলছেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৯ সালের প্রথম দিকে আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন লাভ করতে পারবেন। পরে আন্দোলনের নতুন ডাক দিতে পারেন। জ্যোতিষীদের মতে, ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। ব্যবসা ও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বছরের মাঝামাঝি ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে প্রাণ ও শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। তবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া বিএনপি জোটের কিছু শরিক দলের নেতাদের দল ভাঙার কারণে এ জোট কিছুটা ক্ষতির মুখেও পড়তে পারে। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত কিছুটা সহিংস রূপ নিতে পারে। পরে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। দেশের সার্বিক উন্নতি বিগত বছরের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদেশে সরকারের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে। বিদেশি দাতা ও সাহায্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা বাড়িয়ে দেবে।
লিটন দেওয়ান চিশতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট একাদশ সংসদ নির্বাচনে আড়াই’শ আসনে বিজয়ী হবে। পাশাপাশি নতুন বছরের শুরুতে সরকার গঠন করবে। নতুন সরকারে কয়েকজন নতুন মুখ দেখা যাবার সম্ভাবনা আছে। নতুন সরকার নতুন নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করে জনগণের মনে আস্থার সৃষ্টি করবেন। এদিকে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস এবং হামলার ঘটনা সফলভাবে মোকাবিলা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সফলভাবে শেষ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়বে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দিকে এগোবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হতে পারে। দাতাসংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। জ্যোতিষ ড. কে সি পাল বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও দুর্নীতি দমনে কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ২২০-২৩০ আসনে বিজয়ী হবে। অপর দিকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ৭০ থেকে ৭৫ আসন পেতে পারে। এ নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এতে নির্বাচন কমিশনের সুনাম দেশে বিদেশে বেড়ে যাবে। এছাড়া ২০১৯ সালের শুরুতে নতুন সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। নতুন বছর ২০১৯ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন ও কর্মসূচি সফল হবে না। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে হরতালসহ নানান কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষ এতে আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে না। নতুন বছরের বেশির ভাগ সময় দেশে বিরাজ করবে আন্দোলনের পরিবেশ। ড. রাম প্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সফলতার পরিচয় দিবে। ফলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সব মহলের আস্থা আরও বাড়বে। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ বৃহত্তর জোট গঠনে সক্রিয় হবে। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের টানাপড়েন বাড়বে বলে ড. রাম প্রসাদ মনে করছেন।

 




সহিংসতার শঙ্কায় হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা ইসির

Dhaka:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব সরকারি হাসপাতালগুলোকে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখতেও বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্দেশনা বলা হয়েছে- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর তিন দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত এবং অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে।

সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রায় ৮ লাখ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রতি সংসদ নির্বাচনেই সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। দলীয় কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে সহিংসতায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকবলও আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দশম সংসদ নির্বাচনেও কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় নেতারাও হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশের গুলিতেও কেউ কেউ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইতোমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে যে সহিংসতা হয়েছে, তা নিয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন।

ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা  জানান, স্থানীয় নির্বাচনেই অনেক জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেকস্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভোটে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ লোকবল কাজ করবেন। এদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




নৌকায় উন্নয়ন নৌকাতে মঙ্গল : মেজর (অব.) মান্নান

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুর-৪ (কমলনগর-রামগতি) আসনের মহাজোটের প্রার্থী বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেছেন নৌকাতে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশ এগিয়ে যায়, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে আওয়ামীলীগে যোগ দিতে হবে, নৌকায় ভোট দিতে হবে। নৌকায় উন্নয়ন, নৌকায় মঙ্গল, নৌকা ভবিষ্যৎ। এখন নৌকার পক্ষে গণজোয়ার। ৩০ তারিখ সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও সরকার প্রধান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মাঠে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধ করে রামগতি কমলনগরকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে তোলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে এই জনপদ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বর্তমান এমপি আবদুল্লাহ, বিকল্পধারা কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের, কমান্ডার সফিক উদ্দিন সহ-সভাপতি ও হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, হাজী হারুনুর রশিদ, ইউছুফ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন বাঘা, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, জাতীয় পাটির নেতা গিয়াস উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আবুল বাছেতসহ আওয়ামীলীগ,বিকল্পধারা ও জাতীয়পাটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




শুক্রবার সকাল ৮টার আগেই শেষ ভোটের প্রচারণা

Dhaka:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার কাজ শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার আগেই শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকাল ৭টা ৫৯ মিনিট হচ্ছে প্রচার কাজের শেষ সময়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশনার আলোকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ‘১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা ও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ, ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।’

অর্থাৎ, সংসদ নির্বাচনের সব প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার আগেই। আর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না।

এছাড়া যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগের দিন রাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিনবোট ও স্পিডবোটগুলোর চলাচলের উপর উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

তবে সারাদেশে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষেত্র বিশেষ আরো অধিককাল মোটরসাইকেল বা অনুরূপ যান চলাচল নিষেধ থাকবে।

জাতীয় মহাসড়ক এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যানবাহন বা নৌযান ও জরুরি সেবা প্রদানকারী বা অনুরূপ যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য হবে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কেও এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।

এবার নিবন্ধিত ৩৯টি দলই প্রার্থী দিয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী যোগ হয়ে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৮৪৭ জন




জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন এরশাদ

চিকিৎসা শেষে সিঙ্গপুর থেকে দেশে ফিরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন এরশাদ। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী সাংবাদিকদের বলেন, এইচ এম এরশাদ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে রাত ৯টার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।