সদর উপজেলাগুলোর সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট

Dhaka:

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলাগুলোয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে পুরোটাই এই যন্ত্রে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিশন বৈঠক শেষে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উপজেলাগুলোর মধ্যে সদর উপজেলাগুলোয় ইভিএম ব্যবহারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সদর উপজেলার পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তফসিল দিয়ে মার্চের প্রথম থেকে পাঁচ ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছয়টি আসনের পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইভিএমে ভোটের হার ছিল আশানুরুপভাবে কম।

এই প্রথম বিশাল আকারে স্থানীয় নির্বাচনেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০১০ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোটগ্রহণ করছে।

ইতোমধ্যে ব্যাপক আকারে যন্ত্রে ভোট করার জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম তৈরি করে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।




তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ/সমমনা কর্মকর্তাদের চার মাসব্যাপী ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, শুধু তারেক রহমানই নন, বিদেশে অবস্থানরত সব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।




সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী

Dhaka: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী যে উপজেলা নির্বাচন, তার জন্য সব দলকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ নির্বাচনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য দল আসবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, আমরা বিরোধী প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করি না। তারা এলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভালো লাগে।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছিলো। গণভবনে এ সংলাপ হয়েছিলো। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমাদের দলের সভাপতি শনিবার (১২ জানুয়ারি) দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় বলেছেন, যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদের আমন্ত্রণ করবেন, আহ্বান করবেন। তাদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হয়েছি। তখন যারা সংলাপে এসেছিলেন তাদের আবারও সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে। একসঙ্গে সবাইকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেটা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে। ঐক্যফ্রন্ট আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, অন্যান্য যেসব দল আছে সবাইকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত রয়েছে, সে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন ভুল করেছেন। এ স্বীকারোক্তি তিনি যদি দেন, তাহলে জাতি খুশি হবে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে, এটা সবাই জানে। এটা কি তার জানা ছিলো না। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে এটা নতুন কিছু না। তিনি ‘জেনে শুনে বিষ করেছি পান’ এর মতো কাজ করেছেন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করায় আগামী ১৯ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে এ যৌথসভার আহ্বান করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা বিজয় উদযাপন করতে চাই। মহাসমাবেশে বিশ‍াল উপস্থিতি থাকবে বলে আমরা আশা করছি। আপনারা ব্যানার, ফেস্টুন, ঢাক-ঢোল নিয়ে মহাসমাবেশে আসবেন। মহাসমাবেশে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। আগামী দিনে দল ও সরকার কিভাবে চলবে, সে বিষয়ে তিনি দিক নির্দেশনা দেবেন।




শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ঢাকার ২ রানের জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুক্রবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রান করে ঢাকা। ১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে। যার ফলে ২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ডাইনামাইটস।




রামগতিতে অস্ত্রসহ দু’জন গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অস্ত্রসহ জুয়েল রানা দাস (২২) ও মো. জুয়েলকে (১৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, নয়টি কার্তুজ ও তিনটি রামদা জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের হাজিরহাট এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জুয়েল রানা নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর বাগুয়া গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে ও মো. জুয়েল একই গ্রামের মাকছুদ হাওলাদারের ছেলে।

ওসি আরিচুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শুরু থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে করা হবে। পাশাপাশি সব চাইতে বড় সমস্যা যেটি প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেটি রোধ করতে হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বেশি সহযোগিতা লাগবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় তিনি আরও বলেন, ফাঁসকৃত প্রশ্নের যতো বেশি চাহিদা থাকবে, অসৎ উপায় অবলম্বনকারীরা ততবেশি বের করার চেষ্টা করবে। আমাদের দায়িত্ব হলো এটি কোনোভাবেই যেন বের না হয়। আর এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যদি চায় আমরা এসব প্রশ্ন গ্রহণ করবো না। আমাদের প্রচেষ্টা থাকলে এটি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এরপরেও যদি কেউ করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দীপু মনি বলেন, দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমরা কাজ করবো। পাশপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও দেশের সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী প্রমূখ।




কমলনগর রক্ষায় মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ জরুরি

লক্ষ্মীপুর:

বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারকে নিঃস্ব করেছে রাক্ষুসে এ নদী। গিলেছে বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার তিন ভাগের একভাগ এখন নদী গর্ভে।

গত দেড় বছরে উপজেলার এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে অন্তত আট বার। এ জনপদের মানুষ এখন নদী ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা। ভাঙন রোধে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এখানে আরও আট কিলোমিটার বাঁধ জরুরি।

ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে কমলনগরের বাসিন্দারা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়েছেন। দাবির মুখে গত বছর এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ কমলনগরের যথেষ্ট নয়।

কমলনগরের নদী তীর রক্ষা বাঁধের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হলে যেটুকু বাঁধ নির্মাণ হয়েছে তাও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মারাত্মক হুমকিতে পড়বে উপজেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন।

সরেজমিনে মাতাব্বরহাট তীর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত এক কিলোমিটার বাঁধ প্রায় বিধ্বস্ত। গত দেড় বছরে ওই বাঁধে অন্তত আট বার ধস নামে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এ বাঁধটিকে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও দুই পাশে আরও বাঁধ নির্মাণ করা না হলে কমলনগরে জন্য মহাবিপদ নেমে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে আরও তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ।

স্থানীয়রা বলেছে, গত বর্ষায় এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে মাতাব্বরহাট বাজারসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা রক্ষা পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ না হওয়ায় হুমকির মুখেও বাঁধটি। আগামী বর্ষার আগে তীর রক্ষা বাঁধের সংস্কার ও আরও আট কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ জরুরি।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মেঘনার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন প্রার্থীরা। এখন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাছে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুদ্দিন আজম বলেন, মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কমলনগরে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দিক নির্দেশনা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাবে কমলনগর।

একাদশ জাতীয় সংসদের মহাজোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন হাজিরহাট বাজারে নেতা কর্মীদের সাথে দেখা করে পথসভায় নদী ভাঙনের কাজ রোধ হবে বলে আশ্বাস দেন।

এর আগে ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দ টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে।

এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮ কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটারের কাজ পায় নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ওই বছর নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবিতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে অনিয়মের মধ্য দিয়ে এক কিলোমিটার কাজ করা হলেও দেড় বছরে আট বার ধস নামে ওই বাঁধে।

২০১৭ সালের ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি-কমলগর নদীর তীররক্ষা বাঁধের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের আশ্বাস দেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।




রামগতিতে কারেন্ট জালসহ আড়াই মণ জাটকা জব্দ

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও আড়াই মণ (১০০ কেজি) জাটকা জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

রামগতি উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, রামগতির কোস্টগার্ডের একটি দল মেঘনা নদীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে জাটকা ধরার সময় ১০ হাজার মিটার করেন্ট জাল ও আড়াই মণ জাটকা জব্দ করা হয়। তবে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দ হওয়া জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করাসহ অবৈধ জালগুলো আলেকজান্ডার লঞ্চঘাট এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি।




‘দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন হচ্ছে’

Dhaka:

যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের লক্ষ্যে আবারো আইন সংশোধনের উদ্যেগের কথা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইন সংশোধন হচ্ছে রাজনৈতিক দল হিসেবে তার বিচার করা যায় কিনা? আমরা ড্রাফট করে রেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে যে আইন করা হয়েছিল সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচার করার জন্য। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি। তবে ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ (বাতিল) করা হয়েছিল। সে কারণে দাবি উঠেছিল।

‘তাছাড়া তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে সেই সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না তাই সংশোধন প্রয়োজন। গত মেয়াদে আমরা সংশোধনে হাত দেই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় ওঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে।’

এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলা হত্যার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন মন্ত্রী।

যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন, যারা জেলা হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় বা এমন একটা অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে যেন মানুষ অন্তত এই বার্তা পায় যে অন্যায় করলে বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের এই দেশে বিচার হয়। আইন বিভাগের এখন অন্যতম কাজ এটি।

তিনি বলেন, যদি নেপথ্যে থাকাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো ষড়যন্ত্র থেকে বের হতে পারবো না, সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবো না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগের জন্য করা হয়নি। আগের মেয়াদের সাহাহ্নে সাংবাদিকদের দাবির মুখে কিছু ধারা সংশোধনের কথা বললেও এবার একটু সুর পাল্টে মন্ত্রী বলেন, সংশোধনের চেয়ে আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে আমরা বেশি সর্তক।




নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাসহ ঐকফ্রন্টের ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দ্রুত মামলা দায়ের করাসহ তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐকফ্রন্ট। এছাড়া পেশাজীবীদের নিয়ে শিগগিরই জাতীয় সংলাপের আয়োজন এবং নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব এলাকার নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেসব এলাকা সফর করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

রাজধানীর বেইলী রোডে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এসব কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

অনিয়মের অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলফাল প্রত্যাখ্যানকারী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করতে এ বৈঠক করেন। বিকাল পৌনে পাঁচটায় বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য প্রমাণ নিয়েই আমরা আদালতে যাবো। এজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি চেয়েছি। যাতে তা আদালতে উপস্থাপন করা যায়। প্রমাণ হয় যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবে এক্যফ্রন্টের নেতারা। ভোটের দিন সিলেটের বালাগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের একজন কর্মী নিহত হন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে, জনগণের জন্য জনগণের শাসন; অর্থাৎ জনগণ নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করবে। এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া পদ্ধতি। সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের পূর্ব রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে, সরকারি সমর্থনপুষ্ট ‘সন্ত্রাসী’ বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথ্য-সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। জনগণ যেন কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।