লক্ষ্মীপুরে স্কুল শিক্ষক নিহত, সড়ক অবরোধ

লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মিজানুর রহমান রুবেল নামের এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিবাদে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের পেট্রোল পাম্প এলাকায় রাস্তায় শুয়ে ও মিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নাম্বার বিহীন একটি পিকআপ ভ্যান ঘটনাস্থলে এসে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী রুবেলকে চাপা দেয়। এসময় পিকআপ ভ্যানের চাকায় তার মাথা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ওই রুটে চলাচলকৃত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এ দিকে নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত রুবেল পৌর শহরের আবির নগর এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ও দক্ষিন টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সদর থানার ওসি তদন্ত মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন




জেএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল আজ

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। প্রত্যাশিত ফল করতে না পারা লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে। ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগ আবেদন করেছেন গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে। মূলত জিপিএ-৫ ও গোল্ডন জিপিএ-৫ বঞ্চিত হয়েই আবেদন করেছেন বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী। যদিও অফিসিয়ালি গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ বলতে কিছু নেই।

২০১৮ শিক্ষাবর্ষে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় মোট ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ বছর গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পাসের হার ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর জেএসসি ও জেডিসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। উভয় পরীক্ষার ফলাফলের পাসের হার কিছুটা বাড়লেও সবগুলো সূচকেই গতবারের তুলনায় খারাপ হয়েছে।

পুনর্নিরীক্ষার ফল আবেদনকারীদের নিজ নিজ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটেও দেয়া হবে।




উপজেলায় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখতে পারে আ’লীগ

Dhaka:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে দলের অন্যদের প্রার্থী হওয়া উন্মুক্ত করে দিতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো জোট থাকছে না। দলীয়ভাবেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে যেকোনো মূল্যে দলের একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। সদ্যসমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই একক প্রার্থী নিশ্চিত করার ব্যাপারে কঠোর হবে দলটি। আর যদি বিএনপি অংশ না নেয় তাহলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। দলীয় মার্কার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের অন্যদেরও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে। আওয়ামী লীগ একজনকে মনোনয়ন দেবে আর দলের অন্য কেউ প্রার্থী হতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দল থেকে বাধা দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের ওই নেতারা আরও জানান, উপজেলা নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশগ্রণের কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের শরিকরা আলাদা আলাদাভাবে নিজ নিজ দলের প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলেও ১৪ দল আলাদাভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নেতারা জানান। গত উপজেলা নির্বাচনেও জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ  বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। উপজেলা নির্বাচন এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়া হবে। এমনিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেক বেশি। এখানে জোটের কোনো সুযোগ নাই।

আগামী মার্চে কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন চালু হওয়ার পর এই পদ্ধতিতে উপজেলা নির্বাচন এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতে থেকে কয়েক ধাপে উপজেলা নির্বাবচন হয়। এরপর সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আইন করে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনে যে নিরঙ্কুশ বিজয় এসেছে উপজেলা নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কেন্দ্র থেকে জেলা ও উপজেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা এ চিঠি দলের জেলা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে সম্ভব হলে একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করে নাম পাঠাতে হবে। আর সেটা না হলে সর্বোচ্চ তিনজন প্রার্থীর নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে নাম পাঠাতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, উপজেলা পর্যায় থেকে পাঠানো নামের ওপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। এমপি, মন্ত্রীর আত্মীয় বা তৃলমূল নেতাকর্মীর মতামত উপেক্ষা করে এমপি, মন্ত্রীর কাছের কেউ যাতে মনোনয়ন না পায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সে জন্য হাতে সময় রেখেই উপজেলা পর্যায় থেকে নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে নাম পাঠানোর পর কেন্দ্র থেকেও যাচাই-বাছাই করা হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আগামী শনিবার (২৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা আছে। এই সভায় প্রস্তুতির বিষয় এবং প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং একটি দিক নির্দেশনা আসতে পারে। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে। তবে ইতোমধ্যেই আমাদের দলের যারা আগ্রহী প্রার্থী তারা তো মাঠে নেমে গেছেন।




বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদ তালিকায় শেখ হাসিনা

বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ফরেন পলিসি’ তাদের ১০ম বার্ষিকীর বিশেষ সংস্করণে এসব চিন্তাবিদের নাম ও কাজের বর্ণনা প্রকাশ করেছে।

সাময়িকীর তথ্যানুযায়ী, গত ১০ বছরে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০টি বিভাগে ১০ জন করে সেরা ব্যক্তিত্ব বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১০০ জনের তালিকা। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তালিকায় তার জায়গা করে নেওয়ার কারণ হলো, গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার ঘটনা।
খবরে বলা হয়, এ জন্য ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি ঢুকে পড়েছেন এই তালিকায়। ১০ জনের সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় রাশিয়ার এক কর্মকর্তার পরই আছেন শেখ হাসিনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ আছেন অষ্টম অবস্থানে। আর শেখ হাসিনার অবস্থান নবম।




মোবাইল বৈধ কিনা জানা যাবে এসএমএসে

মোবাইল বৈধ নাকি অবৈধ, আমদানি নাকি দেশে উৎপাদিত, তা যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহকেরা সহজেই বৈধ বা অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করতে পারবেন।

কেউ যেন অবৈধ সেট কিনে প্রতারিত না হন- সে কারণেই মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে এই আইএমইআই ডাটাবেজের। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই ডাটাসেন্টারের উদ্বোধন করেন।

তবে এখনই সব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর তথ্য ডাটাবেজে উঠেনি। এর জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। শুধুমাত্র গত পহেলা জানুয়ারি থেকে যেসব সেট আমদানি হচ্ছে সেগুলো ডাটাবেজে উঠছে।
এখন থেকে যে কেউ নিজের সেটের তথ্য যাচাইয়ের জন্য KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে দিলে ফিরতি মেসেজে জানানো হবে, তার সেটটি ডেটাবেইজে সংরক্ষিত রয়েছে কি-না। ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি) সেবা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে ব্যবহৃত সব নম্বর এ ডেটাবেইজে এখনই পাওয়া যাবে না। শুধু ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বৈধভাবে আমদানিকৃত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের বেশিরভাগ আইএমইআই নম্বর এই তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে। পর্যায়ক্রমে সব নম্বর ডাটাবেজে ঢুকবে।

অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে এটি মাইলফলক মুহূর্ত। চুরি করে হ্যান্ডসেট আমদানি করায় যে রাজস্ব ক্ষতি হত, তা ঠেকানো প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়, এখন ঠেকানো যাবে। শুধু রাজস্ব নয়, নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।’




কোটিপতি আবজালের স্ত্রীর সম্পদও জব্দের নির্দেশ

অনিয়নম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক আবজাল হোসেনের পাশাপাশি তার স্ত্রীরও সব সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিশেষ জজ আদালত এ নির্দেশ দেন।

দুদকের উপ পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানম স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে যোগ দেন ১৯৯৮ সালে। ২০০০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যবসা শুরু করেন। মূলত স্বামী-স্ত্রী মিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য তারা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেলেও রাজধানী ঢাকার উত্তরায় আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে বাড়ি আছে পাঁচটি। আরেকটি বাড়ি আছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। আর রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৪টি প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের। দেশে-বিদেশে আছে বাড়ি, মার্কেটসহ অনেক সম্পদ। এসব সম্পদের বাজারমূল্য হাজার কোটি টাকারও বেশি।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবজাল হোসেন গত এক বছরে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ২৮ বারেরও বেশি সপরিবারে সফর করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পর্টার স্ট্রিট মিন্টুতে যে বাড়ি কিনেছেন, তার দাম দুই লাখ ডলারেরও বেশি। এসব অভিযোগে গত ১০ জানুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।




লক্ষ্মীপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ৭

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের চাপায় একই পরিবারের ৬ জনসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় বেগমগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের রতনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- অটোরিকশার যাত্রী একই পরিবারের শাহ আলম, নাছিমা আক্তার, রোকেয়া বেগম, শামছুন নাহার, রুবেল, অমিত ও অটোরিকশাচালক নুরু। এরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসু ধুহিতা এলাকার বাসিন্দা।

নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহত শাহ আলমের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নাদিম মাহমুদ অন্তরকে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুরের সাদারঘর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত নাদিমকে দেখতে তার পারিবারের লোকজন হাসপাতালে যাচ্ছিলো। পথে বেগমগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের রতনপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় । এ সময় একই পরিবারের ৬ জনসহ ৭ জন নিহত হয়।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালাক মো. আবদুল্লাহ ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহজাহান খান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।




কমলনগরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ২১ জানুয়ারি দুপুরে অভিযান চালিয়ে করুনানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজু চর কাদিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।
কমলনগর থানার উিউটি অফিসার বাহার উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে তিনটি প্রতারণা মামলায় (অর্থ জালিয়াতি) আদালত কর্তৃক আড়াই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২০

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার টুকামিয়া সড়ক ও যাদৈয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম কাজী সিরাজুল ইসলাম। তিনি কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। প্রাথমিকভাবে আহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার মজুপুর এলাকার টুকা মিয়া সড়কে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশা যাত্রী কাজী সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অপরদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস উপজেলার যাদৈয়া এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট উদ্ধার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।




উপজেলা নির্বাচনের ব্যয় বরাদ্দ ৬৭৭ কোটি টাকা

Dhaka: আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৭ কোটি টাকা। এ ব্যয় চুতর্থ উপজেলা নির্বাচনী ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। থোক বরাদ্দ থেকে নির্বাচনী ব্যয় মেটানো হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে তফসিল ঘোষণা করে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাঁচ ধাপে প্রায় ৫শ’ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সদর উপজেলাগুলোর সকল কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। যেসব উপজেলার মেয়াদ পূর্ণ হবে আরো পরে, সেগুলোতে পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ হবে।

নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ ধাপে ভোটগ্রহণের জন্য ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল নির্বাচন কমিশন। এতে নির্বাচন পরিচালনা খাতে ১৫০ কোটি টাকা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিলো।
ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের জন্য থোক বরাদ্দ ছিলো ৪০০ কোটি টাকা। পাঁচ ধাপের সেই নির্বাচনে মোট ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা খাতে ১৫০ কোটি ব্যয় করা হয়েছিলো। এখাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা ১০০ কোটি টাকা আর রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ভাতা বাবদ ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে।

নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার বাহিনীকে ৮০ কোটি টাকা, পুলিশ-র‌্যাবকে ৬৩ কোটি টাকা, সশস্ত্র বাহিনীকে ২৪ কোটি এবং বিজিবিকে ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিলো।

সে সময় দেশের ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে পাঁচ ধাপে মোট ৪৫৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। বাকি উপজেলাগুলোতে মেয়াদ শেষে ভোট্রগহণ হয়। সব মিলিয়ে সাড়ে তিনশো কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছিলো।

ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক  জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদের জন্য এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭৭ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ২২৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে নির্বাচনী পরিচালনা খাতে। আর বাকিটা ব্যয় হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়। আগের চেয়ে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বরাদ্দও বেশি রাখা হয়েছে।

ইসির মুদ্রণ শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী উপকরণ দিয়েই উপজেলা নির্বাচনের অনেকটা অংশ পূরণ হবে। এজন্য এইখাতে কিছুটা সাশ্রয় হবে। নির্বাচনী উপকরণের মধ্যে একটা বিরাট ব্যয় হবে ব্যালট পেপার ও বিভিন্ন মুদ্রণের জন্য। এছাড়া সিল, রশি, ব্যাগ ইত্যাদিও নতুন করে কিনতে হবে।

২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একযোগে ৪৮১ উপজেলায় ভোট হয়। সে সময় ব্যয় হয়েছিলো প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৬৪ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজার টাকা ও আইন শৃঙ্খলায় ৬৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সে অনুযায়ী, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়ের তুলনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয়ের হার ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে ইভিএমে বিরাট আকারে ভোটগ্রহণ করলে মোট ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, এক্ষেত্রে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের ২১ হাজার এবং ব্যাকআপ হিসেবে আরো ২১ হাজার অর্থাৎ প্রায় ৪২ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটি ইভিএম কেনা হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ইভিএম পরিচালনা ব্যয়। সবমিলিয়ে কেবল এই যন্ত্রে ভোটগ্রহণের জন্যই ব্যয় হবে প্রায় হাজার কোটি টাকা