এমপিওর দাবিতে সরগরম সংসদ

ত দশম সংসদের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদের শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার)  জোরালো দাবি উঠেছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে তালিকাভূক্ত দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করার দাবি তুলেছেন সিনিয়র সংসদ সংসদরা। সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপিভুক্তির দাবি তোলেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেছেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা  আমরা ভঙ্গ করবো।’  শিক্ষকেরা বিগত নির্বাচনগুলোতে সরকারকে নানাভাবে সহেযাগিতা করেছেন বলেও তারা বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

এমপিওভুক্ত হলে সরকারি স্কেলের মূল বেতনের শতভাগসহ অন্যান্য কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শতকরা ৯৭ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সম্পুরক কার্যসূচিভূক্ত সংসদীয় কমিটি গঠনের পর মোহাম্মদ নাসিম ফ্লোর নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তি নিয়ে নাসিম বলেন, ‘এমপিওভূক্তির জন্য বাংলাদেশে লাখ লাখ শিক্ষক কিছুদিন আগে আন্দোলন করেছেন। শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে আমরা এমপিরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। আমাদের সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় শিক্ষকেরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। আন্তরিকতার সাথে নির্বাচনে আমাদের সাহায্য করেছেন। এটা ভুলে গেছে চলবে না।

নাসিম বলেন, এমপিওভূক্তির জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেয়া হয়েছে। এর জরিপও হয়ে গেছে। এমপিওভূক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। অর্থমন্ত্রী এখাতে ৪৩২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যারজন্য এটা হয়নি। নতুন অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করবো কথা বাস্তবায়ন করেন। চলতি অর্থ বছরে সম্পূরক বাজেটের মাধ্যমেই বরাদ্ধ দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে জনগণের কাছে আমরা ওয়াদা ভঙ্গ করবো।

তিনি বলেন, সরকারি বিরোধী দল সকল এমপি স্বীকার করবেন এমপিভূক্তির কোন বিকল্প হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভূক্তি বন্ধ ছিলো। এখন এটা করার সময় এসে গেছে। এটা আমাদের করতে হবে।

শিক্ষকেরা জীর্ণ-শীর্ণ, তারা অভূক্ত আছেন উল্লেখ করে নাসিম বলেন, এমপিওভূক্তির জন্য শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমরা এমপিওভূক্তি করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। নির্বাচন হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সদয় হবেন। সদয় হয়ে তারা পদক্ষেপ নেবেন। অনুরোধ করবো এই এমপিওভূক্তি ঝুলিয়ে না রেখে তাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে না রেখে এটি বাস্তবায়ন করেন।  না হলে আমাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে। যে ওয়াদা করেছি তার থেকে আমরা সরে যাব।

অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে তালিকাভূক্ত দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করুন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবি শিক্ষাখাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভূতপূর্ব বিস্তার হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে একটি স্কুল ও একটি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকে লক্ষাধিক শিক্ষকদের জাতীয়করণ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি দাবিটি উপেক্ষিত রয়েছে।

শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবি তুলে তিনি বলেন, আমরা গত ৫ বছরে আমরা সংসদ সদস্যরা যতবার দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির কথা বলেছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী টাকা বরাদ্দ করেননি। গত নির্বাচনের আগে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা বিলিবন্টন করা সম্ভব হয়নি। কাজেই এমপিওভূক্তি হয়নি। এরকম একটি পর্যায়ে এই মুহুর্তে নজর দেয়ার সময় এসেছে শিক্ষারগুণগত মান উন্নয়নের জন্য। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে নজর দেয়ার সময় এসেছে। তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে এমপিওভূক্তি হচ্ছে প্রাথমিক পদক্ষেপ। শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদান করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য।  সংবিধানের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের এমপিওভূক্তি জরুরী প্রয়োজন। মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকার জন্য শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি হবে না। এটা হতে পারে না। আমার দেশের সরকার এখন সম্পদশালী ও দক্ষ।




স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জানুয়ারির এমপিওর চেক ব্যাংকে

স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের জানুয়ারি (২০১৯) মাসের এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) চেক সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ছাড় হয়েছে। বেতনের আটটি চেক নির্ধারিত অনুদান বণ্টনকারী চারটি ব্যাংকের শাখায় পাঠানো হয়েছে। অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য মোট ৬ শতাংশ চাঁদা হিসেবে কর্তন করা হয়েছে বলে জানা যায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক-কর্মচারীরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন। স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১০২.৩৭.০০৩.২০১৮/৯৪৫/৪।




চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী রেবেকা মহসীন

কমলনগর: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন একমাত্র নারী প্রার্থী রেবেকা মহসীন। তিনি কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে প্রচেষ্টা করছেন।

রেবেকা মহসিন কমলনগর উপজেলার আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ-নির্মূল কমিটির উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বৃহত্তর রামগতি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হাজীরহাট মিল্লাত একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. মহসিনের স্ত্রী।

২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বরে পলিটিক্যাল এক্টিভিটিজ বিষয়ে ট্রেনিং শেষ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরকৃত সনদ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেবেকা মহসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় সকল কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পালন করছে। উপজেলার চর লরেঞ্চ বাজারে তার ব্যক্তিগত বাসায় বিভিন্ন দলের দুর্দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতেন। নেতাকর্মীদের সব সময় সহযোগীতা করছেন তিনি।

উপজেলার একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন রেবেকা মহসীন।
জানতে চাইলে রেবেকা মহসীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের মহাসড়কে এগুচ্ছে দেশ। এসব উন্নয়নে রয়েছে নারীদের ভুমিকা। শিক্ষা, রাজনীতি, সাংস্কৃতি ও উন্নয়নে রয়েছে নারীদের অবদান। আমি জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাবো বলে আমার বিশ্বাস।




১০ মার্চ ১ম ধাপের উপজেলা নির্বাচন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুয়ায়ী আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার আগারগাঁওয়ের কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব বলেন, তফসিল অনুয়ায়ী উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।




শান্তিপূর্ণ উপজেলাগুলোতে আগে নির্বাচন: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যে সমস্ত এলাকায় পিসফুল কন্ডিশন প্রতিয়মান হচ্ছে, ওই সমস্ত জেলা এবং উপজেলাগুলোতে আগে ভোট (নির্বাচন) নিতে চাই।’

আজ সকালে আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গ্রেটার কুমিল্লা, নোয়াখালী এরপর চট্টগ্রাম জেলা- এগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকগুলো কেন্দ্রে গণ্ডগোল হয়েছে। সুতরাং আমরা ওগুলো পরে করবো। যেসব এলাকা পিসফুল, ওইগুলোতে আগে থেকে শুরু করবো।’

ইসি সচিব বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলায় আমরা একত্রে নির্বাচন করবো। যেহেতু ওখানে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। তিন পার্বত্য জেলা একত্রে করলে আমরা শেষ করতে পারবো। এইভাবে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। আজকে (রবিবার) আমরা কমিশন সভায় উপস্থাপন করবো। তারা অনুমোদন করলে এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবো।’

ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ইটিআইয়ের পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন ও বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।




কমলনগরে ফাজিল ব্যাপারী হাট বাজারে আগুনে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর( লক্ষ্মীপুর):

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগন্জ এলাকার ফাজিল ব্যাপারী হাট বাজারে ভয়াবহ আগুনে পাঁচটি দোকান ঘর পুড়ে গেছে।

রবিবার(২৭ জানুয়ারী) রাত ০৩ টায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে। এতে বাজারের পাঁচটি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আশেপাশে থাকা প্রায় ৮-১০ টি দোকান ঘরও ক্ষতির সম্মুখীন হন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে মুদি দোকান,
পল্ট্রিফার্ম, কাঠের ফার্নিসার, সিএনজি রাখার দোকান ঘর ছিল। সিএনজি রাখা দোকানে দুটি সিএনজি ও একটি অটোরিকশা ছিল।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস লিডার মোঃ ইসমাইল জানান, অগ্নিসংযোগের বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে অগ্নিসংযোগ কারণটি জানা যায়নি।




ঐক্যফ্রন্টকে ‘শুভেচ্ছা বিনিময়ে’ আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

Dhaka:

বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।




ভূঁইফোড় অনলাইন চিহ্নিত করার কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

Dhaka:

যেসব অনলাইন সংবাদপত্র সত্যিকার অর্থে ভালো সংবাদ পরিবেশন করে আজকের দুনিয়ার বাস্তবতায় সেগুলোর প্রয়োজন আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে অনলাইনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করলে ভূঁইফোড়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নবম সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ওয়েব বোর্ড বাস্তবায়নে পুনর্গঠিত কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ অংশ নেন।

এছাড়াও নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনেক ভূঁইফোড় অনলাইন মিডিয়ার জন্য সাংবাদিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে আপনাদের কী ব্যবস্থা থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চিহ্নিত করছি।’

আর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন নিয়ে আমি শুরু থেকেই বলেছি, কিছু অনলাইন আছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে ভালো সংবাদ পরিবেশন করে। যেগুলোর প্রয়োজন আছে। অনলাইনের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এটা আজকের পৃথিবীর বাস্তবতা।

‘কিন্তু কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন আছে যারা আসলে সত্য সংবাদের চেয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত। এগুলোকে আমরা চিহ্নিত করে, সম্প্রচার নীতিমালা যখন হবে এগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে আমরা এগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে যেগুলো ভূঁইফোড় তখন সেগুলো অটোমেটিক্যালি ফেইস আউট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে এবং সহসা আমরা এটা করবো।’

অনেক সময় নাম স্বর্বস্ব পত্রিকার নামে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করতে দেখা যায়- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো আমরা রিভাইস করবো




বিভেদ ভুলে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য: প্রধানমন্ত্রী

Dhaka: বিভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দেশকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতাও চান তিনি।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে। নতুন সরকার গঠনের পর এটিই জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি। বিজয়ের পর আমরা সরকার গঠন করেছি।

বহিঃবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যেকোন সময়ের চাইতে সুদৃঢ় এবং গভীর।

দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের দৃষ্টিতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।

নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে আমি আমার মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

তিনি বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে যে রায় দিয়েছেন, কথা দিচ্ছি আমি প্রাণপণ চেষ্টা করব সে আস্থার প্রতিদান দিতে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে চাই:
‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ / প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, / এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- / নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

বিরোধী জোট থেকে নির্বাচিতদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাদশ সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না।

তিনি বলেন, সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোন সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের কারণগুলো তুলে ধরে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি জরিপগুলিও এ রকমই ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

তিনি বলেন, লন্ডন-ভিত্তিক ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাদের এই ল্যান্ড-স্লাইড বিজয়ের কয়েকটি কারণ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

মোটাদাগে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের ১৫ এবং বিএনপির ভরাডুবির ৭টি কারণ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দেই, তা বাস্তবায়ন করি। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম তার অধিকাংশই ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত নির্বাচন ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহার ঘোষণাকালে আমি এর সারাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম। আপনারা অনেকেই এই দলিলটি ইতোমধ্যে পড়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের যেকোন নীতিমালা প্রণয়নে এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই ইশতেহারটি পথ-নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর দায়িত্ব বহুগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের এই নিরঙ্কুশ সমর্থন আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দুর্নীতির নির্মূলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি, দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা হবে
তিনি বলেন, আমরা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির নির্মূল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তাই, গণমাধ্যমের সহায়তায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করব। জাতীয় সংসদ হবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু।

সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে ইতোমধ্যেই মাদক, জঙ্গি তৎপরতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে পারবেন।

নিজের ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি- আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া-পাওয়া নেই।

তিনি বলেন, বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য; এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। এ দেশের সাধারণ মানুষেরা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন- তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন: ‘মহৎ অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগের প্রয়োজন।’ আমরা ত্যাগের পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমার বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ এবং তার মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসন পেয়েছে নৌকার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন।

অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।




আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ওই দুই মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরে টানা তৃতীয়বার ও মোট চারবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।