৯ বছর পর সম্মেলন, কবিরহাটে আ.লীগের নেতৃত্বে ইব্রাহীম-জহিরুল

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে সভাপতি ও জহিরুল হক রায়হানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এ কমিটি অনুমোদন দেন।

কবিরহাট উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের সমর্থনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এ কমিটি ঘোষণা করেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।

রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।

সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নুরুল আমিন রুমিকে সভাপতি ও জহিরুল হক রায়হানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।




ফরিদপুরে সালথা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি –
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জিহাদ মোল্যা (২০) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন অন্তত আরও দুই জন। আহতরা হলেন- সোহেল শেখ (১৬) ও বন্যা আক্তার (১৪)। তারা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ফরিদপুর-সালথা সড়কের কসবাগট্টি চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। জিহাদ ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের কাইয়ুম মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলে করে জিহাদ, সোহেল ও বন্য প্রধান সড়কের পূর্ব দিক থেকে আসছিলেন। পথে চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায় নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জিহাদ মোল্যা মারা যান। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক গণমাধ্যম কে বলেন, ঘাতক নছিমনচালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




নেত্রকোণায় এবার আমন ধানের সাফল্য, কৃষকের মুখে হাসি

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
নেত্রকোণা মূলত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ধান উদ্বৃত্ত জেলা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের সোনালী শীষে ভরে গেছে কৃষকের খেত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে চারদিক মুখরিত। কৃষাণ কৃষাণীরা ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ দেয়া, শুকানো ও গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ধান কাটা ও মাড়াই কাজে কৃষকের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে দিন মজুরদেরও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আমন চারা লাগাতে দেরি হলেও পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
সংসারের সারা বছরের খোরাকী, গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা পূরণ ও ধানের দাম ভালো পাওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
নেত্রকোণা সদরের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাড়ীতেই দাম বেশী পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
কেন্দুয়া উপজেলার দুল্লী গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া জানান, আমি এবার ২০ কাটা জমিতে ধান চাষ করেছি। প্রতি কাঠায় ৫ মনের বেশী করে ফলন পেয়েছি। প্রতি মন ধান ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি। এতে আমরা খুশি।
আরো কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার ডিজেলের কীটনাশকের দাম বাড়ার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে কৃষকদের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার যদি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ১৫০০ টাকা মন দরে ধান কিনত, তাহলে কৃষকরা আরো বেশী করে ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠতো।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, যারা আগাম জাতের আমন ধান লাগিয়েছিল, তারা প্রায় ১৫/২০ দিন আগেই তাদের ধান কেটে পেলেছে। তারা ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে সরিষা চাষ, আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি আবাদ করতে পারবে। যা পরবর্তী সময়ে বোরো ধান চাষের অর্থের জোগান দিবে। কৃষকরা দিন দিন স্বল্পকালীন সময়ে আগাম জাতের আমন ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শেষ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ৩৩
হাজার ৭৫ হেক্টর জমি। চাল উ পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত ৯৬ মেট্রিক টন।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় আমন ধানের উ পাদন ভালো হয়েছে। আগাম জাতের ধান কেটে একই জমিতে সরিষা, আলুও শাক সবজি চাষ করায় কৃষকদের জন্য আর্শিবাদ বয়ে নিয়ে আসবে। আবার সরিষা ও শাক-সবজির আবাদ ঘরে উঠিয়ে একই জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা যাবে। এ পর্যন্ত ৩০ ভাগ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।




অতিরিক্ত দাম রোধে ফরিদপুরে চিনির বাজারে অভিযান, জরিমানা

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি –

অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি রোধে ফরিদপুরে চিনির বাজারে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টা হতে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এসময় জেলা সদরের গোয়ালচামটে চিনির পাইকারি ব্যবসায়ী মেসার্স নীলা ডাউল মিল এবং পাঁশের হেলিপোর্ট বাজারের খুঁচরা ব্যবসায়ী মেসার্স ছানোয়ার স্টোরকে জরিমানা করা হয়। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, অভিযানে চিনিসহ নিত্যপণ্যের ক্রয় রশিদ না থাকা, চিনির দাম বেশি রাখা ও মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স নীলা ডাউল মিলকে ৫০০০ টাকা এবং মেসার্স ছানোয়ার স্টোরকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।




Home Minister inaugurates newly constructed building of Monohardi Police Station

Md. Mobarak Hossain, Narsingdi Correspondent:

নরসিংদীর মনোহরদী থানার নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এসময় সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও মাদক শুধু বাংলাদেশ নয়, এটা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা দেশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের পূর্ব পরিকল্পিত। আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা তাদের অবস্থান জানান দিতে এই কাজটি করেছে। তাদেরকে গ্রেফতারসহ জঙ্গিবাদ নিরসনে কাজ করছে সরকার।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশের উদ্যোগে মনোহরদী থানার নবনির্মিত থানা ভবনের ফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী সমাবেশে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপাত্তা বাহিনীর কেউ সম্পৃক্ত থাকলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মাদক সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, স্বপ্ন দেখছি তাদেরকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদক যে ভয়ংকর নেশা, এটা যে একটা সমাজকে পরিবারকে ধ্বংস করে দেয় এটা মানুষকে বুঝাতে হবে। তিনি আরোও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ চাই, আমরা আলোকিত থাকতে চাই।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা দখল এবং ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আরেকটি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তা প্রতিহত করবে। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনও ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার এদেশের জনগণের উপর আস্থা রয়েছে, জনগণের তিনি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করেন।আমরা মনে করি এদেশের জনগন কখনও আর ভুল করবে না। আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করবে এবং আবারও আলোকিত বাংলাদেশ দেখবে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মনোহরদী- বেলাব মাটি ও মানুষের নেতা শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, নরসিংদী-২ আসনের সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিবপুরের সাংসদ জহিরুল হক ভুঁইয়া মোহন, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভুইয়া,ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম(বার)পিপিএম, নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোঃ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম,প্রমুখ। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রিশাশীষ রায়সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।




চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না ব্যাংক : হাইকোর্ট

এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। পাশাপাশি বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংকঋণের বিপরীতে যে চেক নিচ্ছে সেটি জামানত। এটি বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।

আদালত বলেন, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে, তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে চেকের অপব্যবহার করে মামলা করে থাকে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো।

আদালত বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে। রায়ে হাইকোর্ট নিম্নআদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আজ থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে তা হলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। একই সঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।




নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল এএসপি নির্বাচিত মাহমুদা শারমীন নেলী

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার জেলার শ্রেষ্ঠ এএসপি সার্কেল নির্বাচিত হলেন দুর্গাপুর সার্কেল এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিভিন্ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ সভায় মাহমুদা শারমীন নেলীকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ তাকে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসারের সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সার্কেল অফিস ও থানা সমূহের অভিযোগ অনুসন্ধান, মাদক উদ্ধার,ওয়ারেন্ট তামিলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত সকল বিষয় এই অভিন্ন মানদÐে পয়েন্টভিত্তিক বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলীকে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচন করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন,শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার আমার দায়িত্বভার কর্মদক্ষতা আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপ‌জেলার সকল প্রকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য তিনি সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেণ।

নেত্রকোণা জেলার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন,জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানই পুলিশের কাজ। যারা পুরস্কার অর্জন করলেন সবাইকে অভিনন্দন। এই পুরস্কার তাদের কাজকে আরো বেগবান করবে।




রামগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকাকে পিটিয়ে আহত

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধি:

লক্ষীপুরের রামগঞ্জে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র বদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি রানী পালকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

ঘটনাটি ২২নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন বদরপুর গ্রামের পূর্ব পালের বাড়িতে। সৃষ্ট ঘটনায় ২৩নভেম্বর ওই শিক্ষিকা স্মৃতি রানী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে শিক্ষিকা স্মৃতি রানী পাল রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বদরপুর পালের বাড়ির পরীক্ষিত চন্দ্র পালের মেয়ে স্মৃর্তি রানী পাল সরকারী চাকুরী করার সুবাদে বিয়ের পর থেকে নিজ পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ ভাই কানাই শংকর পাল ও মা মলিনা রানী পালকে কে নিয়ে বসবাস করে আসছে। এক পর্যায়ে কানাই শংকর পাল বিয়ে করার পর থেকে তার স্ত্রী প্রমা রানী পাল সহ পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে শিক্ষক স্মৃর্তি রানী পালকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ভাই কানাই শংকর শিক্ষিকা স্মৃতি রানী পালকে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা চলায়।

বদর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার মাঈন উদ্দিন মানিক জানান, স্মৃতি রানী পালের বাবা পরীক্ষিত চন্দ্র পাল হত দরিদ্র থাকায় বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে বিক্রি করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে ২০০৯ইং সালে স্মৃতি রানীর চাকুরী হওয়ার পরে সংসারে হাল ধরেন। পরে তার বাবা পরীক্ষিত পাল মারা যাওয়ার পর কানাই শংকর বিয়ের পর থেকেই স্মৃতি রানী পালের উপর নির্যাতন শুরু হয়। মূলত কানাই শংকর পাল প্রতিষ্ঠতি হওয়ার পেছনে তার বোন স্মৃতি রানী পালের অনেক অবদান রয়েছে।
রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্মৃতি রানী পাল জানান, আমার ভাই শংকর তার স্ত্রী প্রমা ও মা মলিনা সকলে একত্রিত হয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আমার উপর হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও আমার ভাই এবং মা গত ১৭নভেম্বর সকালে বড় মেয়ে স্নেহাদ্রী পাল এবং ১০অক্টোবর ছোট মেয়ে সোহাদ্রী পালকেও মারধর করেন।

অভিযুক্ত কানাই শংকর পাল জানান, মারধর ও হামলার অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।এগুলো সব নাটক। আইনগতভাবে বিয়ের পর মেয়েরা পৈত্তিক কোন সম্পত্তির মালিক হয়না। কিন্তু আমার বোন স্মৃতি আইন অমান্য করে জোরপূর্বক ভাবে আমার বাড়িতে থেকে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছে।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী আফরোজা আক্তার জানান, বদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি রানী পালকে বেধড়ক পিটানোর ঘটনায় সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত কানাই শংকর পাল সহ জড়িত সকলকে আইনের আওততায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপূর্ব কুমার সাহা জানান, খবর পেয়ে স্মৃতি রানীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। তবে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে খুব শীগ্রই বিষয়টি সমাধান করা হবে।




জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ, বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক বিজেপি নেতার

বক্তৃতা দেওয়ার জন্য কাতার বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয় ইসলাম ধর্ম বিষয়ক বক্তা জাকির নায়েককে। ওই কারণে ভারতীয়দের বিশ্বকাপ বয়কট করার আবেদন জানান বিজেপি মুখপাত্র স্যাভিও রডরিগেজ। তার মতে, জাকিরের মতো ব্যক্তিকে এহেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ার অর্থ উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে রুখে দেওয়া।

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে জাকির নায়েক। বিশ্বকাপ চলাকালীন নানা শহরে ঘুরে ভাষণ দেবেন তিনি। কাতারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই বিবৃতি দিয়েছেন স্যাভিও। তিনি বলেছেন, “বিশ্বকাপ একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ।

সারা দুনিয়ার মানুষ এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্মে জাকির নায়েককে বক্তৃতার সুযোগ দেওয়ার অর্থ তার ঘৃণা ছড়ানোর আদর্শকে সমর্থন করা।”

এখানেই না থেমে বিজেপি মুখপাত্র বলেছেন, ভারত সরকার ও দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সকলে যেন এই মেগা টুর্নামেন্ট বয়কট করেন। বিশ্বকাপ দেখতে যারা কাতারে যাচ্ছেন, তারাও যেন খেলা না দেখেন। কারণ এই মঞ্চে জাকির নায়েকের মতো ব্যক্তিকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। স্যাভিওর মতে, প্রত্যক্ষভাবে কোনো উগ্রবাদী কাজে যুক্ত না থাকলেও সংঘাত ছড়াতে জাকিরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভারত দীর্ঘ দিন ধরেই জাকিরকে খুঁজছে। ৫৭ বছরের জাকির ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ভারতে তার ভাষণ দেওয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। তারও আগে ২০১৫ সালেই তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়।

২০১৬ সালে অবশ্য জাকিরকে দেখা যায় নিজেকে প্রবাসী ভারতীয় বলে দাবি করতে। কিন্তু তার জন্য ফুটবলের গ্রেটেস্ট শো অন আর্থকে বয়কট করে দেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সামাজিক মাধ্যমের বরাতে আল-আরাবিয়া জানায়, জাকির নায়েকের লেকচার প্রতিদিন চলবে। জাকির নায়েক এখন কাতারে আছেন বলে খবরে জানা গেছে। বিশ্বকাপ দেখতে আসা লাখো মানুষের মাঝে তার ভক্ত-অনুরাগীদের বড় একটি অংশ উপস্থিত থাকবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে। এ সময় তারা চাইলে ড. জাকির নায়েকের লেকচারও শুনতে পাবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে জাকির নায়েকের ভক্ত অনুরাগী। তরুণ প্রজন্ম ও প্রায় সব বয়সীদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়। তিনি একজন ভারতীয় ইসলামি চিন্তাবিদ, ধর্মপ্রচারক, বক্তা ও লেখক যিনি ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে কাজ করেন। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যেটি পিস টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে। যার মাধ্যমে তার লেকচার প্রায় ১০কোটি দর্শকের নিকট পৌঁছে যায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ধর্ম ও বস্তুগত বিষয়ের সঙ্গে ইসলামের তুলনামূলক ব্যাখ্যা ও আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ড. জাকির নায়েক। বিজ্ঞান ও ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তার আলোচনাও শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। ড. জাকির নায়েকের অন্যতম জনপ্রিয় থিম হলো পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ ও বিজ্ঞানের আলোকে কোরআনকে যাচাই করা।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ উপলক্ষে নতুনভাবে সেজেছে কাতার। আরব ও ইসলামী স্থাপত্যশৈলীকে ধারণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ৮টি স্টেডিয়াম। রাজধানী দোহাসহ বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে মহানবী (স.)-এর হাদিস সম্বলিত ম্যুরাল। সামাজিক শিষ্টাচার নিয়ে মহানবী (স.)-এর প্রজ্ঞাপূর্ণ বাণীগুলো লেখা হয়েছে আরবি ও ইংরেজি ভাষায়। অর্থপূর্ণ হাদিসগুলো চলার পথে দর্শক ও পাঠকদের মনে তৈরি করবে ভিন্নরকম অনুভূতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।




ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল ঢাবি শিক্ষার্থীর

সাতসকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারান লিমন কুমার রয় (২০) নামে একজন শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য নামে দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

লিমন রয় ঢাবির আইইআর (ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের চার তলায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি উত্তরবঙ্গে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লিমন কীভাবে ছাদ থেকে পড়ে গেছে তা প্রাথমিক জানা যায়নি বলে দাবি করেন এই পুলিশ সদস্য।

এদিকে লিমনের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান তার সহপাঠী ও হলের শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ হলের প্রভোস্টও হাসপাতালে গেছেন বলে জানা যায়।