হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কর্মচারীরা অফিস করেন নিজেদের ইচ্ছামতো

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীর উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে চলছে অনিয়মের রাজত্ব। সেখানে মানা হচ্ছে না সরকারি কোনো নীতিমালা, অফিস সময়ে টানানো হয় না জাতীয় পতাকা।কর্মচারীরা অফিস করছেন নিজেদের ইচ্ছামতো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে সরকার ঘোষিত নীতিমালা ও নিয়মকানুন কোনোটাই মানা হয় না। কর্মরতরা নিজেদের ইচ্ছায় অফিসে আসা-যাওয়া করেন। বেলা একটার পর আর কাউকে পাওয়া যায় না। রোগী কে এলো, কে গেলো এসব বিষয়ে তাদের কোনো গুরুত্ব নেই। রোগী এলে অনেক সময় বসিয়ে রেখে কাউকে ওষুধ দেওয়া হয় আবার কাউকে ওষুধ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করলেও সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ও ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) অফিসে আসেন ও বাসায় যান নিজেদের ইচ্ছে মত। ওই কেন্দ্রেই তাদের বাস করার কথা থাকলেও তারা থাকেন অন্যত্র।

রবিবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিস তালা বন্ধ ও অফিস প্রাঙ্গণে ওড়ানো হয়নি জাতীয় পতাকা। কর্মকর্তাদের বাস ভবনে পরিবার নিয়ে থাকছেন করছেন ইউসুফ নামের এক দিনমজুর। তিনি এখানে কিভাবে থাকছেন জানতে চাইলে বলেন, অনুজ বাবু আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন। আর নৈশ প্রহরী আসেন না তাই রাতেও দেখাশুনা করতে বলেছেন। কর্মকর্তারা কোথায় জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, স্যাকমো অনুজ স্যারে আজ আয় নায় আর বৃস্টি ম্যাডামে বাসায় চইলা গেছে। আর নৈশ প্রহরী মাঝে মাঝে অফিসে আয়।

স্যাকমো আনুজ রায়কে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে, মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যে পটুয়াখালী এসেছি।

ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) বৃস্টিকে ফোন করলে বলেন, আমি এক প্রসূতি রোগীকে দেখতে তার বাড়ি এসেছিলাম এখন ক্লিনিকে আসছি। ফোন দেবার আধা ঘন্টা পরে ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) বৃষ্টি ক্লিনিকে এসে ইউসুফের কাছ থেকে ক্লিনিকের চাবি নিয়ে তালা খোলেন। তার কাছে তার অফিস বন্ধ করে যাবার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্টো ভবন ভাঙ্গা সেবা দেয়ার মত না এসব কথা বলে কথা এরিয়ে যান। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের সেবার রেজিস্ট্রার খাতা দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।

সুমন নামের এক স্কুল ছাত্র জানায়, ১১টার দিকে অফিসে আসেন আবার কিছুক্ষণ পরে চলে যান। আমরা অনেক সময় স্কুলে যেতে পথে এ কেন্দ্রে ঢুকে ওষুধ চাইলে লোক না থাকায় আয়া আমাদের দিতে পারেন না।

এ বিষয়টি জানাতে আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসাাইন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ও ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে সেবা দেয়ার কথা। চাকমুর ছুটিতে আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের ছুটি দেবার দায়িত্ব মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এর।

মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) বুলবুল আহমেদ ফোনে জানান, স্যাকমো অনুজ রায় তার কাছে থেকে লিখিত কোন ছুটির আবেদন করেন নি। তবে শুনেছি আমার অফিস সহকারীর কাছে মৌখিকভাবে জানিয়ে গিয়েছেন যেটা আসলে ঠিক করেন নি। আমি তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিবো।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ জানান, হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের অভিযোগের বিষয়ে আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এ বিষয়ে স্যাকমোর বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহন করতে বলেছি। আশা করছি এলাকাবাসী এরপর থেকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পাবেন।




নোয়াখালী জেলা আ. লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিমের নাম ঘোষণা

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন) নোয়াখালী প্রতিনিধি:

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে এসেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীরা জেলা শহর মাইজদী হয়ে সম্মেলন স্থল শহীদ ভুলু ষ্টেডিয়ামে এসেছেন। ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ এবং নেতার নাম নিয়ে স্লোগান দেয়।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের চারপাশসহ পুরো শহর ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এসব ব্যানার, তোরণ সাঁটিয়েছেন নেতাকর্মীরা। সব মিলে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন বিএনপির মনে বড় জ্বালা অন্তর জ্বালা। খেলা হবে খেলা হবে ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

এছাড়া আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদিকা সাবেক এমপি বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল-আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাড়ে ৫০০ পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। সে সময় সভাপতি হিসেবে এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছিলেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীতে মত বিরোধ থাকায় ১৭ ডিসেম্বর পুনরায় নির্বাচন ঘোষনা করেন।




নরসিংদীতে কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ মোবারক হোসেন,নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে কলাবাগানের ভেতর থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের কলাবাগান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এখনো নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ফিঙ্গার নেওয়ার পর নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রায়পুরা উপজেলার আাদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের একটি কলাবাগানে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

হত্যার পর নিহতদের মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি মরদেহের গলা কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি মরদেহের পড়নে লুঙ্গি ও বেগুনি রঙের শার্ট, অপরটিতে হাল্কা ছোট চেকের সাদা শার্ট পড়নে কোন কাপড় ছিলনা।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় তাদের হত্যার পর খুনিরা নির্জন স্থানে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় সনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।




গণিতে ফেল করা সেই ১৩ জনের ১২ জনই পেল জিপিএ-৫

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পিতৃভূমি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের গণিতে ফেল করা সেই ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে উত্তীর্ণ হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ সহ শতভাগ উত্তীর্ণ হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিদ্যালয়ের ৭২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন জিপিএ-৫ সহ ৫৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্য ১৩ জন শুধু গণিতে ফেল করেছে। শুধু তাই নয়, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ১৩ পরীক্ষার্থীসহ একই হলের আরও ৩৯ জন গণিতে ফেল করে।

বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আব্দুল মতিন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) শিক্ষাবোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের সংশোধিত ফল প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, হুমায়ূন আহমেদের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ফেল করা ১৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই মেধাবী। ফল প্রকাশের পর যখন দেখলাম ১৩ জন গণিতে ফেল করেছে, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম,হয়তো কিছু একটা ভুল হয়েছে। যাই হোক, অবশেষে আজ আমরা পুনরায় রেজাল্ট পেলাম। গণিতে ফেল করা ১৩ জনের সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখন আমাদের ফলাফল শতভাগ পাস এবং মোট ৭২ জনের জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।




বরগুনার বেতাগীতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলড্রেস ও শীতবস্ত্র বিতরণ

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়েনর দক্ষিণ করুনা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। ৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নেয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

গতকাল রবিবার বিকেলে বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ভাইস চেয়াম্যান মো. আব্দুস ছোবাহানের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নকীব মো. নিজাম উদ্দীন ও মোঃ শওকাতুল আলম পান্না মৃধা, বেতাগী নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. শামীম সিকদার, বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ আলী, মোঃ মোতালেব হোসেন মাস্টার, কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা দপ্তর সম্পাদক মো. রাজীব গাজী, প্রচার সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম শাওন ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য আরিয়ান আরিফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অবহেলিত প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস ও শীতবস্ত্র পেয়ে আনন্দিত।

কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি এজেডএম শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গত তিন বছরে বরগুনা জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তা করে আসছে।




This strength and inspiration history of giving

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরো সময়ের মধ্যে ডিসেম্বর মাসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসেই ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। ৫ ডিসেম্বর ছিল রোববার। সর্বাত্মক লড়াইয়ে এদিন শত্রুমুক্ত হয় বাংলার আকাশ। মিত্রশক্তির বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখলে নেয়। সারা দিন ভারতীয় জঙ্গিবিমান পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলোয় প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। অকেজো করে দেয় বিমানবন্দরগুলো। এর একদিন পরই ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজয়ের খবর আসতে থাকে। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে রয়েছে নানা মোড়। আজও ছড়িয়ে আছে যুদ্ধের অনেক না জানা ইতিহাস, ত্যাগরে কাহিনি।

মহান মুক্তিসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করেন গবেষক, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক। তিনি যুগান্তরকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি এখনো আমাদের হানা দেয়। যখন পেছনদিকে তাকাই, তখন অনেক কথাই মাথায় ঘুরপাক খায়। একটি স্মৃতি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা পেল। আমরা এই জাদুঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।

এই জাদুঘর সর্বজনের সমর্থন পেয়ে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এই জাদুঘর করার পেছনে যে চ্যালেঞ্জ ছিল, তা হলো উপকরণ আহরণ ও সংরক্ষণ করা। আর সে দায়িত্ব আমরা পালন করছি। আমার খুব মনে পড়ে নিজামউদ্দিন আজাদের কথা। ১৯৭১ সালে সে ছিল আমাদের অনুজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছোট ভাই। মিটিংয়ে, মিছিলে আজাদ সব সময় সামনের সারিতে থাকে। সব সময় স্লোগান দেয়, দেখতে সুদর্শন। আজাদের বাবা কামরুদ্দিন আহমেদ বিশিষ্ট আইনজীবী। অনেকভাবে আজাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা একত্রে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেদিন রাতে যে আক্রমণ হলো তাতে প্রতিরোধের প্রয়াসগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা নানাদিকে ছড়িয়ে পড়ি। তারপর কারফিউ উঠল অল্প সময়ের জন্য। প্রথমদিন সম্ভবত ঘণ্টা দুয়েকের জন্য এবং তারপর আরেকটু বাড়তি সময়। দ্বিতীয়বারের জন্য যখন কারফিউ উঠল, তখন আজাদ এসেছিল আমার বাসায়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করছিলাম। আজাদ ছোট্ট রুমালে বাঁধা একটা পুঁটলির মতো নিয়ে এসেছিল। আমাকে বলল, সে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, জগন্নাথ হলে পাকিস্তানি বাহনীর হত্যাযজ্ঞ নিজে দেখে এসেছে।

গিয়েছিল শিববাড়ীতে যে কোয়ার্টারে মধু দাকে হত্যা করা হয়। ও দুই ঘণ্টায় যখন কারফিউ শেষ হলো, সে তখনই ওখানে যায়। মধু দার ফ্ল্যাটেও সে ঢুকেছিল। সেখানে রক্তের চিহ্ন, দেওয়ালে বুটেলের চিহ্ন দেখেছে। সেখান থেকে কয়েকটা বুলেটের খোসা তুলে এনেছিল। সেটাই রুমালে করে নিয়ে এসে আমাকে দেখাল। এখন মাঝেমধ্যে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার যে প্রয়াস আমরা ২৫ বছর পরে নিয়েছিলাম, সেই কাজটা সে ২৫ মার্চের পরই শুরু করেছিল। সেই আজাদও ১১ নভেম্বর শহিদ হলো। এ স্মারকগুলো যখন দেখি, তখন স্মৃতিকাতর হই, একধরনের আকুলতা কাজ করে। সব মিলিয়ে মনে হয়, আজাদের কাজটাই যেন আমরা এখন করছি। আজাদ নেই; কিন্তু তবুও যেন আজাদ আছে আমাদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আজাদের লাশ পাওয়া যায়নি। কেনো আনুষ্ঠানিক দাফনও হয়নি। এরকমভাবে যারা হারিয়ে গেছে, তাদের মায়েরা কিন্তু আশা ছাড়েননি। আজাদের মা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আশা ছাড়েননি, অপেক্ষা করেছেন। তার ছেলে বেঁচে আছে এবং ফিরে আসবে।

মফিদুল হক বলেন, এই যে একটা অসাধারণ লড়াই এবং তার পরতে পরতে এতকিছু জড়িয়ে আছে, সেটা যেন বহমান থাকে। নবীনরা যেন এটা অনুধাবন করতে পারে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তারা নিজেরাই শক্তি খুঁজে পাবে। বহু বাধা চড়াই-উতরাই তো জীবনে থাকেই। কিন্তু এই যে একটা প্রেরণা এবং শক্তি, যা আমাদের ইতিহাস আমাদের জুগিয়েছে। আমরা যেন এই ইতিহাসের প্রতি অবহেলা না করি এবং শক্তিটা যেন ধারণ করার চেষ্টা করি।




আইএমএফ’র ঋণ পেতে আরও শর্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার

ডলারের সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) আরও কিছু শর্ত মানতে যাচ্ছে সরকার।

এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি থাকছে। বেসরকারি খাতে জ্বালানি আমদানির অনুমোদন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টিও এতে আছে।

এছাড়া জ্বালানি পণ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম ব্যবহারভিত্তিক করা এবং কর জিডিপি অনুপাত বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এসব শর্ত বাস্তবায়নের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক খাতে আইএমএফ বড় আকারের সংস্কারের শর্ত দিয়েছে। তবে সরকার থেকে এখনই এ ব্যাপারে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তবে সীমিত পর্যায়ের সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বৈশ্বিক মন্দা ও দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাব এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ আইএমএফ-এর কাছে দুটি খাতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে। এ ঋণের ব্যাপারে আলোচনা করতে ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর আইএমএফ-এর মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে। ওই সময়ে তারা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে। এর মধ্যে বেশকিছু শর্ত সরকার ঋণের আলোচনা শুরুর আগেই বাস্তবায়ন করেছে। কেননা আইএমএফ-এর ঋণের প্রধান শর্তই হচ্ছে ভর্তুকি কমানো। ভর্তুকি কমাতে সরকার গত আগস্টেই জ্বালানি তেল, গ্যাস ও সারের দাম বাড়িয়েছে।

আইএমএফ-এর সঙ্গে ঋণ আলোচনা শুরু হলে আবার তারা এসব পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে। কিন্তু সরকারপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলোর দাম একদফা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখন আর বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে আইএমএফ বিদ্যুতের দাম বাড়াতেও বলেছিল। এর অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। ১২ শতাংশ দাম বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এটি বাড়ানো হলে আইএমএফ-এর বড় একটি শর্ত বাস্তবায়ন হবে।

সংস্থাটির আরও একটি শর্ত ছিল জ্বালানি পণ্য আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়া। বর্তমানে জ্বালানির বড় অংশই সরকার আমদানি করে। সীমিত পর্যায়ে কিছু এলএনজি বেসরকারি খাতে আমদানি হয়। আইএমএফ চাচ্ছে, জ্বালানি পণ্যের মধ্যে জ্বালানি তেল, গ্যাস বেসরকারি খাতেও আমদানির সুযোগ দেওয়া হোক। এসব বিষয়েও সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে একটি নীতি করে বেসরকারি খাতে জ্বালানি পণ্য উন্মুক্ত করা হবে। আইএমএফ শর্ত অনুযায়ী আমদানি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়েও একটি নীতিমালা করা হবে। কোন জ্বালানির দাম কত বাড়লে দেশের বাজারে কোন খাতে এর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।




অফিসে মানসিক চাপ কমাবেন যেভাবে

কর্মক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ পরিবেশ সবাই আশা করে। কিন্তু কখনো কখনো কাজের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে। নিজের কোনো দায় ছাড়াও কর্মপরিবেশ বিষয়ে উঠে। এতে করে মনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

শরীর ও মন এই দুই নিয়েই মানুষ। ব্রেইনের বিভিন্ন ধরনের সার্কিট, হরমোন, কেমিক্যালস, মেসেঞ্জার ও নিউরোনাল কার্যকলাপের বহিঃপ্রকাশকে মন বলা যায়। ২০২০ সালে আমেরিকায় অফিস কর্মীদের মাঝে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত কারণে তাদের কর্মক্ষমতা হারায় বছরে প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির অফিস কর্মীদের ১০ ভাগ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ইউরোপে ২৫ ভাগ অফিস কর্মী উদ্বেগ ও ডিপ্রেশনে ভুগেন। আমাদের দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৬.০১ ভাগ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

২০১৪ সালে ২০-২৯ বছর বয়সি গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা যায়, পোশাকর্মীদের মধ্যে ৪৩ ভাগ তাদের উদ্বেগ ও বিষণ্নতার জন্য তাদের ওয়ার্কপ্লেসকে দায়ী করেছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আহসান উদ্দিন আহমেদ।

চাপ বুঝবেন কীভাবে

কোনো অফিস কর্মীর আচরণ ও ব্যবহারে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন এলে তা মানসিক কোনো রোগের কারণে হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে-

হঠাৎ কেউ চুপচাপ হয়ে গেলে বা কথা বলা কমিয়ে দিলে, অফিসে আসা ও যাওয়ার সময়সূচি মেনে না চললে, নিজের কাজ যথাসময়ে সম্পাদন করতে না পারলে, সহকর্মীদের সঙ্গে চেচামেচি বা উত্তেজিত আচরণ করলে, কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পারলে, হতাশা বা মৃত্যুর কথা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করলে, পোশাক-পরিচ্ছেদ অগোছালো থাকলে-এগুলো কোনো ধরনের মানসিক সমস্যার জন্য হতে পারে। এ অবস্থায় অফিস ম্যানেজমেন্ট বা সহকর্মীরা এ কর্মীকে সহানুভূতি প্রকাশ করবে প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলবেন।

অফিসে মানসিক চাপ হওয়ার কারণ

* সহর্কমীদের কাছে যথাযথ বা সম্মানসূচক আচরণ না পেলে।

* অফিসে কাজের চাপ বেশি থাকলে।

* কাঙ্ক্ষিত মানে অর্থনৈতিক প্রণোদনা বা প্রমোশন না পেলে।

কিছু কিছু পেশার ধরন এমনিতেই মানসিক চাপের কারণ। যেমন-সার্জন, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, ট্রাফিক পুলিশিং, আর্মি, নাইট গার্ড ইত্যাদি। এ ব্যক্তিরা যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সঙ্গে সমন্বয় করতে না পারলে মেন্টাল অ্যাসেসমেন্ট প্রসিডিউর বা কাউন্সেলিং-এর শরণাপন্ন হতে হবে। নতুবা পেশা পরিবর্তন করতে হবে।

অফিসে মানসিক চাপ মোকাবিলা করবেন যেভাবে-

* এক সঙ্গে অনেক কাজ না নিয়ে অল্প অল্প করে কাজ শেষ করুন।

* অফিসে আসা ও যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন।

* সহকর্মীদের সঙ্গে যথাযথ ও সম্মানজনক আচরণ করুন।

* অফিসের দায়িত্ব বা কাজ অফিসেই শেষ করুন।

* পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

* প্রতিদিন নিজেকে একান্তে সময় দিন।

* অফিসে মোবাইল ও যে কোনো ডিভাইসের ন্যূনতম ব্যবহার করুন।

* একটানা কাজ না করে একটু বিরতি দিয়ে কাজ করুন।

* তৈলাক্ত, ভাজা-পোড়া খাবার না খেয়ে তাজা শাকসবজি ও ফল নিয়মিত খান।

* প্রতিদিন শরীর চর্চার অভ্যাস আপনাকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখবে।

* যে কোনো ধরনের নেশা আপনার মানসিক চাপ বাড়াবে।

* অফিসের কাজ টিম-ওয়ার্ক করে করুন।

* আপনার সম্পাদিত কাজের বিবরণ আপনার ম্যানেজারকে সরাসরি প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে কাজের বিবরণ লিখে রাখতে লগ বই ব্যবহার করুন।




Dhaka, including different locations 5.1 magnitude earthquake

রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সকাল ৯টা ২ মিনিটে মাঝারি মাত্রার এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

ভূমিকম্পের ফলে দেশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের সহকারী নিজামুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৯টা ২ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে ভূকম্পনটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগরের কলকাতা সীমান্তে।

এটি ঢাকা থেকে ৫২০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৩৪০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার দূরে। উৎপত্তিস্থলটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একদম পশ্চিমবঙ্গ এলাকা ঘেঁষে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) একই সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি ভূমিকম্পের তথ্য দিয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.২।




পেলের জন্য লড়বে ব্রাজিল, নেইমার খেলবেন

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নিতে গিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হার। ওই ম্যাচে পাওয়া হাঁটুর চোটে স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেলেসের বিশ্বকাপ শেষ। এর মধ্যে ব্রাজিল থেকে খবর আসে ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে থাকা ফুটবলের রাজা পেলের অবস্থা সংকটাপন্ন।

কেমোথেরাপিতে সাড়া দিচ্ছে না তার শরীর। এমন একের পর এক দুঃসংবাদে শনিবার দিনটা ভীষণ উৎকণ্ঠায় কেটেছে ব্রাজিল দলের। রাতে সেই দমবন্ধ আবহ কেটে যায় দুটি স্বস্তির খবরে। দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে আজ রাত ১টায় শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে দলের প্রাণভোমরা নেইমার চোটকাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠায় গাঝাড়া দিয়ে উঠেছে ব্রাজিল। কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ তিতে নিশ্চিত করেন, আজ খেলবেন নেইমার।

প্রথম ম্যাচে চোটে পড়ার পর শনিবার রাতে প্রথম অনুশীলনে নামেন নেইমার। এরপর সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, পেলের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছে তার ৮২ বছরের জীর্ণ শরীর।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে সবাইকে শান্ত ও ইতিবাচক থাকার আহ্বান জানান পেলে নিজেই, ‘বন্ধুরা, আমি চাই সবাই শান্ত ও ইতিবাচক থাকুন। আমি অনেক আশাবাদী। …. সৃষ্টিকর্তার ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস আছে। ভালোবাসার প্রতিটি বার্তা আমাকে শক্তি জোগাচ্ছে। আমি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলাও দেখছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ জেতানো পেলের এই বার্তাই আজ সেলেকাওদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা হতে পারে। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের অভিযানে তিতের দল আরেক ধাপ এগিয়ে গেলে আরও শক্তি ও উদ্দীপনা পাবেন পেলে। সব সমীকরণ একপাশে সরিয়ে রেখে ব্রাজিল আজ পেলের জন্যই লড়বে। শেষ ষোলোতে নেইমারের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ায় ব্রাজিল শিবিরে এখন প্রাণের উচ্ছ্বাস। বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ নিয়েও গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল করেছে ব্রাজিল। কোচ তিতে অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নকআউট পর্বে দেখা যাবে ব্রাজিলের রুদ্ররূপ। ডিফেন্ডার দানিলো আজ চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন।