রোহিঙ্গাদের পাশে কলকাতা, বিশাল মিছিলে অবরূদ্ধ শহর

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে ভারতের কলকাতায় মিছিল করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানিয়ে সমাবেশ হয়েছে ধর্মতলায়।
এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় বাম ও কংগ্রেসও।

মিছিলের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

রোহিঙ্গাদের ঘাড়ধাক্কা দিলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকেও ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হবে। এই স্লোগান উঠল ধর্মতলার সমাবেশ থেকে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধিকেও মঞ্চে উপস্থিত করা হয়। তিনি মিয়ানমার থেকে এসেছেন। সে দেশে তাকে কী পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এটা মুসলমানদের সমস্যা বলে এখানে আসিনি। এটা মানবতার লজ্জা। মানবতার জন্যই এখানে এসেছি। ‘ একই সুর শোনা যায় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও।




রামগতিতে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রের ১বছর কারাদন্ড

লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুুরের রামগতিতে প্রবাসী বড়ভাই আনোয়ার হোসেনের ফাযিল পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনকে ১বছর কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন সময় আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অজিব দেব তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র ও রামগতি পৌরসভার চর সেকান্তর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফাযিল ২য় বর্ষের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন তার বড় ভাই ফাযিল ৩য় বর্ষের ছাত্র প্রাবসী আনোয়ার হোসেনের পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। সকালে ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করে।

 

 




মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরন করতে হবে………………..আ স ম আবদুর রব

 

 

 

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার হত্যা, খুন, নির্যাতনের মাধ্যমে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে জোরপূর্বক বাংলাদেশে প্রেরনের প্রতিবাদে ১০ আগষ্ট রবিবার, বিকেল ৪ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিসহ সমমনাদল সমূহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিতহয়। এতে বক্তব্য রাখবেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব,বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর মহাসচিব মেজর(অব:) এম এ মান্নান,নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না,জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন,গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী,নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মমিনুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর নেতা শাহ আহমেদ বাদল, জেএসডি নেতা আতাউলকরিম ফারুক, গণফোরাম নেতা মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুররব তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমার বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে বর্বরোচিত হত্যা, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতনের মধ্যদিয়ে লাখো লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে বাধ্য করছে। বর্তমানে এ সমস্যাতীব্র আকার ধারন করেছে। কোন কুটনৈতিক সমঝোতা, আনানকমিশনের তদন্ত রিপোর্ট কোন কিছুকেই তারা আমলে নিচ্ছেনা। এঅমানবিক ও উদ্ধত আচরণ থেকে মিয়ানমারকে বিরত করা ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে তাদের বাস্তু ভিটায় ফেরৎ
যাওয়ার পথ নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘশান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরন করতে হবে। রব বলেন, এ বিষয়ে সরকারেরকুটনৈতিক তৎপরতায় ভ্রান্তি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সরকারকে অবিলম্বেতা কাটিয়ে উঠতে হবে। জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, রোহিঙ্গাইস্যুতে সৃষ্ট সমস্যা জাতীয় সংকটের রূপ নিয়েছে। এমতাবস্থায় দলীয়স্বার্থ চিন্তা ভুলে গিয়ে সরকারকে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলারজন্য উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।




রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উখিয়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার গণভবনে সরকার ও দলের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৫ আগস্ট ভোররাত থেকে রাখাইনে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘাত শুরু হয়। এতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বাকিরা আনসার সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে আগুনসহ নানা নির্যাতন শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে আজ রবিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ৭০০,০০০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে গত ১৫ দিনে এসেছে প্রায় ৩০০,০০০। ‘




মিয়ানমারে গনহত্যার প্রতিবাদে কমলনগরে বিক্ষোভ সমাবেশ

লক্ষ্মীপুর : মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও গনহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর হাজিরহাট বাজারে জাতীয় ইমাম সমিতির উদ্যেগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়। এতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জায়েদ হোছাইন ফারুকী, জাতীয় ইমাম সমিতির কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা আলী হোছাইন, ওলামালীগের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক মাওলানা ই¯্রাফিল, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান, হাজিরহাট জামে মসজিদের খতিব ক্বারী গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ হেলালীসহ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। পরে মায়ানমারের মুসলমানের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।




লক্ষ্মীপুরে ১৪টি বাইসাইকেল উদ্ধার, আটক ৬

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও হাট-বাজার থেকে চুরি যাওয়া ১৪টি বাইসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় চোর চক্রের মূলহোতা সোহেল (১৯) ও তার ভাই রুবেলসহ (১৭) ছয় কিশোরকেও আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটক সোহেল ও রুবেল টুমচর এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
অন্যরা একই এলাকার ইসমাইলের ছেলে সাকিল (১৬), জামাল হোসেনের ছেলে রিপাত (১৭), মৃত নোমানের ছেলে ইয়াসিন (১৫), জাকির হোসেনের ছেলে ফাহিম (১৮)।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম রেজা বলেন, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার থেকে চুরি যাওয়া ১৪টি বাইসাইলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়।
চোর চক্রের মূলহোতা সোহেল-রুবেল দুই ভাইসহ ছয় কিশোরকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।




লক্ষ্মীপুরের যুবক শাহা আজিজ ৭মাস ধরে নিখোঁজ

 

লক্ষ্মীপুরঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মো. শাহা আজিজ (২৮)নামের এক যুবক গত ৭মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারেরলোকজন আতœীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানেখোঁজলেও তার সন্ধান পায়নি। এব্যাপারে রামগতি থানায় একটিসাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।নিখোঁজ যুবক শাহা আজিজ রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছাইউনিয়নের চর কোলাকোপা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।তার গায়ের রং ফর্শা, মুখমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ফুট ৪ইঞ্চি,নিখোঁজ হওয়ার সময় তার পরনে ছিলো জিন্সের প্যান্ট ও সাদাশার্ট। সে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। আজিজ অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করেছেন।সাধারণ ডায়েরি ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে২৮ ফেব্রুয়ারি শাহা আজিজ বাড়ি থেকে চাকরির খোঁজতেচট্টোগ্রামে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ।অনেক খোঁজখোজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। আজিজের বড় ভাই রিপন মাঝি বলেন, আজিজ নিখোঁজ হওয়ার পরথেকে অনেক খোঁজাখোজি করেও না পেয়ে গত ০১ আগস্ট রামগতিথানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।




লক্ষ্মীপুরে লেগুনা উল্টে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া গতির একটি লেগুনা উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে ৫ মাদ্রাসা ছাত্র আহত হয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ফেনীর আজিজিয়া সুলতানুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র জুনাইদ (১০), রাকিক (১১), মো. রাকিব হোসেন (১০), মেহেদী হাসান (১১) ও আরিফ (১০)। আহত ছাত্রদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। তারা কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের চর সামচ্ছুদ্দিন গ্রাম ও মতিরহাট এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনা কবলিত অন্যান্য ছাত্রদের কাছ থেকে জানা গেছে মতিরহাট থেকে রিজার্ভ করা লেগুনা দিয়ে ফেনীর ওই মাদ্রাসা যাচ্ছিল তারা; পথে ভবানীগঞ্জ কলেজের সামনে গেলে দ্রুত গতির লেগুনাটির নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক; এতে লেগুনা রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে ৫ ছাত্র আহত হয়। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার উপরির্দশক (এসআই) ফারুক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে খোজখবর নেয়া হচ্ছে।




কারা এই রোহিঙ্গা, কেন তাদের এত দুর্ভোগ?

রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস করলেও দেশটিতে তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয় রোহিঙ্গা সংকট। মিয়ানমার তাদের স্বীকৃতি না দেওয়ায় এখনও প্রশ্ন থেকে যায় কারা এই রোহিঙ্গা কিংবা তাদের শিকড় কোথায়?

উইকিপিডিয়া বলছে, রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। যাদের বেশির ভাগেরই ধর্ম ইসলাম। এছাড়া অল্প কিছু সংখ্যাক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং, মংডু, কিয়কতাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন ও পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন ও আন এলাকায় মিশ্রভাবে বসবাস করে থাকে।

প্রায় এক মিলিয়ন (১০ লক্ষ) রোহিঙ্গার বসবাস মায়ানমারে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাদের অর্ধেক পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে। যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্য মতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ও রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।

রোহিঙ্গা কারা?
বর্তমান মিয়ানমারের “রোসাং” এর অপভ্রংশ “রোহাং” (আরাকানের মধ্যযুগীয় নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। আরাকানের প্রাচীন নাম রূহ্ম জনপদ। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশে পূর্ব ভারত হতে প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে অষ্ট্রিক জাতির একটি শাখা “কুরুখ” (Kurukh) নৃগোষ্ঠী প্রথম বসতি স্থাপন করে, ক্রমান্বয়ে বাঙালি হিন্দু (পরব্রতীকালে ধর্মান্তরিত মুসলিম), পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। এ সকল নৃগোষ্ঠীর শংকরজাত জনগোষ্ঠী হলো এই রোহিঙ্গা। বস্তুত রোহিঙ্গারা হল আরাকানের বা রাখাইনের একমাত্র ভূমিপুত্র জাতি। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে।

পক্ষান্তরে ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজ্য দখলদার কট্টর বৌদ্ধ বর্মী রাজা “আনাওহতা” (Anawahta) মগদের বারমা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে রোহিংগাদের বিতাড়িত করে বৌদ্ধ বসতি স্থাপন করেন। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস দক্ষিণে বার্মার বংশোদ্ভুত ‘মগ’ ও উত্তরে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনগোষ্ঠিই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।

নবম-দশম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য ‘রোহান’ কিংবা ‘রোহাঙ’ নামে পরিচিত ছিল, সেই অঞ্চলের অধিবাসী হিসেবেই ‘রোহিঙ্গা’ শব্দের উদ্ভব। ঠিক কবে থেকে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তার সঠিক কোন সময় জানা যায়নি।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত মতবাদ, সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। এই রহমত থেকেই এসেছে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি।

তবে, মধ্যযুগে ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ওই রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রোসাঙ্গ রাজ্যের রাজভাষা ফার্সী ভাষার সাথে বাংলা ভাষাও রাজসভায় সমাদৃত ছিল।

ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর চরম বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।

এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।




৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ লক্ষ্মীপুরে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আটক

 
লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া বিনিয়োগ ঋণ দেখিয়ে তিনি ব্যাংকের ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১ হাজার ২১৯ টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাৎ করেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্যাংক থেকে তাকে আটক করা হয়। নুর মোহাম্মদ ব্যাংকটির এসবিআইএস সুপাভাইজার এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। দুদক সূত্র জানায়, নুর মোহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার এসবিআইএস সুপাভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া বিনিয়োগ ঋণ দেখিয়ে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ১ হাজার ২১৯ উত্তোলন করে। তিনি এ টাকা আত্মাসাৎ করেছেন। বিষয়টি ব্যাংকের অডিট টিম সত্যতা পায়। কোন গ্রাহক ঋণ গ্রহণ না করলেও তিনি ভুয়া ও জাল ভাউচার তৈরী করে ব্যাংক থেকে ঋণ অনুমোদন করে নিজেই আত্মসাৎ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছ