Samsung Galaxy S23 images leaked before unveiling

স্যামসাংয়ের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট ডিভাইস ‘গ্যালাক্সি এস২৩’ উন্মোচন হতে পারে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। নতুন ডিভাইনটি উন্মোচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ডিভাইসটি দেখতে কেমন হবে বা এতে কী ধরনের ফিচার থাকছে, তার কিছুই অবশ্য এখনও প্রকাশ করেননি স্যামসাং।

তবে স্যামসাং না জানালেও ডিভাইসটির আসল ছবি ও ডিজাইন ফাঁস করার দাবি জানিয়েছে জার্মান প্রযুক্তি সাইট উইনফিউচার।

উইনফিউচারের বরাতে প্রযুক্তিনির্ভর সংবাদমাধ্যম ভার্জ জানিয়েছে, কালো, সাদা, সবুজ ও গোলাপি রঙে পাওয়া যাবে স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস২৩’। ডিভাইসটিতে থাকতে পারে উজ্জ্বল ‘ওলেড’ ডিসপ্লে, কোয়ালকমের দ্বিতীয় প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮’। ডিভাইসটির পেছনে থাকবে তিন ক্যামেরার সেটআপ।

ভার্জের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘গ্যালাক্সি এস ২২’-এর তুলনায় ‘গ্যালাক্সি এস২৩’-এর ক্যামেরা সেটআপেও পরিবর্তন আসবে।

এর আগেও একাধিকবার স্যামসাং ডিভাইসের আগাম খবর ফাঁস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল উইনফিউচার। ধারণা করা হচ্ছে, প্ল্যাটফর্মটির এবারের খবরও সঠিক হবে।




Mamata deserves to be Prime Minister of India: Amartya Sen

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির

২০২৪ সালে ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার নির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য একক ঘোড় দৌড় হবে বলে মনে করলে সেটা ‘ভুল হবে’। দেশটির আগামী নির্বাচনে কয়েকটি আঞ্চলিক দলের ভূমিকা ‘স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।

অমর্ত্য সেন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের হতাশাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন কিনা তা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কয়েকটি আঞ্চলিক দল স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে ডিএমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল, তৃণমূলও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজবাদী পার্টিরও কিছুটা অবস্থান আছে, তবে সেই অবস্থান বাড়ানো যাবে কিনা আমি জানি না।’

অমর্ত্য সেন বলেন, বিজেপির জায়গা নিতে পারে এমন অন্য কোনও দল নেই, এ ধরনের চিন্তাভাবনাকে আমি ভুল বলে মনে করি। কারণ বিজেপি একটি দল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যার একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং ভারতের অন্যান্যদের চেয়ে হিন্দুদের দিকে বেশি ঝুঁকছে দলটি।

ভারতের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদল কংগ্রেসসহ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং জনতা দলের (ইউনাইটেড) মতো দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা একটি নতুন জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন। দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করবে বলে এসব দলের নেতারা জোর দিয়েছেন।




Messi did not receive an offer from the Saudi club

পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সৌদি ক্লাবে যাওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জনটা। মেসিকেও নাকি প্রস্তাব দিয়েছিল রোনালদোর দল আল নাসেরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল হিলাল। তবে এমন প্রস্তাবের কথা উড়িয়ে দিলেন স্প্যানিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞ গিলেম বালাগ। আল হিলাল থেকে নাকি কোনো প্রস্তাবই পাননি আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসি।

গিলেম বালাগ জানিয়েছেন, লিওনেল মেসিকে পাওয়ার জন্য সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল কোনো প্রস্তাব দেয়নি। বরং ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের জোর সম্ভাবনা আছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির কাছে তিনি বলেছেন, ‘এমন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। পিএসজি ও মেসি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসবে যাতে তাকে প্যারিসে ধরে রাখার চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়।’

গত মাসে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন মেসি। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ, পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দেওয়ার। আর মেসির চাওয়াও ইউরোপে খেলা। বালাগ বলেছেন, এই মুহূর্তে মেসির ইচ্ছা ইউরোপে থাকার।

এর আগে স্পেনের ক্রীড়াভিক্তিক সংবাদমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আল হিলাল মেসিকে তাদের ক্লাবে নিতে চাচ্ছে। এজন্য বড় অঙ্কের অর্থও দিতে রাজি আল নাসেরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবটি। সেখানে বলা হয়েছে, মেসিকে বছরে ৩০ কোটি ডলার পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে আল হিলাল।

সংবাদমাধ্যমের খবর, রোনালদোকে আল নাসের যে পরিমাণ বেতন দিচ্ছে মেসিকে তার থেকেও বেশি দিতে চায় আল হিলাল। সেটা রোনালদোর ২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার চেয়েও বেশি। যদিও ক্লাবটির পক্ষ থেকে এমন কোনো কথা শোনা যায়নি।

আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদির ঘরোয়া লিগ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেশ ভালো। আল হিলাল ও আল নাসেরের মধ্যকার ম্যাচ হলো সৌদি আরবের ‘এল ক্লাসিকো’, যেটিকে সৌদি আরবে ‘রিয়াদ ডার্বি’ বলা হয়।




Drizzling rain is joining the cold stream

শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে এবার যোগ হতে যাচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কাল শনিবার খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাজধানী ও দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কোথাও কোথাও আকাশ সামান্য মেঘলা হতে পারে।

এদিকে আজ শুক্রবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। তবে দিনে রোদ থাকায় শীতের তীব্রতা ছিল কম। আর দেশের ১১টি জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকা এবং দেশের উত্তর ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ফলে নৌপথ এবং মহাসড়কগুলোতে রাতে যান চলাচলে সমস্যা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলেকে বলেন, দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর আকাশে মেঘ আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মেঘ–বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমে সারা দেশে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ওই শৈত্যপ্রবাহ চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কাল শনিবার এই জেলাগুলোর কয়েকটি এলাকা থেকে শৈত্যপ্রবাহ সরে যেতে পারে। সেখানে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।




Herbal teas that are useful to keep healthy in winter

শীতে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এই সময় সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন তিন ধরনের ভেষজ চা। এসব চা শরীর ডিটক্স করতে, চুল ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে উপকারী।

যেভাবে বানাবেন ভেষজ চা

১. একটি পাত্রে পানি নিন। তাতে আদার টুকরো ও জোয়ান দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটি গরম করে নিন। এর সঙ্গে চা পাতা মেশান। এবার ছেঁকে নিয়ে তাতে ভালোভাবে লেবুর রস মেশান। এই চা গরম গরম পান করলে উপকার মিলবে।

২. দারুচিনি, লবঙ্গ ও গ্রিন টি দিয়ে বানিয়ে নিন চা। একটি পাত্রে পানি নিন। এবার তা ফুটতে শুরু করলে দারুচিনি ও লবঙ্গ দিন। ফুটে গেলে তা ছেঁকে নামিয়ে নিন। এবার তাতে গ্রিন টি-র ব্যাগ ডুবিয়ে দিন। প্রতিদিন এই চা খেলে মিলবে উপকার।

৩. আমলকী ও আদার চা বানাতে পারেন। এর জন্য আদার গুঁড়া (১ চা চামচ), আমলকীর গুঁড়া (১ চা চামচ), লবণ পরিমাণ মতো, মধু (১ চা চামচ) লাগবে। পাত্রে পানি নিন। পানি গরম হলে তাতে আদা ও আমলকীর গুঁড়া দিন। সামান্য লবণ দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা নামিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খেতে পারেন এই চা।




Will not pay electricity bill unless price reduced: Bulu

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে জনগণকে নিয়ে বিদ্যুতের বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিল দেব না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রংপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি উল্লেখ করে বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের আর দেখতে চায় না। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এ কারণে মামলা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বুলু বলেন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। আজকে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে একটি রাস্তা আছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে বেয়াদবি করেছেন, অন্যায় করেছেন, তার পরিবারের সাথে যে অন্যায় করেছেন তার জন্য মাফ চেয়ে, বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।

সংগঠনের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।




ইউজিসি নিধিরাম সর্দার থাকবে না!

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও সংস্থাটির হাতে বিচারিক ক্ষমতা অর্থাৎ শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। বর্তমানে ইউজিসি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়ম তদন্ত করা ও তাদের কার্যক্রমের তদারকি করতে পারে। অবস্থার আলোকে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে এবং সে আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া না নেওয়ার এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। অর্থাৎ ইউজিসির ভূমিকা আমরা দেখছি অনেকটা ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো।

প্রথম কথা হলো, ইউজিসি কেন বিচারিক ক্ষমতা চায়। যদি এমন হয়, কোনো বিষয়ে সুপারিশ করার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেখানে ইউজিসির হাতে থাকলেও সংস্থাটি সে ব্যবস্থা নিতে পারবে কিনা। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে না পারলে ইউজিসিও যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে- এমনটি ভাবার কারণ নেই। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তারা ক্ষমতাবান এবং সাধারণত তারা ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকে। ফলে সেখানে অনেকক্ষেত্রে ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অসহায়। এমনকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যারা জড়িত তারাও কম শক্তিশালী নয়। ফলে সেখানেও সবসময় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রতিষ্ঠার ২০-২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য তাদের ইউজিসির পক্ষ থেকে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও অনেকেই তা বাস্তবায়ন করেনি। অনেকেই আবার দূরে নামকাওয়াস্তে ক্যাম্পাস বানিয়ে রাজধানীতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে হয় স্থায়ী ক্যাম্পাস, না হয় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ- এমন বার্তা দেওয়ার পরও নিয়ম মানছে না অনেকেই। এরপরও কিন্তু তাদের শিক্ষা কার্যক্রম দিব্যি চলছে। এখনও অন্তত একডজন বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়- কেউই এদের নিয়ন্তণে আনতে পারেনি।

সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি, সনদ বাণিজ্য, আর্থিক অনিয়ম ঠেকাতে আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা জরুরি। বিদ্যমান ব্যবস্থায় এর এখতিয়ার মূলত শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের হাতে। ইউজিসি কোনো বিষয়ে সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে, দেখা যায়, সেখানে বিষয়টি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে যায়। ফলে অনিয়ম থেকেই যাচ্ছে। সেদিক থেকে ইউজিসির হাতে ক্ষমতা থাকলে সংস্থাটি ত্বরিত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। ইউজিসির জন্য এটি সহজ এ কারণে বিষয়টির তত্ত্বাবধানে সরাসরি সংস্থাটিই করেছে। কোনো বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সিদ্ধান্তের সুপারিশ করলে তারা আবার তদন্তে গেলে অযথা সময় নষ্ট হবে।

শুক্রবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, কেবল বিচারিক ক্ষমতাই নয় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে উপাচার্য নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা, অভ্যন্তরীণ র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করাসহ ইউজিসি ১৭টি সুপারিশ করেছে। সময়ের আলোকে এগুলো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন তখনই হতে পারে, যখন দেশে উচ্চশিক্ষার মূল সংকট দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সংকট এখন সর্বগ্রাসী দলীয়করণ। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা উপাচার্য নিয়োগে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলীয়করণ দূর না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকা আর ইউজিসির হাতে ক্ষমতা থাকার মধ্যে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নেই। এ ক্ষেত্রে রাজনীতিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সংকট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বের হতে পারবে না তেমনি উচ্চশিক্ষার সংকটও কাটবে বলে মনে হয় না।




Ganga Bilas begins the journey on the world's longest sea route

বিশাল প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। এর আলো ঝলমলে অন্দরমহল যেন পাঁচ তারকা হোটেল। নানা আনন্দ আয়োজন রাখা হয়েছে এর ভেতরে। ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসী থেকে যাত্রা শুরু করেছে এটি। বাংলাদেশের নদীপথ দিয়ে পৌঁছাবে আসামে। প্রমোদতরীটি বিশ্বের দীর্ঘতম নৌপথ ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। এ যাত্রায় সময় নেবে ৫১ দিন। এরমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করবে ১৫ দিন। যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য তাৎপর্যময় স্থান। এগুলো ঘুরে দেখবেন এতে আরোহী পর্যটকরা।

‘গঙ্গা বিলাস’ নামকরণকে যথার্থই বলতে হবে। কারণ, এতে আরোহণ বিলাসই বটে। এ জাহাজে ভ্রমণে প্রতিদিন মাথা পিছু ভাড়া গুনতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার রুপি। ৫১ দিনের ভ্রমণে নূন্যতম খরচ পড়বে ১২ লাখ ৫০ হাজার রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৬ লাখ টাকা।
শুক্রবার বারানসীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভারতের কেন্দ্রীয় নৌ পরিবহনমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী যাত্রায় প্রমোদতরীতে যাত্রী হিসেবে আছেন সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন ও এক জার্মান পর্যটক। এ ছাড়া সাতজন ক্রু রয়েছেন।

গঙ্গা বিলাসের দৈর্ঘ্য ৬২ দশমিক ৫ মিটার; প্রস্থ ১২ দশমিক ৮ মিটার। এতে আছে এলইডি টেলিভিশন, স্মোক ডিটেক্টর লাইফ জ্যাকেট, ফ্রেঞ্চ ব্যালকনি, ৪০ আসন বিশিষ্ট রেস্তোর, স্পা, সানডেক ইত্যাদি। রয়েছে ময়লা পানি পরিশোধনের ব্যবস্থাও। এ পরিশোধন পল্গ্যান্ট নদী থেকে পানি তুলে তা পর্যটকদের জন্য গোসল ও অন্য কাজের উপযোগী করবে। ভ্রমণকালে বিনোদনের জন্য থাকবে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ ছাড়া ফিটনেস ঠিক রাখতে জিমের ব্যবস্থাও রয়েছে।

প্রমোদতরীটি বারানসি থেকে বিহার-কলকাতা ছুঁয়ে বাংলাদেশ হয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে। এর মধ্যে এটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার নদীপথ অতিক্রম করবে। ভ্রমণকালে ২৭টি নদীর পানিতে ভাসবে গঙ্গা বিলাস। তবে সুন্দরবন ডেল্টা, গঙ্গা আরতি, আসমের মায়ংয়ের কালো জাদু এবং কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের মতো অন্তত ৫০টি স্থানে থাকবে।

বারানসীর রামনগর বন্দরের সন্ত রামদাস ঘাট থেকে তরীটি যাত্রা শুরুর পর বিহারের গাজীপুর-বপার-ছাপরা-পাটনা-মুঙ্গের-বৌদ্ধগয়া-নালন্দা, ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা-মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতায় পৌঁছবে। একদিন বিরতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের নামখানা-সজনেখালি হয়ে তা সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করবে। পরে মংলা বন্দর-বাগেরহাট-মোড়েলগঞ্জ-বরিশাল-সোনারগাঁও হয়ে ফেব্‌রুয়ারি মাসে ঢাকায় পৌঁছবে। এরপর আরিচা-টাংগাইল-সিরাজগঞ্জ-চিলমারী-আসামের ধুবরি-গোয়ালপাড়া হয়ে ফেব্‌রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে গোয়াহাটিতে পৌঁছবে। পরে ফেব্‌রুয়ারির শেষ দিকে মাজুলী আইল্যান্ড পৌঁছবে। ১ মার্চ আসামের ডিব্রুগড়ে গিয়ে যাত্রা শেষ করবে। বিশ্বের এ দীর্ঘতম নৌরুটেই প্রমোদতরীটি যাতায়াত করবে।

তরীটি উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র মোদি বলেন, গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরী পরিষেবার সূচনা যুগান্তকারী মুহূর্ত। এ প্রকল্প ভারতের পর্যটন মানচিত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। গঙ্গা বিলাসের যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যা কল্পনা করবেন, এমন সবকিছুই ভারতে আছে। শুধু তাই নয়, আপনাদের কল্পনার বাইরেও অনেক কিছু এখানে আছে।

প্রমোদতরীর পরিচালক রাজ সিং জানান, তিনতলা জাহাজটিকে সাজিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে ৬৮ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি)।

গঙ্গা বিলাস নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোয়াল বলেন, গঙ্গা বিলাসের যাত্রা বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতাকে বুঝতে সহায়তা করবে।

ভারতের সরকারি ও বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনা মডেলের (পিপি মডেল) ওপর ভিত্তি করি পরিচালিত হবে বারাণসী-বাংলাদেশ-ডিব্রুগড় রুটের এ প্রমোদতরী। এজন্য ভারত সরকার ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র দুই জনপ্রিয় ক্রুজ সংস্থা অন্তরা লাপারি রিভার এবং জেএম বপী রিভার ক্রুজের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। যাত্রার জন্য টিকিট বুক করা যাবে বেসরকারি দুই সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে। তবে লম্বা সময় এবং অর্থ হাতে না থাকল সম্পূর্ণ ট্রিপ বুকিং ছাড়া কেবল সমুদ্রের আমেজ উপভোগ করতে বারাণসী থেকে কলকাতা বা কলকাতা থেকে ডিব্রুগড়ের প্যাকেজও বুক করা যাবে।




Accused of killing husband and running away, wife arrested

দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীর নাম রুমি আক্তার (২৫)। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া থানার বাজারপাড়া গ্রামের মৃত মো. তাজুর মেয়ে।

র‌্যাব জানায়, দেড়বছর আগে একই এলাকার মো. রিদুয়ানের সঙ্গে রুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুমি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার কলহ লেগে থাকতো। গত ২৮ আগস্ট একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন রুমি। গত ১৭ অক্টোবর জামিনে বেরিয়ে আসেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর আবারও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। এর জেরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে স্বামী রিদুয়ানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরদিন রিদুয়ানের পরিবারের সদস্যরা থাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রিদুয়ানের ভাই বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, ‘মামলার একমাত্র আসামি রুমি আক্তারকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে র‌্যাব। নজরদারির একপর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে আসামি মিঠাছড়া এলাকায় একটা বাসায় অবস্থান করছেন। অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’




Dhaka's fighting capital against Chittagong

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৫৯ রানের টার্গেট দিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। টানা তৃতীয় হার এড়াতে ঢাকার বিপক্ষে ১৫৯ রান করতে হবে চট্টগ্রামকে।

আগে ব্যাট করতে নেমে মন্থরগতিতে রান তোলে ঢাকার দুই ওপেনার উসমান ও মিজানুর। ৯.২ ওভারে ৬০ রান আসে ওপেনিং জুটিতে। ৩৩ বলে ২৭ রানে ফেরেন মিজানুর। এদিকে ৩৩ বলে ৪৭ রান করেন গনি।

টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সৌম্য সরকার ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করেই। এরপর দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হতেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিঠুন আলীও বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। চাপের মুখে হাল ধরেন নাসির। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ঢাকার অধিনায়ক খেলেন ২২ বলে ৪ চারে সাজানো ৩০ রানের ইনিংস। শেষদিকে ঢাকার রানের চাকা সচল রাখেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া এই ব্যাটার ১৮ বলে করেছেন ২৯ রান।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান ও মেহেদি হাসান রানা। এছাড়া একটি করে উইকেট করে নিয়েছেন শুভাগত হোম ও মালিন্দা পুষ্পকুমারা।