চট্টগ্রামে সমাবেশের পর উজ্জীবিত বিএনপি

সরকার হটানোর আন্দোলনের ‘খুঁটি’ গেড়ে রাজনীতির মাঠে অনড় বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি সমাবেশের মধ্যে দিয়ে প্রথম দফার আন্দোলন শেষে বিরোধী দলটি বর্তমানে বিভাগীয় কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে সমাবেশও করেছে তারা। যার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হচ্ছেন। এর জ্বলন্ত উদাহরণ চট্টগ্রামের সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ছাড়াও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে দেশের নয় বিভাগেই এমন সমাবেশ ঘোষণা করছে বিএনপি। যা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠের সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। এছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মহাসমাবেশও’ করবে দলটি। তবে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামের সমাবেশে নেতাকর্মীদের অনেক উজ্জীবিত দেখা গেছে। যদিও বিএনপি নেতাদের অভিযোগ- চট্টগ্রামের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে নেতাকর্মীদের বাসায় ও হোটেলগুলোতেও পুলিশের তল্লাশি করা হয়েছে।

তারা আরও অভিযোগ করেছেনে- চট্টগ্রামের পটিয়ার ইন্দ্রোপুল, গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকার বাইপাস সড়ক ও নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলা থেকে যানবাহনে করে সমাবেশে আসার পথে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

তবে এতেও বুধবার নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসা থেকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি, পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাই বিষয়টিকে পজিটিভভাবেই দেখছেন বিএনপি নেতারা।




International Day for Disaster Reduction celebrated in Tajumuddin

 Bhola Representative:

“দুর্যোগে আগাম সতর্কবার্তা সবার জন্য কার্যব্যবস্থা এই প্রতিপাদ্য তজুমদ্দিন উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও সিপিপি”র বাস্তবায়নে দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলা চত্বরে থেকে শুরু করে শশীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালীটি পূনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।

এসময় র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া,সিপিপি উপজেলা কর্মকর্তা মাজহারুল হক, তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাদী সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী বৃন্দ।




Seven arrested for extortion pretending to be journalists

ফরিদপুর প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, পাঁচটি মোবাইলফোন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার একাধিক ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

আটকরা হলেন- রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমা পারভিন। তারা গাজীপুর, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে আটকরা জানান, তারা সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিটের জন্য এসেছেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। অডিটের বিল বাবদ নগদ তিন হাজার টাকাও নেন। এসময় আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে তা দুইদিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।

একই কায়দায় পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন আটকরা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান।

তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় গিয়ে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা খবর দিলে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




Faridpur ban violation, jail sentence

ফরিদপুর প্রদিনিধি –
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে মা ইলিশ ধরায় এক জন জেলেকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০ এর ৩(ঘ) ধারা এবং ৪ধারা লংঘন করার দায়ে ৫(১) ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতভর এ অভিযান পরিচালনা করে সকালে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

সাজা প্রাপ্ত আসামী চরনাছিরপুর ইউনিয়নের হাফেজ কান্দি গ্রামের মৃত মোকসেদ ফকিরের পুত্র বাবলু ফকির(৫২)।

অভিযান চলাকালে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।




রাস্তাঘাটের দুরবস্থা: জনসাধারণের চরম ভোগান্তি 

সাব্বির মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রৌমারী, রাজিবপুর টু ঢাকা মহাসড়কের দিকে তাকালেই বোঝা যায় বর্তমান রাস্তাঘাটের কি বেহাল দশা। রাস্তাটির  দুরবস্থার কারণে যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়কটি বর্তমান ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে। রাস্তাটি মেরামতের জন্য দীর্ঘসময় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
রৌমারী রাজিবপুর -ঢাকার রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অপেক্ষায় থাকলেও তা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরে আসেনি। রাস্তা ভাঙাচোরা কারণে  রৌমারী থেকে ঢাকা যেতে অন্তত দ্বিগুণ সময় লাগে পৌঁছাতে। এতে ঘর থেকে সময় ধরে বেরুলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যেস্থলে পৌঁছানো হয়ে পড়ে অসম্ভব।
ভাঙাচোরা এবং অপ্রশস্ত রাস্তার কারণে অধিকাংশ সময়ে যানজটে কবলে পড়তে হয়। প্রচন্ড ধুলাবালির দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হয় আর মাত্ররিক্ত ঝুঁকিনির ফলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলে অনেকে।
রাজিবপুর থানা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি করির হোসেন বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি পড়েছেন জনসাধারণ। সরকারের কাছে আকুল আবেদন করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী যেন করা হয়।
স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষেরা বলেন, এই রাস্তার খারাপ থাকার কারণে আমাদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। একদিকে অসনীয় যানজটে সৃষ্টি হচ্ছে আর প্রতিনিয়ত হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত বিষয়টির ওপর নজর দিয়ে দুর্ভোগ নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য বিষয়ে স ও জ বিভাগের, কুড়িগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষনের কারণে রাস্তার কাজ করার সমস্যা বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সময়িক ভাবে স্থগিত করে রেখেছেন। তবে খুব শ্রীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।



হিন্দি সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যশের

অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল যশ দাশগুপ্তের প্রথম হিন্দি সিনেমার। সম্প্রতি প্রযোজনা সংস্থা টি সিরিজ জানাল ‘ইয়ারিয়াঁ ২’ নামের এই সিনেমা আগামী বছর মে মাসের ১২ তারিখ মুক্তি পাবে। যশ ছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করছেন জাভেদ জাফরির পুত্র মিজান ও দিব্যা খোসলা ।

২০১৪ সালে এই ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হিমাংশু কোহলি ও রাকুলপ্রীত সিং। পরিচালনা করেছিলেন দিব্যা খোসলা কুমার।

আর এবার পরিচালক নিজেই অভিনয় করছেন। পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন রাধিকা রাও আর বিনয় সাপরু জুটি। অতীতে এই দুই পরিচালক সালমান খান অভিনীত ‘লাকি: নো টাইম ফর লাভ’, ‘সানাম তেরি কাসাম’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন।

‘পারিবারিক সম্পর্ক রক্তের আর বন্ধুত্ব পছন্দ অনুযায়ী তৈরি হয়। সত্যিকারের বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ একটি পরিবারের গল্প বলবে এই ছবি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এমনই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ছবির অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে ওয়ারিনা হোসেন, প্রিয়া বেরিয়ার, পার্ল ভি পুরি প্রমুখ।




উন্নত দেশগুলোর অনেক প্রতিশ্রুতি পাই কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন: প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহযোগিতা না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোনো রকম ইমিশন করে না। বাংলাদেশ ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু বাংলাদেশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

উন্নত দেশগুলো উন্নয়ন করে ফেলেছে। আর তার ফলে আজকে আমরা ভুক্তভোগী। আমাদের এটাই দাবি ছিল, যেসব ক্ষতিগ্রস্ত দেশ; জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এদের সব রকমের সহযোগিতা তাদের দেওয়ার কথা।

তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা তো অনেক প্রতিশ্রুতি পাই কিন্তু বাস্তবে কতটুকু সহযোগিতা পাওয়া যায়! তারপরও আমি বলবো, প্যারিস চুক্তি হওয়ার ফলে একটা আশার প্রদীপ জ্বেলে আছে। পাশাপাশি গ্লাসগোতেও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভবিষ্যতে কী হয়…। আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আমাদের ব্যবস্থাটা নিজেদেরই করে নিতে হবে।

পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এ সময় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।




এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

নারীদের এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে হারমানপ্রীত কৌরের দল নির্ধারিত ২০ ওভারে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠা থাইল্যান্ডকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দেয়। বড় এ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৪ রান সংগ্রহ করে থাই মেয়েরা। আর তাতেই ৭৪ রানের বড় জয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত।

Details coming soon…  




রোববার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধান বিচারপতির

অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামী রোববার (১৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানান।

এতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা চলমান অবকাশকালীন ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস আগামী রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। মূল ভবনের ভেতরের লনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।




শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোনের নেশা দূর করবেন যেভাবে

এখনকার শিশু-কিশোররা সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে বুঁদ হয়ে থাকে। খাওয়ার সময়ও তাদের ফোন লাগে। একটা সময় শিশুরা টিভিতে কার্টুন দেখে সময় কাটাতো। সেই শিশুরাই এখন ইউটিউবে সময় কাটায়। বলা যায় তারা এখন স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত। জানুন যেভাবে শিশু-কিশোরদের ফোনের নেশা কাটাবেন।

আসক্তির কারণ ও প্রভাব

স্মার্টফোনের নেশা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাচ্চাদের এই আসক্তি কমাতে অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রচুর। শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব নয়, শরীরেও মোবাইলের খারাপ প্রভাব পড়ে।

করোনা ও তার পরবর্তী সময়ে শিশু-কিশোরদের মোবাইলে আসক্তি মারাত্মক বেড়েছে। ঘরবন্দি শিশুদের কাছে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন এখন খুবই সহজলভ্য। স্মার্টফোন বা মোবাইলের যন্ত্রে একসঙ্গে বিভিন্ন রকম বিনোদন হচ্ছে।  গেইম, নানা ধরনের বিনোদনমূলক অত্যাধুনিক অ্যাপের হাতছানি, ইন্টারনেট প্রভৃতি এক জায়গায় উপলব্ধ, যা আগে ছিল না।

বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা, খেলাধুলা, বই পড়া প্রভৃতির মাধ্যমে ধীর গতিতে আমাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটে। কিন্তু মোবাইলে খেলা, ভিডিও দেখার সময় অতি সত্বর শিশুমনে আনন্দ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হলেও কল্পনাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।

টিভি, মোবাইল গেম বা যে কোনও ধরনের ভার্চুয়াল এন্টারটেনমেন্ট দেখার সময়ে আমাদের মস্তিষ্কের কোষ থেকে ক্ষরণ হয় এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যার নাম ডোপামিন।

এই ডোপামিনের ক্ষরণ আমাদের মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি সঞ্চার করে। তার ফলে অতি সহজেই আমরা এই ধরনের এন্টারটেনমেন্ট মিডিয়ামগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়ি।

যেসব বাচ্চা মুখচোরা, সবার সঙ্গে মিশতে পারে না, বন্ধু ও সমাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করে আমরা বলি তাদের ‘ডিস্ফোরিয়া’ আছে। এই অবস্থা থাকলে, সে নিজেকে ভাল রাখতে ও জীবনের আনন্দ খুঁজে পেতে স্মার্টফোনকে সঙ্গী করে।

আসক্তি কাটানোর উপায়ঃ

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের স্মার্টফোনে হাতেখড়ি হয় তার অভিভাবকদের হাতেই। কিন্তু চাইলে অভিভাবকরাই পারেন সন্তানকে মোবাইলের আসক্তি থেকে বের করে অন্য জগতে তাদের ভুলিয়ে রাখতে। সাধারণত বাবা-মা যা করবেন সেটা দেখেই শিশু শিখবে। এই আসক্তির পিছনে তাঁদের ভূমিকাও কম নয়। নেশাই পারে নেশা ছাড়াতে।

স্মার্টফোন ছাড়াও দুনিয়াতে আনন্দের আরও অনেক কিছু রয়েছে। যে জগতে স্মার্টফোনের থেকে অনেক ভালো অভিজ্ঞতার হাতছানি থাকবে, সেদিকে শিশুর ঝোঁক বাড়াতে হবে।

বাচ্চার চোখে চোখ রেখে কথা বলা, তার ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা ও ইচ্ছাগুলোকে চিনতে বা জানতে পারলে তবেই সেদিকে শিশুর ঝোঁক বাড়ানো সম্ভব।

শিশুর কোমল মন থেকে মোবাইল আসক্তি কাটানো খুব সহজ নয়। তার প্রবল ঝোঁকের বা আগ্রহের জায়গাটা খুঁজে মোবাইলের সম বিকল্প ও আকর্ষণীয় জিনিসের প্রতি তার আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলতে পারলে তবেই শিশুর মুঠোফোনের প্রতি আসক্তি কমবে। যেমন, ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা কোনও বাদ্যযন্ত্রের প্রতি খুদের কৌতূহল থাকলে সেই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ফোনের স্ক্রিনের থেকে বেশি সময় এইসব কাজে তারা ব্যয় করবে।

এছাড়া শিশুকে পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার কোডিং ল‌্যাঙ্গুয়েজ শেখানো, বিভিন্ন রহস্য-রোমাঞ্চকর গল্পের প্রতি ঝোঁক তৈরি করা খুব দরকার। তবেই সে ধীরে ধীরে মোবাইল ভুলে ভাল নেশায় আসক্ত হবে। এর লাগাম থাকবে অবশ্যই অভিভাবকদের হাতে। শিশুর এগিয়ে চলার স্বচ্ছন্দ গতির উপর তাদের সুষ্ঠু বিকাশ নির্ভর করে, যার পরিকল্পিত রূপ দেওয়ার কারিগর হলেন বাবা-মা।

সন্তানকে সময় না দিয়ে তার বদলে হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া বা টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দেওয়াটা অনুচিত। অনেক শিশু একাকিত্বের কারণে মোবাইল ফোনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাবা-মায়ের প্রথমত খেয়াল রাখা উচিত শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করেও প্রতিদিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পালনে সক্ষম কি না। যদি তা নির্দ্বিধায় করে সেক্ষেত্রে ১-২ ঘণ্টা ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যায়।

বাড়ির আবহে পড়াশোনা-খেলাধুলার পরিবেশ থাকা অত্যন্ত জরুরি। ঘরের ছোট্ট খুদেটির সঙ্গে বাবা-মায়ের কোয়ালিটি টাইম কাটানো দরকার। রাতে ঘুমানোর আগের একঘণ্টা ও সকালে ঘুম ভাঙার পর প্রথম এক থেকে দুই ঘণ্টা খুদেটির ফোন ব্যবহার নিষেধ রাখতে হবে। এই নিয়ম বাবা-মায়ের জন্যও প্রযোজ্য হলে ভাল। উল্লেখযোগ্য, সপ্তাহে একটি দিন বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি স্মার্টফোনবিহীন দিন রাখতে হবে, সেদিন প্রত্যেক সদস্যের ছুটির পর শিশুটির সঙ্গে সময় কাটানো দরকার।

স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়লে শিশুর আনন্দসূচক ক্রমে কমতে থাকে ও তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। ওদের মুঠোফোনের বাইরের পৃথিবীর সংস্পর্শে রাখা বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব। স্ক্রিনজনিত বিনোদনের বদলে খেলাধুলা ও নিয়মানুবর্তিতার সঞ্চার করা ভীষণ প্রয়োজন।