Halland's hat-trick is a big win for Man City

প্রিমিয়ার লিগে আর্লিং হ্যালন্ডের হ্যাটট্রিকে বিশাল জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ফুলহ্যামকে তারা হারিয়েছে ৫-১ গোলে। দলটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন স্ট্রাইকার আর্লিং হ্যালন্ড। 

ম্যাচের প্রথমার্ধ ২-১ গোলে শেষ করে ম্যানসিটি। প্রথমে দলকে লিড এনে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ফুলহ্যাম। 

প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির আগে ডাচ ডিফেন্ডার নাথান একে গোল করে দলকে লিডে রেখে প্রথমার্ধ শেষ করান। 

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় হ্যালন্ড শো। তিনি ম্যাচের ৫৮ মিনিটে নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে তুলে নেন। ম্যাচ শেষের ঠিক আগে গোল করে হ্যালন্ড নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। দলের বড় জয় এনে দেন। 




Clash over possession of government land, 2 cases

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে লিজ নেওয়া সরকারি জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। শনিবার মাহমুদা আক্তার মীম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দেলোয়ার হোসেন নামে আরেকজনের মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

উপজেলা ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপ্তারা সত্যভান্দি এলাকায় প্রায় ২ দশমিক ৫২ একর সরকারি জমি আবু তাহেরকে ১৯৮৫ সালে লিজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫২ শতাংশের লিজ বাতিল করে ২০১৭ সালে সরকারি আবাসিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লিজ দেওয়ার সময় স্থানীয় আবু তাহের, ওহাব মিয়া, মো. মুসা, নুরুল হক, মকবুল হোসেন ও আবু হানিফ মিয়া যৌথ পরিবারে বসবাস করতেন।

পরে যৌথ পরিবার ভেঙে গেলে জমির ভাগ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। আবু তাহেরের নামে লিজ হওয়ায় অন্যদের দিতে রাজি হননি। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের বাবা মুসা জমি সমহারে বণ্টনের জন্য তিন মাস আগে ইউএনওর কাছে আবেদন করেন। গত ২৯ আগস্ট ইউএনও ইশতিয়াক আহম্মেদ সেখানে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন।

পরে আবু তাহেরের পরিবারের সঙ্গে অন্যদের বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। দু’দিন পর শুক্রবার আবু তাহেরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তাঁর চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শনিবার তাঁর চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার পাল্টা মামলা করেছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, জমিটি বাপ-চাচারা একত্রে থাকাকালীন লিজ নেওয়া হয়েছে। সবাই আলাদা হয়ে যাওয়ায় সমহারে বণ্টনের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু চাচা আবু তাহের ও তাঁর ছেলেমেয়েরা রাজি না হওয়ায় বিরোধ চলছে। গত ২৯ আগস্ট ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে তাদের হাতে মারও খেয়েছেন। তবে দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর বাবার নামে লিজ নেওয়া জমি দখলের জন্য প্রতিপক্ষ হামলা করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, কোন পরিস্থিতিতে সরকারি জমি লিজ দেওয়া হয়েছে এবং ভাইদের অবদান কতটুকু, সব বিষয় যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, উভয়ের মামলা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।




Cruelty to grow up

স্কুলের ছোট্ট ক্লাসের জানালা দিয়ে যে বড় ক্লাস দেখা যায়, সেখানে যে বড়দের দল, গলাগলি ফিসফিস করে, মনে হতো জীবনের অপার রহস্য তাদের কাছেই। তাদের ক্রস ওড়নার আড়ালে যুবতী স্তন, হা হা হি হি হাসতে হাসতে ঢলে পড়া, কানাকানি ছোট্ট দৃষ্টিতে বোধ হতো সেটাই গন্তব্য জীবনের। মাঝের ঐ বিশাল সবুজ গালিচা মাঠ পেরিয়ে সেখানে পৌঁছে গেলেই বোধহয় জানা হবে জীবনের সবটুকু। কী অপার আকাঙ্ক্ষা, কী তৃষ্ণা… তৃষ্ণা আমার বক্ষজুড়ে। আমিও একদিন তাদের মতো বড় হব। বালিকা থেকে নারী। না দেখে ফেলে যাওয়া বড়দের দল যেদিন আবিষ্কার করবে আমি তাদেরই একজন, সেদিনই বোধহয় আমি আমি হব। আমি বড় হব। বড় হওয়াই একমাত্র সাধনা জীবনের। বড়দের জন্য স্কুল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে মজনুরা। যেদিন আমার এমন মজনু হবে, সেদিন বুকের ভেতর সুগন্ধি রুমাল রাখার মতো বড় হব আমি, সেদিনই আর কিচ্ছু থাকবে না চাওয়ার, কিচ্ছু থাকবে না পাওয়ার বাকি।

না খুব দীর্ঘ সময় তো নয়। চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতেই যখন পৌঁছে গেলাম ‘আমি তখন নবম শ্রেণি, আমি তখন ষোলো’র বেঞ্চে, জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি বিশাল সেই মাঠ, যাকে অতিক্রম করতে হাঁপিয়ে যেতাম একদা, সেই মাঠটি কবে ছোট্টটি হয়ে গেছে! দেখলাম ছোট্ট মাঠ পেরিয়ে ছোট্ট ক্লাসের জানালা গলে ঠিক একজোড়া অবাক দৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে আমি আবিষ্কার করি আমাকে। অবিকল আমি। আজকের আমার কাছে পৌঁছানোর সেই দিনের আমার যে আকুলতা, তার দৃষ্টিতেও একই আকুলতা। ‘বিস্ময়ে ভ্রমি’র অপেক্ষায় থাকা দৃষ্টিকে আমার মায়া হয় খুব। বড়দের সারিতে বসলে দায়িত্ব এসে কাঁধে চাপে, পরীক্ষার চাপ উদ্বিগ্ন করে। উদ্বিগ্ন করে, অশান্ত করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা। আহা ঐ অপ্রাপ্তবয়স্ক দৃষ্টি জানে না, জানে না যে এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ। আহা এই চেয়ে থাকা জানে না পথ ফুরিয়ে গেলে যেখানে পৌঁছানো যায়, গন্তব্য যার নাম… সেখানেই সব কঠিনের শুরু, সেখানেই সব সহজের শেষ। সেখানেই শেষ অপাপবিদ্ধ আনন্দের, যে আনন্দের নাম জীবন। জীবন থেকে সব সহজ হারিয়ে গেলে সেই সহজের আক্ষেপে দিন কাটিয়ে দেওয়ার নামই জীবন। অথচ জীবন ছিল সেই সহজ দিনগুলোতেই, যখন সহজলভ্য সহজ কিংবা জীবন কিছুরই মানে ছিল না। ভোরবেলায় যে ভোর হতো চা-মুড়ির গন্ধে। তেরছা করে রোদ ঢোকে যেত পুবের দরজা দিয়ে রান্নাঘরের মাটিতে। আছড়ে পড়ে জানান দিত ধেয়ে আসছে প্রয়োজন, জীবনের প্রয়োজন। কিন্তু বালিকার তা বোঝার দায় ছিল না। পরিবার আগলে রাখা অভিভাবকের দল। মা পাখির ডানার নিচে বাচ্চা পাখির কিচিরমিচির করা অনর্থক দিনযাপনে ছায়া ফেলতে পারে না জীবনের কোনো জটিলতা। অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে জ্বাল দেওয়া চা কাপে ঢালতে ঢালতে মায়ের শাঁখা-পলায় ঝুলতে থাকা সেফটিপিনে বাঁধা থাকত সব সমাধান। ফ্রকের বোতাম যদি ছিঁড়ে যায় কিংবা পাজামার ফিতে পথ হারায়, মায়ের হাতে রয়েছে তো নির্ভরতা। কী যে জরুরি ছিল মায়ের সে হাত। যে জীবনে মা থাকে, সে জীবনে আর কিছুর দরকারই পড়ে না। মায়ের হাতে বেড়ে দেওয়া চা-মুড়ির চেয়ে প্রিয় কোনো ভোরের গন্ধ নেই এখনও আমার কাছে। সেই ভোরে কাঠ কয়লায় দাঁত মেজে বিছানায় বই মেলে বসলে মা এনে সামনে দিতেন সেই অমৃত। কারও কি এখন দিন শুরু হয় চা-মুড়ি দিয়ে, গ্রামে কিংবা শহরে? সন্ধান পেলে ছুটে যাব। চা-মুড়ির জন্য ছুটে যেতে হয় না। চাইলেই পাওয়া যায়। সরিষার তেল মাখা মুড়ি আর এক কাপ চা সহজলভ্যই খুব। কিন্তু সহজলভ্য নয় সময়ের অনুভূতি। অনেক চা অনেক মুড়ি… কিছুতেই ফিরে আসে না ফেলে আসা সময়ের ভালো লাগা। মায়ের মমতার ছোঁয়াহীন চা-মুড়ি কেবলই খাবার, উদরপূর্তির উপকরণ। টের পাই চা-মুড়ি হারাইনি। হারিয়েছি সময়ের সহজতা। সহজতার সারল্য, সারল্যের ভালো লাগা। এ এক মোহময় কর্পূর। ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিয়ে কোথায় মিশে যায়। বাকি জীবন তার সাথে জলের মতো ঘুরে ঘুরে কেবল কথা কওয়া। আর ধরা যায় না… ছোঁয়া যায় না…। জানি যা যায় আর ফেরে না কখনও। সুইমিং পুলের নীল জলে কখনোই ফেরে না পুকুরের শ্যাওলা সবুজ জলের উদ্দাম দুপুর। দল দল শৈশব কৈশোর। ঝাঁপিয়ে পড়া। অনতিদীর্ঘ দুপুরকে এই জলের গায়েই বিকেলে ঠেলে দেওয়া। মায়ের তাড়া। পথ চলতে চলতে আমি উন্মুখ হয়ে পুকুর খুঁজি এখন। ঝাঁক বাঁধা মাছের পোনাদের অভয়ারণ্য পুকুর, শ্যাওলার ঘ্রাণ মাখানো বাতাসের নীরব ঘুঙুর বাজানো পুকুর। বড় দুর্লভ এখন। পৃথিবীর সব পুকুর ডুবে গেছে উন্নয়নে কিংবা বিলাসের প্রাচুর্য্যে। সাথে নিয়ে গেছে বালক-বালিকার উদ্দাম শৈশব। মাটি ফুঁড়ে এখন সজল স্রোত নয়, গড়ে ওঠে ইমারত। কঠিন ইট-পাথরের ইমারত। যে ইমারতে কোনো ছিদ্র নেই মায়ার, আবেগের। কঠিন সেই ইমারতের জটিল ম্যাপে ম্যাপে মানুষের জীবনের জটিলতা। দক্ষ আর্কিটেক্টের গেঁথে দেওয়া। তবু এই নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে এখনও গ্রাম হয়ে পড়ে থাকা কোনো জনপদের অচেনা পথ ধরে হাঁটতে গেলে হঠাৎ দেখা মেলে এক শান্ত দীঘির অপ্রয়োজনীয় পড়ে থাকা, দীঘির জলে কার ছায়া! স্মর্তির! সেই শ্যাওলার ঘ্রাণ। নুয়ে পড়া গাছের ডালের জলের সাথে মাখামাখি। ব্যস্ততাকে প্রতারণা করে একটা দুরন্ত মুহূর্ত তখন টুপ করে ঢোকে পড়ে স্মৃতির কপাট খুলে। আমি সন্ধান পাই সমবয়সী হল্লার সেই জল ঝাপটানো দুপুর, একসাথে সাঁতার কাটা, মাছের গা থেকে নিজের গায়ে লেগে যাওয়া মৎস্যগন্ধ। যে মৎসগন্ধার অনিবার্য ডাকে যৌবন আসে, আসে মনোহরা যুবরাজ। সেই যুবরাজ এখন যে কোনো পুরুষ। একই চোখ কিন্তু দৃষ্টিতে সামাজিক শীতলতা। যে শীতলতায় যা কিছু থাকুক, কোনোকালে প্রেম ছিল কল্পনায়ও আসে না। কত দুপুরের গায়ে লেগে আছে একান্নবর্তী কাঁসার থালা, গ্লাস। মাটিতে সারি বেঁধে বসা। ঘি মাখা আলু ভাজি মুগ ডাল আর মেথি ফোড়ন দেওয়া ঝোলে কাতলা মাছের পেটি। মা দিয়ে যাচ্ছেন পাতে পাতে। কত সহজ ছিল মাছের টুকরো নিয়ে তুতো ভাইবোনদের ঝগড়াঝাঁটি। রাগ করে না খাওয়া দুপুর। রুই-কাতলার এ দিন ছিল বড় আনন্দের দিন। রাজকীয় খাবারের। আর বাকি দিনগুলো দিন এনে দিন খাওয়া ট্যাংরা, পুঁটি। রসুনমাখা কাঁচামরিচে জুঁই ফুল ভাত ফুটে থাকত লোভের জিহবা ছুঁয়ে। মনে হতো শেষ না হোক এই দুপুর, এই স্বাদ। একজনের রোজগার পনেরো জনের হাঁড়ি। শুধু ভাতের জোগানটুকু হয়ে গেলেই সবাই মনে মনে জানত, যাক আর চিন্তা নেই। শুধু ভাতের প্রয়োজনটাই শুধু প্রয়োজন ছিল যখন। আজ যে বুফে লাঞ্চ আর স্টারের কাচ্চি গ্রাস করেছে দুপুরের লোকমা, কোথায় যেন খুব ক্লান্তি। যেন চাওয়ার মতো কোনো গন্তব্য নেই। যাওয়ার মতোও। এই হইহই রেস্টুরেন্ট লাঞ্চ আর টেবিলে পঞ্চব্যঞ্জনের গন্ধে অরুচি ধেয়ে এসে গিলে খায় খাবারের ইচ্ছে। পেটের খিদে মেটানোর সহজ আনন্দ হারিয়ে গেছে হরেক রকম রেসিপির বাহুল্যে। ভাতের প্রয়োজনের চেয়ে কত বড় বড় প্রয়োজন গ্রাস করেছে দৈনন্দিনতাকে। ভাত হয়ে গেছে সবচেয়ে গৌণ প্রয়োজন। জীবনে যখন ভাতের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় জীবন তখন কঠিনের সমার্থক হয়ে যায়। অথচ কী ভুলেই না আমরা ভাবি জীবন বুঝি ভাতের অভাবই বোধহয় সবচেয়ে বড় সংকট জীবনের! মায়ের তন্দ্রার ঘোর ফাঁকি দিয়ে পাড়ার সমবয়সীদের খেলার হল্লায় আমাদের বিকেল নামত স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে। সাদাকালো বিটিভিও ঢোকেনি তখনও টিনের চালার বসতঘরে। আশ্চর্য বিকেলগুলো আনন্দে ঝলমল করত গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধার হারজিতের ঘামে। সার্থক হয়ে উঠত অর্থহীন ঝগড়াঝাঁটিতে। তারপর কখন যে টম অ্যান্ড জেরির অতিবুদ্ধির কৃত্রিম আনন্দ রঙেঢঙে ঢেকে দিল আমাদের নিষ্পাপ বিকেল। আমাদের কাছে বড় হয়ে উঠল বড় হওয়া। পাড়ায় পাড়ায় কোচিং সেন্টার, আমাদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার তাড়ায় ডুবে গেল সমবেত আনন্দের বিকেল। আমাদের পাড়ার পাড়ার মাঠগুলো চলে গেল হাইরাইজ উন্নয়নের দখলে। সন্ধ্যা নামত অপার্থিব আজানে। ঘড়ি এক বিলাসী দ্রব্য, আসন গাড়েনি ঘরের দেয়ালে দেয়ালে। মসজিদের মাইকে বাজত সন্ধ্যার আবাহন। পাড়াময় উলুধ্বনি আর ঝাঁঝ-কাসর। ধূপ-ধুনোর পবিত্র অন্ধকার। আজ এবেলায় ভাবি, মুসলমানের আজান কী অদ্ভুতভাবে হয়ে উঠত ত্রিসন্ধ্যায় হিন্দু বাড়ির সন্ধ্যা প্রদীপের নির্দেশক। পাড়ার মসজিদে মুয়াজ্জিন মাগরিবের আজান দিলে সন্ধ্যা হয়, তাড়া করে বাড়ি ফেরার তাড়া। ততক্ষণে মায়ের চিমনি মোছা শেষ। কেরোসিনের গন্ধে তীব্র ঘুম আর স্বপ্নরা হানা দিত বইয়ের পাতায় পাতায়। জানালার পাশে হাসনাহেনার ভেসে আসা গন্ধে রাত নিঝুম হতো। উত্তর পাড়ার সুলেখাদির রেওয়াজের সুর থেমে উচ্চকিত হতো একটানা পড়ার সুর। শব্দ বলতে তখন সেই শব্দই। রাস্তায় টুংটাং রিকশার আওয়াজ থেমে যেত দ্রুত, থেমে যেত মানুষের গতির প্রয়োজন। হঠাৎ কান পাতলে কোনো যুবকের ছয় ব্যান্ডের রেডিও থেকে মূর্ছনা তুলত সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান দুর্বার…সারেং-এর সুর… ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া। পাঠ্যবই বন্ধ করে তুমুল বড় হয়ে ওঠার সাধ জাগত। আহা বড় হওয়া। যতটা বড় হলে দুর্বারের গান শুনতে থাকলে কেউ বকতে আসে না। পরদিন স্কুলের পড়া করার তাড়া থাকে না। সেই বড় হওয়ার আকুল আকাঙ্ক্ষাতেই গড়াত দিন। আমাদের বাইরঘরে যে আড্ডা বসত প্রতিদিন সন্ধ্যায়, রাজা-উজির মরত দাবার বোর্ডে কিংবা কথার খৈয়ে, তাতে আমার জানা হতো সারাবিশ্বের খবর। কিছু তার বুঝি, কিছু বুঝি না। কোথাও তারকা যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে কিংবা জোট নিরপেক্ষ বলেও কোনো জোট আছে। বিস্কুট বলতে প্যাকেটের ছোট্ট নাবিস্কো আর গরুর দুধে জ্বাল দেওয়া চা। বাইরঘরের আড্ডার অপেক্ষায় পড়তে বসা এক টুকরো সন্ধ্যা যেন নড়ত না। টুংটাং সাইকেলের আওয়াজে যখন একজন-দু’জন এসে জমত একে একে, পাড়াতো কাকা কিংবা অফিসের কলিগ, মায়ের শাসন তখন ঢিলেঢালা হতে শুরু করত; মাও কান পেতে থাকত অচিন দেশের খবরের সন্ধানে। জীবনের অপরিমেয় আনন্দ তো এই ফসকে যাওয়া সন্ধ্যাটাই। টিমটিমে আলোর নিচে সারি বাঁধা পিঁড়িতে ভাতের লোকমা মুখে তুলতে তুলতে বালিশের নিচ থেকে ডাকত ডালিম কুমার, সুঁই রাজকন্যা। ডাইনি বুড়ির নিষ্ঠুরতার গল্প পড়ে চোখের জলে যখন ঘুম নামত, বাবা নিশ্চয়ই আলোটা নিভিয়ে দিতেন তখন। বাবাই তো হাতে তুলে দিয়েছিলেন বইয়ের মতো আনন্দের সন্ধান। আরেকটু বড়বেলায় দুর্গার মৃত্যুতে কান্না এসে গলায় আটকে থাকার অসহনীয় যাতনার সুখ কিংবা অধরা মাসুদ রানার প্রেমে পড়ার সুখ আর দেবদাসের কষ্টে নিজেকে পারুর জায়গায় প্রতিস্থাপিত করার বেদনার সুখ বড়বেলায় অধরা হয়ে গেলে উপলব্ধি করি সহজ কথা যখন সহজে বলা যেত, তখনই কেবল জীবন ছিল জীবনের মতো। কত সহজ কারণে হাসা আর কত সহজ কারণে কাঁদা। হাতে যেদিন প্রথম জ্যামিতিবক্স এলো, সেদিন নিজেকে বোধ হয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কতবার যে লাল প্যাকেট থেকে খুলে খুলে দেখা স্কেল-কম্পাস। জীবনের বড় বড় অনেক প্রাপ্তিতে সেই ছোট্ট বাক্স হাতে পাওয়ার আনন্দ আর ফেরে না। ফেলে আসা জীবনের সহজ আনন্দের বাঁকে বাঁকে আমরা কেবল বড় হতে চেয়েছি। বাবার কাছে চেয়ে নতুন জুতাজোড়া পাইনি। পাইনি পছন্দের স্কুল ব্যাগটা। না পাওয়ার যত আফসোস বড় হয়ে ঘুচিয়ে দেব। জীবনের প্রয়োজনে আমরা বড় হই, না পাওয়াও হয়তো ঘুচে যায়। আর সব পেতে পেতে জানা হয়, জীবনের সুখ এই পাওয়ায় নয়। বরং চাওয়ার আকুলতায়। কোথায় হারিয়ে যায় এই সহজ চাওয়ার আকুলতা! আমরা বড় হই। যতটা চাই তার চেয়েও বেশি বড়। জীবন জটিল হয়। জটিল জীবনে সত্য রূঢ় হয়। জানা হয় সব চাওয়া কখনোই পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় না, সেই সত্যও উন্মুক্ত হয়ে যায় বড়বেলার বুদ্ধির কাছে। বড় নির্মম এই সব জেনে যাওয়ার নির্মমতা। যতদিন এই নির্মমতা না জেনে চাওয়ার আকুলতা ততদিনই জীবন জীবন থাকে। আর বাদবাকি দিন কেবল যুদ্ধের কৌশল নির্ণয়, শকুনির মতো ধূর্ততায়…।




Zaker Party National Standing Committee meeting held

জাকের পার্টির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীর কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিরাজমান জাতীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্য্যালোচনা, সদ্য সম্পন্ন জাকের পার্টির চতুর্থ জাতীয় কাউন্সিলের গুরুত্ব ও সফলতা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার অপরিহার্যতা ও জাকের পার্টির অবিরাম কর্ম প্রচেষ্টা, আসন্ন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও জাকের পার্টির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয় আজকের সভায়।

মোস্তফা আমীর ফয়সল কাউন্সিলে পূনরায় জাকের পার্টি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন প্রস্তাব, দেশ জুড়ে শোকরানা মিলাদ মাহফিল এবং কাউন্সিল সফল করায় জাকের পার্টি, সহযোগী সংগঠন সমূহ, মহিলা ফ্রন্ট ও ছাত্রী ফ্রন্টের তৃণমূল পর্য্যায় পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতা, নেত্রী এবং সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।




ঢাকা কলেজে অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীর ঢাকা কলেজে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কলেজের মূল প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় তলায় দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা কলেজের পুকুরে পানি ব্যবহারের জন্য পাম্প বসানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।




Trump has pleaded not guilty to the Georgia election fraud case

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের ফল জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার আদালতে লিখিতভাবে ট্রাম্প এই মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ১৩টি আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ভয়ভীতি দেখানোর বিরুদ্ধে জর্জিয়ার গুণ্ডামি-বিরোধী র‍্যাকেটিয়ারিং আইন লঙ্ঘন করা, সরকারি কর্মকর্তার শপথ লঙ্ঘন এবং জালিয়াতির ষড়যন্ত্র।

হোয়াইট হাউসের সাবেক স্টাফ প্রধান মার্ক মেডোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি এবং মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা জেফরি ক্লার্কসহ আরও ১৮ জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আত্মসমর্পণের পর ২ লাখ ডলার মুচলেকায় তাকে জামিন দেয় আদালত।




Champions League draw: PSG in the pit of death

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। ওই তুলনায় চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি, রেকর্ড সংখ্যক ইউসিএল জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাদের লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা সহজ গ্রুপে পড়েছে।

পিএসজি আছে গ্রুপ ‘এফ’-এ। সেখানে তাদের খেলতে হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান ও প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

রিয়াল মাদ্রিদ পড়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। তাদের প্রতিপক্ষ নাপোলি, ব্রাগা ও ইউনিয়ন বার্লিন। চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি গ্রুপ ‘জি’ তে আছে। তারা বিপক্ষ হিসেবে আরবি লাইপজিগ, জভেজদা ও ইয়াং বয়েজ ক্লাবকে পেয়েছে।

অন্যদিকে বার্সেলোনা আছে গ্রুপ এইচ- এ। তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পোর্ত, শাখতার দোনেস্ক ও এন্টওয়ার্পকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বায়ার্ন মিউনিখ একই গ্রুপে পড়েছে। গ্রুপ এ- তে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোপেনহেগেন ও গ্লাতাসারে।

কোন গ্রুপে কোন দল

গ্রুপ-এ: বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কোপেনহেগেন, গ্যালাতাসারে

গ্রুপ-বি: সেভিয়া, আর্সেনাল, পিএসভি, লেন্স

গ্রুপ-সি: নাপোলি, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাগা, ইউনিয়ন বার্লিন

গ্রুপ-ডি: বেনফিকা, ইন্টার, সালজবার্গ, রিয়াল সোসিয়েদাদ

গ্রুপ-ই: ফেইনুর্ড, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, ল্যাজিও, সেলটিক

গ্রুপ-এফ: পিএসজি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান, নিউক্যাসল

গ্রুপ-জি: ম্যানসিটি, লাইপজিগ, জভেজদা, ইয়াং বয়েজ

গ্রুপ-এইচ: বার্সেলোনা, পোর্তো, শাখতার দোনেস্ক, এন্টওয়ার্প




Dr. World leaders' statements in favor of Yunus are a threat to independent states: Bangladesh University Council

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিঠি দিয়ে যে আহ্বান জানিয়েছেন তা বেআইনি ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এধরনের বিবৃতি হুমকি- উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যরা বলেন, বিষয়টি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি, গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাম্প্রতিক একটি বিবৃতি বা চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের অভিমত হলো, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এক্ষেত্রে কারো কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

‘বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। অর্থাৎ, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

‘বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের সব নাগরিকের যেমন আইনের আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রয়েছে, তেমনি আইনের প্রয়োগ সকল নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য’—উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় মন্তব্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যগণ) দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ, যা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বিশ্বাস করে যে, বিবৃতি বা চিঠি প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।




Pakistan's record win by crushing Nepal

এশিয়া কাপে খেলাই ছিল নেপালের কাছে স্বপ্নের মতো। বাবরকে বোলিং করা, শাহিনের পেস সামলানো উচ্ছ্বাসের। লড়াই করা সেখানে বিলাসিতা। ব্যাটে-বলে ওই লড়াই করতে পারেনি এশিয়া কাপের নবাগত হিমালয় শেরপারা। পাকিস্তান তাদের মাত্র ১০৪ রানে অলআউট করে দিয়েছে। তুলে নিয়েছে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রানের বিশাল জয়।

বুধবার মুলতান স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিতে দু’বার ভাবতে হয়নি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। প্রত্যাশা মতো তার দল শুরু না পেলেও বিশাল রান করতেও অসুবিধা হয়নি। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাবর ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান।

বাবর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। সাজঘরে ফেরেন শেষ ওভারে ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। ওয়ানডের দ্রুততম ১৯ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩১ বলের ইনিংস সাজান ১৪টি চার ও চারটি ছক্কায়। তার সঙ্গে ২১৪ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রানের ইনিংস। প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটাতে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই ডানহাতি।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শাহিন-নাসিমের পেস তোপে পড়ে নেপাল। ১৪ রানে হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। শাহিন আফ্রিদি দুটি ও নাসিম এক উইকেট তুলে নেন।

এরপর ছোট্ট একটা প্রতিরোধ গড়ে নেপাল। মিডল অর্ডারের আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি ৫৯ রানের জুটি গড়েন। হ্যারিস রউফ ওই জুটি ভাঙতেই ধসে যায় সফরকারীরা। দলটির হয়ে আরিফ ২৬ ও সোমপাল ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহিন ও হ্যারিস। ৬.৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ধসিয়ে দেন শাদাব খান।




Financial assistance of Kazi Zafarullah to 1300 drivers

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের পাশে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।

বুধবার রাতে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকান্দা এ এস একাডেমী প্রাঙ্গণে মানিকদহ ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০০ জন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।

এ সময় কাজী জাফরউল্লাহ তাদের কথা শোনেন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে চালকদের প্রত্যেকের হাতে ৫০০ টাকা করে সহায়তা তুলে দেন তিনি।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে চান্দ্রা ইউনিয়নের ৬০০ চালকের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আগামীকাল ভাঙ্গা পৌরসভায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আরও ১২০০ চালককে সহায়তা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) ২৬টি ইউনিয়নেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।