China is trying to interfere in the US election: Anthony Blinken

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। অভিযোগ নয় বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণও আছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

তিনদিনের চীন সফরের শেষ দিন গত শুক্রবার বেইজিংয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাইলি অ্যাটউডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।




US wants to give Patriot missiles to Ukraine soon

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য গোলাবারুদ তারা দ্রুত সরবরাহ করতে চায়। নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে এ সরবরাহ দেওয়া হবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০ কোটি ডলার খরচ হবে। তবে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ব্যাটারি সরবরাহ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিমান হামলার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে প্যাট্রিয়ট প্রয়োজন। তাঁর দাবি, এ মুহূর্তে জীবন বাঁচাতে এ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা প্রয়োজন।

বিবিসিকে একটি সূত্র বলেছে, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছয় হাজার কোটি ডলার মূল্যের সহায়তা প্যাকেজের বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এটি আইনে পরিণত হয়েছে। এ সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবেই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘অবিলম্বে’ ইউক্রেনকে সরবরাহ পাঠাতে কার্যক্রম .

এ সহায়তার মধ্যে আছে আকাশ প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত যুদ্ধাস্ত্র, ড্র্রোন প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা ও গোলাবারুদ। তবে এ সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে প্যাট্রিয়ট নেই।

অস্টিন বলেন, তাদের (ইউক্রেন) যে শুধু প্যাট্রিয়টই দরকার, তা নয়, তাদের হামলা প্রতিরোধকারী ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন।

অস্টিন আরও বলেন, কিয়েভের জন্য শিগগিরই আরও বেশি করে ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা তৈরির ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। অতিরিক্ত জিনিসগুলো সরবরাহের ব্যাপারে ইউরোপীয় সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।




The Hamas video showed the surviving American and Israeli hostages in Gaza

গাজায় দুই জিম্মিকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। উপত্যকাটিতে এখনো যে এ দুই জিম্মি বেঁচে আছেন, ভিডিওতে দেখা যাওয়া দৃশ্য তার প্রথম প্রমাণ।

এ ভিডিওর দৃশ্য কবে ধারণ করা হয়েছে, সেটি উল্লেখ নেই। ভিডিওতে ওমরি মিরান নামের একজন জিম্মিকে বলতে শোনা যায়, তিনি ২০২ দিন ধরে আটক হয়ে আছেন। অপর জিম্মি কিথ সিগেল এ সপ্তাহের পাসওভার উৎসবের ছুটির কথা বলেছেন। এতে এ ভিডিও সম্প্রতি ধারণ করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর দিন অন্য জিম্মিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এ দুই নাগরিককেও গাজায় ধরে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
এর আগে গত বুধবার জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান তরুণ হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ইসরায়েলে হামাসের হামলার দিন গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি।

নতুন ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় দুই জিম্মির পরিবার বলেছে, তাঁদের ফিরে পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা ইসরায়েল সরকারের প্রতি নতুন জিম্মিমুক্তি চুক্তি করারও অনুরোধ জানান।

নতুন এ ভিডিও এমন এক সময় প্রকাশিত হলো, যখন হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সাম্প্রতিকতম প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় গতি আনতে ইসরায়েলে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মধ্যস্থতাকারী মিসর।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শনিবার বলেছেন, গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে এ ধরনের চুক্তি সই হলে ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার রাফায় তার পরিকল্পিত স্থল অভিযান বন্ধ করতে পারে।

মার্কিন নাগরিক কিথ সিগেলকে তাঁর স্ত্রী আভিভাসহ জিম্মি করেছিল হামাস। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির আওতায় আভিভাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এক ভিডিও বার্তায় কিথের স্ত্রী বলেন, ‘কিথ, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

এদিকে জিম্মিদের মুক্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তেল আবিবে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি জিম্মি ওমরি মিরানের বাবা ড্যানি মিরানও অংশ নেন। স্লোগানে নেতৃত্ব দেন তিনি। দেন আবেগপূর্ণ বক্তৃতাও।

প্রকাশিত ভিডিওতে কিথ সিগেল (৬৪) ও ওমরি মিরান (৪৬) দুজনই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হয়ে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ভিডিওতে ওমরি মিরান বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি অস্বস্তিকর, কঠিন। এখানে রয়েছে অনেক বোমা।’

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলার পরও ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তবে সিগেল ও মিরানসহ অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে দুপক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত আছে।

অবশিষ্ট জিম্মিদের মধ্যে ৪০ জনকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আগের একটি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে হামাস।

হামাস এর আগে জোর দিয়ে বলেছে, নতুন কোনো চুক্তি করতে হলে তাতে স্থায়ীভাবে যুদ্ধের সমাপ্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ গৃহে নির্বিঘ্নে ফেরার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আর গাজায় হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছে ইসরায়েল।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন নারী ও শিশু। বিনিময়ে দুপক্ষের মধ্যে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হয় এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে ২৪০ জনকে মুক্তি দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

গাজায় এখনো ১৩৩ জনের মতো জিম্মি আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ধারণা করা হয়, তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের মতো মারা গিয়ে থাকতে পারেন।




The change that has come in the Middle East due to Iran-Israel's counter-attacks

ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতের মধ্যে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ঘটে যায় বড় একটি ঘটনা। পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় এ অঞ্চলের শক্তিধর দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েল। এতে দেখা দেয় বড় পরিসরে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত যদিও তেমন কিছু হয়নি। তবে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে কি কোনো বদল এসেছে—এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিবিসির সাংবাদিক জেমস ল্যানডেল।

মধ্যপ্রাচ্যে খবরের শিরোনাম দ্রুত বদলায়। একসময় দেখা যায়, সব খবরের বিষয়বস্তু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে নজিরবিহীন ক্ষেপাণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা। পরেই দেখা যাবে, খবরের শিরোনামে এসেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাত ও উপত্যকাটির মানুষের দুর্দশা।

তবে নীতিনির্ধারক, বিশ্লেষক ও সামরিক নেতাদের মনোযোগ এখনো পুরোনো দুই শত্রু—ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে মাত্র কয়েক দিন আগে ঘটে যাওয়া পাল্টাপাল্টি হামলা নিয়ে। তারা যে খাদের কতটা কিনারে চলে গিয়েছিল, তা আসলেই গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করার মতো। কারণ, এই প্রথম দুই দেশ সরাসরি একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে।

বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে সম্মিলিতভাবে ইরানের চালানো সবচেয়ে বড় হামলা ছিল এটি। এমনকি রাশিয়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে এত সমরাস্ত্র ব্যবহার করেনি। আর ১৯৯১ সালে সাদ্দাম হোসেন ইসরায়েল লক্ষ্য করে স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এটি ছিল দেশটিতে বহিঃশত্রুর সবচেয়ে বড় হামলা।

১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। সেগুলোর বেশির ভাগই রুখে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে জেরুজালেমে আমার অফিস থেকে দেখেছি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সময় আকাশ কীভাবে আলোকিত হয়ে উঠেছিল।

কোনোভাবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি শহরের মধ্যে পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। যেমন পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমাকে বলছিলেন, ‘ওই সময়ে আমরা (ধ্বংসযজ্ঞের) কতটা কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম, তা ইসরায়েলের মানুষ বুঝতে পারেনি। সেদিনের গল্পটা অনেক আলাদা হতে পারত।’

তবে পশ্চিমাদের কেউ কেউ ১৩ এপ্রিলের ইরানের হামলা এবং এরপর ইসরায়েলের পাল্টা হামলার মধ্যে ইতিবাচক কিছু বিষয় দেখছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইরানের হামলা ঠেকাতে পারাটা ছিল বড় গোয়েন্দা সাফল্য। এটি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় মিত্রদেশগুলোর সম্মিলিত সহযোগিতার এক চমৎকার উদাহরণও। এ ছাড়া ইরান ও ইসরায়েল—দুই দেশই শিখেছে কীভাবে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে হয়।

প্রথমে গোয়েন্দা সফলতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাক। আমাকে বলা হয়েছিল, রোববার ভোররাতের ওই হামলার আগে বুধবার সকালে ইরানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, পরিকল্পনা জানতে পারার কারণেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশকে এগিয়ে আসতে রাজি করাতে পেরেছিল মার্কিন সরকার।

১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসা উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ছিল সৌদি আরব ও জর্ডান। তবে সেদিন তাদের ভূমিকা কী ছিল, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। জর্ডান এটা স্বীকার করেছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইরানের ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। এটাও বোঝা গেছে যে নিজেদের আকাশসীমায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তারা।

আর সৌদি আরবের ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছিল। পাশাপাশি ইয়েমেন থেকে ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হুমকির দিকে নজর রেখেছিল। মোদ্দাকথা হলো, সম্মিলিত এ প্রচেষ্টা কাজে লেগেছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জর্ডান ও সৌদি আরবের সামরিক বাহিনী এটা দেখিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষায় তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে।

নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি সূত্র আমাকে বলেছে, ‘এটা ছিল একটি সফল কৌশলগত অভিযান। গোয়েন্দারা সঠিক তথ্য হাতে পেয়েছিলেন। পুরো এলাকার ওপর আমাদের নজর ছিল। আর আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। বিশ্বের অন্য দেশের জোট এটা করতে পারবে না।’ অনেকে বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন একটি আঞ্চলিক জোটের সূচনা হতে পারে।

তবে অনেক বিশ্লেষকের কাছে এটা মনে হয়েছে, বৃহৎ রাজনৈতিক চিত্রপট এড়িয়ে শুধু প্রযুক্তিগত সফলতাটা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো বিশ্লেষক এটাও মনে করেন যে ইরান যদি ইসরায়েলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করতে চাইত, তাহলে হামলার বিষয়ে আগে থেকে হয়তো মিত্রদের কাছে তথ্য দিত না। এ ছাড়া তাদের লক্ষ্যবস্তুর আওতা বাড়াতে পারত। হামলা চালাতে পারত দ্বিতীয় দফায়। এমনকি লেবানন থেকে হিজবুল্লাহকে বড় পরিসরে হামলা চালানোর নির্দেশও দিতে পারত তেহরান।




Thailand's foreign minister resigns 'unexpectedly'

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা পদত্যাগ করেছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় রদবদলে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর এমন সিদ্ধান্ত নিলের পার্নপ্রি বাহিদ্ধা–নুকারা। তার পদত্যাগ থাইল্যান্ডের অনেককেই বিস্মিত করেছে। পার্নপ্রির পদত্যাগকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছেন থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।

পদত্যাগের বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি পার্নপ্রি বাহিদ্ধা–নুকারা। তবে তার পদত্যাগপত্রটি স্থানীয় একটি গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে।

রোববার নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। রাজকীয় প্রজ্ঞাপনে পার্নপ্রির নাম শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে নতুন মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছে। আর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছে চারজন।

 




Only US can 'stop' Israeli attack on Rafah

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা ইসরাইলকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেখানে দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, যে কোনো হামলা হলে ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। ইসরাইল বেশ কিছুদিন থেকেই রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়ে আসছে।


এদিকে, রোববার (২৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় রাফাহতে ইসরাইলের হামলা নিয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন। 
র আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস রাফাহতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছেন।
তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস। 

যদিও রাফাহতে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে বাইডেন বিস্তারিত কিছু বলেননি তবে জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নেটওয়ার্ককে বলেছেন যে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে এবং রাফাহতে হামলার আগে তারা  দ্বিতীয়বার ভাববে।
 

গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফাহতে রয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং ওষুধের অভাবে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠেছে।  




Anti-Israel protests continue at US universities, 900 arrested

গ্রেফতারসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষোভের লাগাম টানতে গত ১৮ এপ্রিল থেকে মার্কিন পুলিশ ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতা করেছে।

গত প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজার এই যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিরুদ্ধে এবং গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এরপর তা ক্রমশ বিস্তৃত হতে থাকে।
 
এপি জানিয়েছে, রোববার (২৮ এপ্রিল) এক দিনেই আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কলেজগুলো থেকে ২৭৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীও রয়েছেন, যিনি আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী। তিনি গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন।
 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৮ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করার পর বিক্ষোভ আরও নতুন করে বেগবান হয়েছে।
 
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ-আন্দোলন থেকে পিছু হটতে নারাজ। অব্যাহত গ্রেফতার অভিযানের পরেও বিক্ষোভ দমাতে পারছে না মার্কিন পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তাদের দাবি, অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
 
এনবিসি টুডে জানিয়েছে, আমেরিকায় ৪০টির বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাবু তৈরি করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
 
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ইসরাইলে ১২০০ মানুষ নিহত হন, আর ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। যার মধ্যে ১০৫ জনকে গত বছরের নভেম্বরে ছেড়ে দেয় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ধারণা করা হয় হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই জীবিত আছেন। জীবিতদের ছাড়িয়ে আনতে এখন চেষ্টা চালাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় সাত মাস ধরে চালানো ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
 




The road is like a place of death, the festival is turning into sadness

ঈদ কেন্দ্র করে প্রতি বছর গ্রামে ফেরে লাখো মানুষ। কর্মব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতা ফেলে মানুষ চায় স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। এজন্য যে যেভাবে পারে, বাড়ি ফিরতে চায়। তবে তুমুল আনন্দ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয় না অনেকের। দুর্ঘটনায় সড়কেই ঝরে যায় প্রাণ। পরিবারগুলোতে নেমে আসে শোকের ছায়া। মহাসড়ক যেন হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। উৎসবগুলো রূপ নেয় বিষাদে।

গত কয়েক বছরের তুলনায় সড়কের উন্নয়ন হয়েছে এবার। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছিল তুলনামূলক কম। রাস্তায় খানাখন্দ কিংবা দীর্ঘ যানজট না থাকায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। তবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন




Photos of Iran attack damage revealed

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে ইসরাইলের চালানো হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্যাটেলাইটে প্রকাশিত কিছু দৃশ্যে দেখা গেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ধারণ করা হয় এসব দৃশ্য।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ভেরিফাই দুটি দৃশ্য বিশ্লেষণ করেছে। এতে দেখা যায়, হামলায় ইসফাহানের ওই বিমানঘাঁটির একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

চলতি মসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
 
পাল্টা জবাবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইসরাইল ইরানের ইসফাহানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ইরান সরকার তা অস্বীকার করেছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি।
মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেন, শুক্রবার ভোরে ইরান সীমান্তের বাইরে থেকে ইসরাইলি জঙ্গি বিমান তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
 
নাম প্রকাশ না করে ইরানের কর্মকর্তাদের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, বিমানঘাঁটিতে ওই হামলা ছাড়াও ইষফাহানের প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে তাবরিজ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তবে এ হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে।
 
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইষফাহানে বিকট শব্দে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আকাশে দেখা দেয় আলোর ঝলকানি। এ ঘটনার পর রাজধানী তেহরানসহ ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের আকাশসীমা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
 
এদিকে তেহরান ও তেল আবিব চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলকে টিপ্পন্নী কেটে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান। এনবিসি নিউজের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শুক্রবারের হামলা ইরানের কাছে কোনো ঘটনাই নয়। ইসরাইল যে অস্ত্র ব্যবহার করে তা ইরানের শিশুদের কাছে খেলনার মতো।
মূলত ওই হামলায় যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েই উপহাস করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেয়ার কোনো পরিকল্পনা তেহরানের নেই। তবে তাদের পরমাণবিক স্থাপনা ক্ষতির মুখে পড়লে তার চরম মূল্য দিতে হবে তেল আবিবকে।
 
আবদুল্লাহিয়ান আরও জানান, গত সপ্তাহে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে চালানো হামলা ছিল কেবল একটা সতর্কতা মাত্র। ইরান চাইলে তাদের আল হাইফা, তেল আবিবের মত বড় শহরগুলোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক বন্দরগুলো টার্গেট করতে পারত। কিন্তু বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেছে তারা।




Ghazar Khan Yunis mass grave, 50 bodies found

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার খান ইউনিস শহরে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরে ৫০ জনের মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ গণকবরটির সন্ধান পেয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ বলেছে, খান ইউনিসে আমাদের দল বিভিন্ন বয়সের ৫০ জন শহীদের মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে।
 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের দল অবশিষ্ট শহীদদের মরদেহ খুঁজে পেতে সামনের দিনগুলোতেও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাবে। কেননা, সেখানে (শহরটিতে) এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শহীদের মরদেহ রয়েছে।’
 
চলতি মাসের ৭ তারিখ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ইসরাইল তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর এ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেল। কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের বিরামহীন গোলাবর্ষণ ও তাদের সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে শহরটির বড় অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
 
এদিকে গাজায় থেমে নেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডব। আগ্রাসন গড়িয়েছে ১৯৮তম দিনে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার। উপত্যকাটিতে হামলা চালানোর পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে তেল আবিব।
শনিবার তৃতীয় দিনের মতো পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহরে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে তাণ্ডব চালায় দখলদার সেনারা। এতে নিহত হন অনেকে। এছাড়াও ওই শহরের একটি হাসপাতালেও হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী।
 
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের দেয়া তথ্যমতে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত বা নিহত হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে চালানো হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি 
শিশু