আমেরিকার আগামী নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিপক্ষ ট্রাম্প

 

দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে প্রথম বাধা পেরোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্য-পশ্চিম আমেরিকার আইওয়া প্রদেশে ‘রিপাবলিকান ককাস’-এ প্রাথমিক (প্রাইমারি) নির্বাচনে তিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মধ্যে ভোট হয়। প্রাথমিক গণনায় দেখা যাচ্ছে, বাকি দুই দলীয় প্রার্থীর তুলনায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে এবং ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যান্টিসকে পরাজিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো রিপাবলিকান পার্টির মনোয়ন লাভ করার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত এ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প ককাসে ২৫,১৮৬ ভোট পান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রন ডেস্যান্টিস পেয়েছেন ৯,৮৮৮ ভোট। আর নিকি হ্যালে পেয়েছেন ৯,২৬৯ ভোট। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবেক রামস্বামী পেয়েছেন ৩,৭৪৬ ভোট। আসা হাচিনসন পেয়েছেন ৮২ ভোট।
এদিকে, আইওয়ায় রিপাবলিকান পদপ্রার্থীদের তুলনায় ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত মিলতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামী। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল তাঁর নাম। ট্রাম্পকে সুবিধা করে দিতেই রামস্বামীর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই জয় রিপাবলিকান পার্টিতে তার প্রভাব অব্যাহত থাকার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এমনকি তিনি চারটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তার জয় পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।



Jabi punished 7 people including Chhatra League leader in rape case

 

গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং অপর দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। পরদিন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটে অভিযুক্তদের শাস্তির প্রস্তাব তোলা হয়।