আমরা চাই সব দল নির্বাচনে আসুক: প্রধানমন্ত্রী

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বিষয়টা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। কে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে, কে করবে না; এখানে আমরা তো কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না। রাজনীতি করতে হলে দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। হ্যাঁ আমরা অবশ্যই চাই যে, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই সব দল আসুক, ইলেকশন করুক। কার কোথায় কতটুকু যোগ্যতা আছে; অন্তত আওয়ামী লীগ কখনো ভোট চুরি করে তো আর ক্ষমতায় আসবে না, আসেওনি। আওয়ামী লীগ কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসে।




আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে দেশে ফিরেছেন ডাঃ এম মোকতার হোসেন

Md. Badiuzzaman (Tuhin), Noakhali Correspondent:

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিনের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সেমিনার সফলতা অর্জন করে ৪ অক্টোবর রাত ১১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।

ফরাজী হাসপাতাল লিঃ বনশ্রী ও বারিধারার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম মোকতার হোসেন ও বারিধারার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ ইব্রাহিম মাসুম বিল্লাহ। ২ অক্টোবর দুবাই গ্র্যান্ড হায়াতে (Immunoassay) ইমিউনোএসে বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইতালির বিখ্যাত চিকিৎসা গবেষক প্রফেসর মাউরিজিও ফেরারী। সেমিনারে সৌদি আরব, মিসর, পাকিস্তান, বাহরাইন, লেবাননের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজির এক্সপার্টরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ফরাজী হাসপাতাল বারিধারার সিইও মুহাম্মদ মাইন উদ্দীন চিকিৎসক দ্বয় দুবাই সফরে করেন। এবং সেমিনারে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ফরাজী হাসপাতালের সেবার মান্নোয়নে দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডা. এম মোকতার হোসেন ও ডা. মাছুম বিল্লাহ ১ অক্টোবর সকাল ১০টায় শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দুবাইর উদ্দেশ্যে রওনা করেন ২ অক্টোবর সেমিনারে অংশ নেয় ৩ অক্টোবর দুবাইয়ে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন । প্রসঙ্গত, ইমিউনোএসে হলো,অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডি হিসাবে তাদের বৈশিষ্ট্য দ্বারা নির্দিষ্ট প্রোটিন বা অন্যান্য পদার্থ সনাক্ত বা পরিমাপ করার একটি পদ্ধতি।




আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার

মো. বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩ নং জিরতলী ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ কাজের লেআউট ৬ অক্টোবর প্রদান করা হয়েছে ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম এর সুযোগ্য সন্তান সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান নূর রফি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহমেদ উল্যাহ সবুজ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




ইলিশের প্রজনন মৌসুম, মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ

রুবেল চক্রবর্তী-

৭ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে সরকার। একই সাথে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ. পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, জনবহুল হাট-বাজার ও মাছ ঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক সভার পাশাপাশি ব্যনার লিপলেটের মাধ্যমেও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, এসময়ে ইলিশ মাছ সাগর থেকে মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এসময় যাতে মা ইলিশ নিবি ডিম ছাড়তে পারে এজন্য ২২ দিনের জন্য মাছ আহরণ. পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আইন অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মাইকিং, লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে স্লুইজ ঘাট, চৌমহনী ঘাট, গুরিন্দা বাজার, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন মাছ ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন,অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, কোষ্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মতিউর রহমান বলেন, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় সরকারের আইন বাস্তবায়নে কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। মৎস্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে মা ইলিশ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, বলেন, মা ইলিশ রক্ষার অভিযান স্বার্থক ও সুন্দর করতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নদীতে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করা হবে।

উপজেলা মৎস্য মোঃ আমির হোসেন বলেন, মা ইলিশ রক্ষার ক্ষেত্রে কারো সাথে কোন আপোষ নেই। আইন বঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মা ইলিশের ডিম ছাড়া নির্বিঘœ করতে কোষ্ট গার্ড, পুলিশ ও উপজেলা প্রসানের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিবেন।




চরভদ্রাসনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

চরভদ্রাসন(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

নির্ভুল জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন করব শুদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ব এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা হল রুমে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা শেষে রেলি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার রুবেল মিয়া।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাওছার।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবশ্যক। সকলের নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাৎক্ষণিক যেকোনো সেবা প্রদান সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশে পপুলেশন রেজিস্টার থাকে। এই রেজিস্টারে প্রত্যেক সিটিজেনের তথ্য থাকে। আমাদের দেশে এরকম প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টার প্রথম ধাপ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ধাপ অতিক্রম করছি।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম মাহমুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল হক টিটু, চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, চরভদ্রসন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিকু কাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মোঃ ফখরুজ্জামান,আবুল কালাম,সাংবাদিক আবুল কালাম ও আব্দুল ওহাব মোল্লাসহ অনেকে।পারে একটি রেলি বের করা হয়। রেলিটি সদর বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা এসে শেষ হয়।




কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ও সেবার মান নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন দেখেছি করোনাকালে। সেবা ও সেবার মানদন্ডে সু সেবার স্বাক্ষর রেখেছে কর্তাব্যক্তিরা যে যার মত। সেবা সু সেবা ভালোবাসা মানবতার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিরা ছিলো পুলকিত। কর্তাব্যাক্তিদের এমন অবদানের প্রতিদানে ইচ্ছা পোষন করেছি যে পুষ্পমাল্যে বরন করবো। সময় অসময়ে হয়ে উঠেনি।

সময়ের পরিক্রমায় ডাঃ আকিলের বদলি সর্বশেষ ডাঃ রেজাউল করিম রাজিবের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবার ভরসায় আশান্বিত সেবা প্রার্থী ব্যাক্তিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অশ্রু কাতর মানুষ গন বদলি ঠেকাতে ভালোবাসায় মানববন্ধন করেছে কমলনগরে। যা কমলনগরে সেবার জগতে ইতিহাস। দুজনের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবায় অপূরনীয় ক্ষতি। যা গত ২/১০/২২ তারিখে সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেছি। লজ্জায় আবৃত হয়েছি বারবার। সিদান্তহীনতায় পায়চারি করেছি বারংবার। বাচ্চার বিকেলে শ্বাসকষ্ট সন্ধ্যায় হাজির হাট বাজারে চিকিৎসা ব্যবস্হা। রাতে সমস্যা বেড়ে অধিক বুমি। সারারাত দুঃচিন্তা। সকালে সমস্যা প্রতিকারে কমলনগর স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে গমন। সকাল তখন ৭টা। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত আমাদের কমলনগরের সন্তান ডা. দাউদ সিদ্দিকী। জরুরী বিভাগে ছিলেন একমাএ ডা. দাউদ আর এক মুরুব্বী। গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যাক্তিরা হাওয়া।

ডা. দাউদ সিদ্দিকী সু সেবায় কমলনগরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে বিখ্যাত। তার রোগী ভুরি ভুরি। বাচ্চা দেখলেন ভর্তি ব্যবস্হা করলেন। ব্যবস্থাপত্রে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর সাইন নাই বলে চিকিৎসা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করলেন কর্তব্যরত নার্সগন। ফলে বিপত্তি। কে শুনে কার কথা। শুরু হয়রানি এখন কাজ হলো সিঁড়ি বেয়ে উঠা আর নামার কসরত। দুইবার মিস গাইড। তৃতীয় বার সাক্ষাতে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর শরনাপন্ন হয়ে সমস্যার প্রতিকার চেয়েছি। তিনি আমাকে আবার ও উপরে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালে স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের ছিলেন না। তার বিপরিতে দায়িত্ব সম্পাদনে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন না করে ঘুমাতে গেলেন। ডা. দাউদ বাদে বাকী দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা রুটিন সময়ে অনুপস্থিত। তারা কর্মক্ষেএে প্রবেশ করেন দশটার পর।ফলে চিকিৎসা পেতে হয়েছে দশটার পর। ভর্তি করেছি ৭.৩০ মিনিটে। ডাঃ আসলেন ব্যবস্হা পএে সাইন করলেন তারপর নার্সগন দায়িত্ব পালন করলেন। মাঝখানে ৩/৪ ঘন্টা সেবা বিরতি ছিলো।
ফলে ডায়রিয়া রোগীর কান্নায় আকাশ ভারী কে কার কথা শুনে। স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহেরের নাম্বারে কল করলে ও রিসিভ হয়নি।

ফলে সমস্যা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। ডা. দাউদ সিদ্দিকীর ব্যবস্থাপত্রেকমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা মিলে না। অথচ তিনিই জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। যারা কর্তাব্যাক্তি তারা হাওয়া। কার ইশারায় কেমনে চলে হাসপাতাল গভীর অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর অন্তকোন্দল কিনা তাহা জানার চেষ্টা করেছি. কোন সুউত্তর মিলেনি। রোগী নিয়ে এই হচ্ছে সাপলুডু খেলা। রোগীরা সেবা বঞ্চিত। অপচিকিৎসা ও কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চোখে পড়ার মত। আয়া করে নার্সের কাজ।
ক্যানালা পিটিং স্যালাইন সঞ্চালনের কাজ করেন আয়া। কিন্তু তাহলে নার্সদের কাজ কি? এখানেই শেষ নয়। ওয়ার্ড বয় ও করেন নার্সদের কাজ। সকালে ডায়রিয়াকৃত এক বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করেন ওয়ার্ড বয়। ফলে ইনজেকশনের মার্তা বেশি দিয়ে বাচ্চার জীবন হুমকিতে পেলেন।
বাচ্চার চোখ কপালে উঠলো বাচ্চার মায়ের চিৎকারে ওয়ার্ড বয় হাওয়া। সকল সমস্যার প্রতিকারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। ডা. দাউদকে নিয়ে রাজিব নাটক হচ্ছে কিনা চোখ রাখুন। প্রতিবাদে সজাগ থাকুন। গত ২/১০/২২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৩/১০/২২ তারিখ দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন কমলনগর হাসপাতাল। অন্ধকারে নিমজ্জিত চিকিৎসা ব্যবস্হা। মমবাতির আলোয় চিকিৎসা চলছে। ভুক্তভোগীদের মমবাতিই ভরসা। কোন উপায় নেই। অন্ধকারে ভুল চিকিৎসা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর ভুল চিকিৎসা হলেই কারো জীবন নাশ হবে। দায় কার?

বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ নামক ভেলকিবাজি বন্ধ করা সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিদ্যুৎ বিহীন ১৮ ঘন্টা চিন্তা করা যায়। তার ভেতর জেনেরেটর সেবা থেকে ও নেই। তৈল খরচের বরাদ্দ নেই অজুহাতে জেনেরেটর সেবা পরিবেশন বন্ধ। কতটুকু যুক্তি কথা বোধগম্য নয়। চিকিৎসা সেবা মৌলিক সেবার একটি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেবা হোক জনকল্যাণকর। মানুষ মানবতার জয় হোক। কমলনগর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্হাপনা দূর হয়ে বিবেকবোধের দর্শনে মানুষ মানবতা হোক সেবার মাধ্যম।

লেখক: শিব্বির দেওয়ান




সনদ ছাড়া গ্রাম্য ‘‘ডাক্তার’’ চিকিৎসা দিতে পারবেন না

ঢাকা: গ্রাম্য ‘ডাক্তার’’ যাদের চিকিৎসা বিষয়ে শিক্ষা, যোগ্যতা এবং সনদ নাই তাদের চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন , স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে চেষ্টা করছি। সেবার মানোন্নয়নে অ নেকগুলো দিক আছে। এ ক্ষেত্রে অনেক জনবল প্রয়োজন হয়, অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আমরা এখন প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। যদি প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার আরও অনেক উন্নয়ন হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার মূলত কমিউনিটি ক্লিনিক ও ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, আমাদের ১০ বেড হাসপাতাল আছে’, ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার আছে’, এছাড়াও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যারা এই প্রাইমারির স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছি, তা হলো প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবায় যা যা করা দরকার তা আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি।

গ্রামের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,, যারা গ্রামে চিকিৎসা দেন,, তাদের অনেকে কোয়ালিফাইড না, তাদের কোনো সনদ নাই, তারা এন্টিবায়োটিকও এবং নানান ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, যারা নিবন্ধিত না’, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি । এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিককে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বন্ধ করা হবে। যারা গ্রামে চিকিৎসা দেয়, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট (সনদ) নেই। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দিতে দেব না। এ বিষয়ে আমরা খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেব। এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।




দুই ছেলেসহ ইসলাম গ্রহণ করলেন মা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেরাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে একজন মাওলানার কাছে গিয়ে কালেমা পড়ে এবং কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ব্যক্তিরা হলেন- নালিতাবাড়ী পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার মৃত খগেন বিশ্বাসের স্ত্রী সবিতা রানী, তার ছেলে জয় ও বিজয়। তবে বর্তমানে তারা নিজেদের নাম রেখেছেন আছিয়া বেগম, মোহাম্মদ হাসান ও মোহাম্মদ হোসাইন।

এ বিষয়ে নওমুসলিম আছিয়া বেগম জানিয়েছেন, ইসলাম ধর্ম আমার অনেক আগে থেকেই ভালো লাগতো। প্রতিবেশীদের মুসলমানদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে আমারও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে মন চাইতো। ছেলে বিজয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে শুনে আমি ও আমার অন্য ছেলে জয়কে নিয়ে রাজি হই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ হোসাইন (বিজয়) বলেন, আমরা কারো প্ররোচনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিনি। আমি অনেক দিন থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য নিজেই খতনা করেছি। মঙ্গলবার আমার মা ও ভাইকে নিয়ে আদালতের মাধ্যমে ও কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।

এ বিষয়ে শেরপুর জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেরাজ উদ্দিন বলেন, প্রয়াত খগেন বিশ্বাসের স্ত্রী সবিতা রাণী বিশ্বাস ও তার দুই ছেলে স্বেচ্ছায় আমার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আমি তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসানের মাধ্যমে এফিডেভিট সম্পন্ন করেছি।




ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়সূচি

আগামীকাল (৭ অক্টোবর) থেকে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলা ওয়াশ টি২০ আন্তর্জাতিক ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ’। এই সিরিজ চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে টাইগাররা। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ছাড়াও সিরিজের অপর দল পাকিস্তান।

ত্রিদেশীয় সিরিজে মোট সাতটি ম্যাচ, সবগুলোই হবে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে। প্রত্যেক দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে দুইটি করে ম্যাচ। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দুই দল ১৪ অক্টোবর ফাইনালে মুখোমুখি হবে।

সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

একনজরে সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি:

৭ অক্টোবর : বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা

৮ অক্টোবর : নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা

৯ অক্টোবর : নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা

১০ অক্টোবর : নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা

১১ অক্টোবর : নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা

১২ অক্টোবর : বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা

১৪ অক্টোবর : ফাইনাল, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা




সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। যা গত আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে সর্বোচ্চ। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি ২.৫ শতাংশ পয়েন্টের মতো বেড়ে ৯.৫ শতাংশে উঠেছিল। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯.১ শতাংশে নেমে এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতির এ তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর আর কখনও এ সূচক ৯ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

গত ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ানো হয়নি। তখন থেকেই আগস্টে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা করা হয়।