যিনি নোবেল বিজয়ীদের ছবির কারিগর

পৃথিবী সেরা সবচেয়ে মূল্যবান এবং মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কারের নামটি নোবেল পুরস্কার। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল অভূতপূর্ব কর্ম ও অসামান্য অবদানের জন্য অসাধারণ কীর্তিমানদের কপালেই জোটে এই দুর্লভ পুরস্কার। প্রতিবছর অক্টোবর মাস এলেই নোবেল বিজয়ীদের ঘোষণা আসে। সেই সাথে নোবেল বিজয়ীদের আঁকা ছবি প্রকাশিত হয়।

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই ছবিগুলোর নেপথ্য? নোবেল বিজয়ীদের হুবহু স্কেচ দেখে অনেকেই মনে করেন এগুলো কম্পিউটারে আঁকা।

.কিন্তু একেবারেই তা নয়, এক কারিগরের হাতেই আঁকা এই ছবিগুলো। প্রতিভাবান সেই ব্যক্তি নিকোলাস এলমেহেদ। যিনি পেশায় একজন সুইডিশ ফ্রিল্যান্সার। নিকোলাস ২০১২ সাল থেকে তিনি নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকছেন। তাকে নোবেলজয়ীর শিল্পীও বলা হয়।

জানা গেছে, নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বিজয়ীদের ছবি পাঠানো হয় নিকোলাসকে। সেগুলো চটজলদি এঁকে ফেলেন তিনি। প্রতিবার নোবেল ঘোষণার পর বিজয়ীদের আঁকা অবয়ব দেখি আমরা। নিকোলাস ২০১২ সালে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন।

সে বছরই প্রথম হাতে-আঁকা নোবেলজয়ীর ছবি প্রকাশিত হয়। সেবছর যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছিল না, তাদের ছবি আঁকার নির্দেশনা পেয়েছিলেন তিনি। দুই বছর পর নোবেল মিডিয়ার চাকরিটা ছেড়ে দিলেন শিল্পী। তবে নোবেল মিডিয়া ছাড়ল না তাকে। প্রথম বছরেই ঠিক হয়ে যায় সব নোবেলজয়ীর ছবিই এরকম হবে এখন থেকে। আর তাই গত আট বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস।

এরপর গত ১০ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস। ২০১৭-১৮ সালে নীল আর হলুদ রঙে এঁকেছিলেন নোবেলজয়ীদের। ২০১৭ সাল থেকে সাদা-কালো মাধ্যমের সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালি রং এনেছেন তিনি। তবে যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি না হয়ে প্রতিষ্ঠান নোবেল পায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির কাজকেই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে। যেমন দুই বছর আগে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’।

মুঠোয় ভরা শস্যের লোগো আঁকেন নিকোলাস। নোবেল জয়ীদের ছবি সামনে এলেও পেছনেই রয়ে গেছেন প্রতিভাবান শিল্পী নিকোলাস। খুব একটা মিডিয়ার সামনে আসেন না তিনি। আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন।




আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের দাম, ঘোষণা বৃহস্পতিবার

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মধ্যেই দেশে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘কমিশন আজ আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দাম ঘোষণা করব। ৫০-৬০ পৃষ্ঠার একটা রায়, প্রতিটি শব্দ দেখে দিতে হয়। এজন্য একটু সময় লাগছে। রায় ঘোষণার কাজটি ফাইনাল স্টেজে আছে।

এর আগে বিইআরসি সূত্র জানায়, তারা একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এনেছেন। তবে সরকারের কিছু নীতি-সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে। বিশেষ করে ভর্তুকি ইস্যু। দাম না বাড়িয়েও কোনো উপায় করা যায় কি না সেটা চিন্তা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও তা ২০ শতাংশের বেশি হবে না।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের আগে বিদ্যুৎ সংকট কাটার কোনো আভাস আপাতত নেই। যদিও তিনি এর আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।




পাকিস্তানকে ১৩০ রানে থামাল নিউজিল্যান্ড

ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড।

প্রথম সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া নিউজিল্যান্ড এবার বাবর আজমদের আটকে দিয়েছে ১৩০ রানেই।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান।

Details coming soon…




বিয়ের ১০ বছর পর প্রসব একসঙ্গে ৪ সন্তান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের ১০ বছর পর এক সঙ্গে ৪ সন্তান প্রসব করেন রিপা বেগম (২৩) নামের এক প্রসূতি।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের জেলরোডে লাইফ কেয়ার শিশু ও জেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানার তত্ত্বাবধানে নবজাতকগুলো প্রসব করেন তিনি।

গাইনি ও প্রসূতি বিদ্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

baby

রিপা জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে ধীতপুর গ্রামের কৃষক সাগর আলীর স্ত্রী। নবজাতক গুলোর মধ্যে ১ ছেলে ও বাকী ৩ মেয়ে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘এই প্রসূতির আগে এক শিশু প্রসবের সময়ই মারা যায়। এরপর প্রথম থেকেই আমার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরমাঝে গর্ভবতী অবস্থায় তার করোনা পজিটিভ হয়েছিল। পজিটিভ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে সে করোনা নেগেটিভ হয়। পরে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান। রোগীর পরিবারের সদস্য আমার কথা শুনেছেন। তাই প্রসূতি এবার আগে আগেই রক্ত প্রদান করে প্রসবের জন্য ফিট ছিলেন।’




What the Prophet said about those who cry out of fear of Allah

আল্লাহর ভয়ে নির্গত চোখের পানির মূল্য আল্লাহর নিকট অনেক বেশি। হাদিসে এসছে, ‘আল্লাহর নিকট দুটি ফোঁটা ও দুটি চিহ্নের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কিছু নেই। এক. আল্লাহর ভয়ে নিঃসৃত অশ্রুফোঁটা। দুই. আল্লাহর রাস্তায় নির্গত রক্তের ফোঁটা।’ (তিরমিজি : ১৬৬৯)

যার চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি নির্গত হয়, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জাহান্নামে যাওয়া এমন অসম্ভব, যেমন দোহনকৃত দুধ পুনরায় ওলানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। আর আল্লাহর পথের ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না।’ (তিরমিজি : ১৬৩৩)

অন্য হাদিসে , ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না। এক. আল্লাহর ভয়ে যে চোখ ক্রন্দন করে। দুই. আল্লাহর রাস্তায় যে চোখ পাহারা দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায়।’ (তিরমিজি : ১৬৩৯)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে মুমিন বান্দার দুচোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়, যদি তা মাছির মাথার পরিমাণও হয়, এবং তা চেহারা বেয়ে পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। (ইবনে মাজাহ, কিতাবুজ জুহুদ: ৪১৯৭) হাশরের কঠিন দিনেও আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জন্য বিশেষ ঘোষণা রয়েছে হাদিসে। সেদিনের কঠিন পরিস্থিতিতে সাত শ্রেণির মুমিন আরশের নিচে আশ্রয় পাবেন। তাদের এক শ্রেণি সম্পর্কে রাসুল (স.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণের সময় তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে।’ (বুখারি: ৬৬০; মুসলিম: ৭১১)

রাসুলুল্লাহ (স.) সাহাবিদের বেশি বেশি কান্না করার উপদেশ দিতেন। কেননা মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ যেখানে গুনাহের শাস্তি হিসেবে বান্দাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারেন, সেখানে রহমত করছেন, বান্দাকে দিয়ে যাচ্ছেন অবারিত সুযোগ-সুবিধা; ভাবতেই তো মুমিনের চোখ দিয়ে পানি চলে আসার কথা। তাই তো রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন— ‘..আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কম হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে এবং চিৎকার করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে যে- আল্লাহর শপথ! হায়, আমি যদি একটি গাছ হতাম এবং তা কেটে ফেলা হত!’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৯০; মেশকাত: ৫৩৪৭; সহিহাহ: ১৭২২)

অতএব আমাদের উচিত, মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে কৃত গুনাহর জন্য ইস্তেগফার করা, তওবা করা। ইনশাআল্লাহ, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সব পাপ সাফ করে দেবেন এবং জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অন্তরে তাঁর ভয় জাগ্রত করে দিন। তাঁর আদেশ নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলার তাওফিক দিন। আমিন।




বাড়ছে সরকারি খরচে আইনি সেবায় আগ্রহ

আইনি সহায়তা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই লক্ষে সরকার সামর্থ্যহীন ও অস্বচ্ছল মানুষকে নিজ খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে আগে মানুষের মধ্যে তেমন জানাশোনা না থাকলেও দিন দিন তা বাড়ছে। সরকারি খরচে আইনি সহায়তা নেওয়া মানুষের পরিসংখ্যান দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার  সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে ১৩ বছরে সরকারি খরচে সারাদেশে আইনি সহায়তা পেয়েছেন প্রায় আট লাখ মানুষ। একই সময়ে মামলার রায়ের আগেই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের প্রায় ৯৯ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়, এই সময়ে আইনি পরামর্শ পেয়েছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৬০৫ জন। তিন লাখ ২৮ হাজার ৫৮৩টি মামলায় সহায়তা করা হয়েছে। আর এসব মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৬২৪টি। মামলার রায়ের আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে ৬৪ হাজার ১৪০টি মামলা।

এডিআরের মাধ্যমে উপকার পেয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৩১৮ জন। হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে।

এই প্রতিবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকারে থাকাকালে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ নেন। সেই লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করে দেন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।

তবে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। এরপর ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলে আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে ঢাকার বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয় এবং এর অধীনে প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, চৌকি আদালত এবং শ্রম আদালতে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম চালু করা হয়।
বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে, এমনকি সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা আইনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সবার জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে। এ আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে এই সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে।




রামগঞ্জে আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক জিএস নজরুল

Abu Taher, Ramganj Correspondent:

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ও সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বর্তমান চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য জিএস নজরুল ইসলামকে একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে৷

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, সহ সভাপতি ড. আনোয়ার খান এমপি ও সাধারন সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিনের দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষনা দেওয়া হয়৷

জি এস নজরুল ইসলাম চন্ডীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ড. আনোয়ার খান এমপি, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আকম রুহুল আমিন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন ফরাজির মৃত্যুতে দলের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়৷ জিএস নজরুল ছাত্রজীবন থেকে দলের প্রতি একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলে যে কোন মিটিং মিছিল সভা সমাবেশে সরব উপস্থিতি লক্ষনীয় ছিলো ৷ এছাড়াও তিনি বহুবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে৷ তাঁকে যুগ্ন আহবায়ক করায় দলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

জি এস নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজর নির্বাচিত জি এস ছিলাম । আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।




লক্ষ্মীপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে লক্ষ্মীপূজা উদযাপন 

প্রদীপ কুমার রায়ঃ

লক্ষ্মীপুরের সোমবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করা হয়েছে। দিনভর পুরোহিত ঠাকুর দিয়ে কোথাও কোথাও পূজা শেষ হয়েছে। আবার কোথাও রাতে পূর্ণিমা থাকা পর্যন্ত চলবে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা।

বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘর-বাড়ির আঙিনায় আঁকা হচ্ছে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জালন করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের ভক্তবৃন্দের বিশ্বাস ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী। তিনি ঈশ্বরের পালন রূপ শক্তি নারায়ণী। যাকে ভক্তরা ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী অন্নদাত্রী দেবীরূপে পূজা করেন। তবে এই ধন শুধু পার্থিব ধন নয়, চরিত্র, ধন ও সর্বাত্মক বিকাশেরও প্রতীক। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যার যার সাধ্যমত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করেন। সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করা হয়। পারিবারিক লক্ষ্মীপূজায় লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করে পূজার্চনা করা হয়। কিন্তু আজকের পূজার রয়েছে বিশেষ বিশেষত্ব। আজকের পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামে পরিচিত। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী পদ্মফুলের উপর উপবেশন করে থাকেন। সাধারণত লক্ষ্মীপূজা পঞ্চোপচার, দশোপচার বা ষোড়শোপচারে করা হয়ে থাকে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গৃবধূরা উপবাস ব্রত করে থাকেন। অনেকে রাতে আবার কেউ কেউ দিনের আলোতেই পুজো শেষ করেন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।

 রায়পুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ পাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দঘন পরিবেশে এবার পুজা করেছি। ঈদে মিলাদুন্নবী ও পুজা একই দিনে পড়ায় প্রতিটি সংখ্যা লঘু পরিবারই কিছুটা মানসিক চাপ থাকলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।




ভোলা তজুমদ্দিনে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

 ভোলা   প্রতিনিধি:

ভোলা তজুমদ্দিন বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।

স্লান করলে রাতের আলো পাখিরা থাকবে আরো ভালো’ এই প্রতিপাদ্যে রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে দৌলতখান উপজেলা রেঞ্জ অফিসার মোঃ মাহবুব আলম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দেবাশীষ দাস, মোঃ মামুন অর রশিদ পল্টন এস আই তজুমদ্দিন থানা, তজুমদ্দিন ভিট কর্মকর্তা রোমেল হোসেন,

মোঃ জসিম উদ্দিন প্রশিকা অফিসার, স্কুল, মাদ্রাসা,গার্লস স্কুলের ছাত্র ছাত্রী,সুফল প্রজেক্টরের এফসিবি’র সদস্য সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ ।




ফের গোলাবর্ষণ মিয়ানমার সীমান্তে

সপ্তাহ খানেক বিরতির পর মিয়ানমার সীমান্তে আবারো ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে। ঘুংধুম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলা বর্ষণের ঘটনা ।

এদিকে আজ সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

এদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ আজ সকাল ১১ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ি ( বিওপি) পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলে   জানিয়েছেন বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।